দেশীয় অস্ত্রের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধসহ ৫ দাবি জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের
Published: 7th, May 2025 GMT
আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া ও দেশীয় অস্ত্রের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধ করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট। আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি এ দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো- শিক্ষার মান উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষাসহ বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা; গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি করা; প্রাথমিক শিক্ষাসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; বেকারত্ব দূরীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; আইন হাতে তুলে না নেওয়া ও দেশীয় অস্ত্রের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধ করা।
রবিউল ইসলাম রবি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রথমেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের দুই নিবেদিত কর্মী শহীদ ফারহান ফাইয়াজ ও জুয়েলসহ সকল বীর শহীদদের আত্মত্যাগ গভীরভাবে স্মরণ করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল স্বরূপ আমরা যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি তাদের মাধ্যমে প্রত্যাশিত বৈষম্য আসলে কতটুকু দূরীকরণ হয়েছে তা প্রশ্নই থেকে যায়।
তিনি আর বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের সংগ্রামী সৈনিক জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান আফাজ বিশ বছরের বেশি সময় ধরে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের ন্যায় স্থানীয় মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। ফলে স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে প্ররোচিত হয়ে চলতি বছরের ৫ মে গভীর রাতে বিনা নোটিশে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে- আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী দেখিয়ে তাকে ২০১৩ সালের বিএনপির মিছিলে হামলা সংশ্লিষ্ট মামলায় আসামি করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। অথচ অতীতে তার নমে থানায় কোনো মামলাই ছিল না। আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
রবিউল ইসলাম রবি আরও বলেন, ‘একজন ইমামকে হত্যা করা হয়েছে। তার জন্য বিচার চাওয়া এই দেশের কোনো আইনে অপরাধ? যদি অপরাধ হয়েই থাকে তাহলে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় এ দেশে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার দূরের কথা নাগরিক অধিকারও নেই।’
জাকের পার্টি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল একসঙ্গে একই দিনে ২০০ এর অধিক আসনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে। জাকের পার্টি কখনোই সংঘাত বা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। সম্প্রতি আমরা দেখতে পাই জাকের পার্টিকে নিয়ে কিছু কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।
এ সময় তিনি জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান আফাজকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আ’লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে শহরে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও মানবাধিকার অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
এসময়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শ্লোগান দেয়, “ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই” খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকল্পিত করে তোলে পুরো শহর।
সোমবার ( ১৭ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুই নম্বর নগরভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে বিএনপির মিছিলকে সফল করতে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, ওলামাদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার- ফেস্টুনে সু-সজ্জিত হয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে জড়ো হয়।
এছাড়াও মানবাধিকার অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ফাঁসিকে শহরে যাতে করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কোন অগ্নিসংযোগ বা কোন নাশকতা করতে না পারে তার জন্য শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান করেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম , নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।