কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৪৪ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বুধবার ভোরে রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৩০ জন এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভাওয়ালকুরি সীমান্ত থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তিরা সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবিকে খবর দেন। পরে বিজিবি গিয়ে তাঁদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি ও ৩৬ রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে যাচাই–বাছাই চলছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভাওয়ালকুরি সীমান্ত এলাকা থেকে আটক ব্যক্তিরা তিনটি পরিবারের সদস্য এবং তাঁরা প্রায় তিন কিলোমিটার ভেতরে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থান করছিলেন। তাঁদের মধ্যে আটজন নারী ও ছয়জন পুরুষ রয়েছেন।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, আজ ভোরে সীমান্ত পেরিয়ে আসা ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন সিলেট ও যশোর জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অন্য ২২ জন রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, ‘ভাওয়ালকুরি সীমান্ত থেকে আটক ১৪ জনের মধ্যে ৮ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ রয়েছেন। তাঁদের ভারত থেকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে ৩৭টি রুগ্‌ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস উদ্ধার

গাজীপুর নগরের হায়দরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৭টি রুগ্‌ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান।

গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নগরের হায়দরাবাদ এলাকায় এক বছর ধরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে। পরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরও গোপনে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই কাজ করছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১১টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। একটি ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে ৩৭টি রুগ্‌ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যেই ঘোড়াগুলো এখানে আনা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। উদ্ধার করা ঘোড়া ও জব্দ করা ঘোড়ার মাংসগুলো স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরে সেগুলো জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কাছে হস্তার করা হবে।

গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন হারুন রোমান জানান, ঘোড়াগুলোর অধিকাংশই রুগ্‌ণ এবং ঘোড়ার মাংসে টক্সিন রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ঘোড়ার মাংস ক্রয় ও খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ