বিশ্রামে খালেদা জিয়া, একনজর দেখতে আসছেন কেউ কেউ
Published: 7th, May 2025 GMT
প্রায় চার মাস পর দেশে ফিরে আসার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অনেকেই দলীয় প্রধানকে একনজর দেখতে তাঁর বাসভবন ফিরোজার সামনে আসছেন। তবে সাক্ষাতের সুযোগ না পেলেও স্মৃতি ধরে রাখতে কেউ কেউ সেই বাড়ির সামনে ছবি তুলছেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার সামনে অবস্থান করে দেখা যায়, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা মূল ফটক ও ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন। পাশাপাশি কয়েকজন পুলিশসদস্যও বাসভবনের সামনে ও আশপাশে রয়েছেন।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারকে ফিরোজায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে তিনি ছাড়া দলের বা বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
বেলা সোয়া দুইটার দিকে ফিরোজার সামনে আসেন দুই নারী। তাঁরা ফিরোজার ছবি তুলেন ও ভিডিও করেন। পরে আলাপে জানা যায়, দুজনই এসেছেন বাগেরহাট থেকে। এর মধ্যে একজন বাগেরহাট পৌর মহিলা দলের সভাপতি তাসলিমা বেগম। আরেকজন একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফাতেমা পান্না।
কেন এসেছেন জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, কেবল ম্যাডামকে শুভেচ্ছা জানাতেই ৪ মে ঢাকায় এসেছেন। গতকাল বিমানবন্দর থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলশানে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার বাসার পাশেই এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। বিএনপির প্রতি আবেগ ও দলীয়প্রধান খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই ফিরোজার সামনে এসেছেন। তাঁরা জানেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হবে না, এরপরও তিনি যেখানে থাকেন, সেই বাসা দেখতে এসেছেন।
ফাতেমা পান্না প্রথম আলোকে বলেন, ‘হয়তো ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে পারব না। অন্তত যে বাড়িতে থাকেন, সেটা দেখে যাই। ম্যাডামের সাক্ষাতের সুযোগ পেলে এমন আনন্দ হতো, হয়তো তা আর ভাষায় প্রকাশ করতে পারতাম না।’
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরা মূল ফটক ও ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ র জ র স মন এস ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে সাত বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলা বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষণা পরিচালক ইসাবেল লাসে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শহিদুল আলমের এই রায় অনেক আগেই পাওয়া দরকার ছিল। তাঁকে যখন আটক করা হয়েছিল, তখন আমরা তাঁকে বিবেকের বন্দী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার হওয়া কখনো উচিত ছিল না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বাংলাদেশের (তৎকালীন) কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের সমালোচনা করার কারণেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পদ্ধতিগত ও সহিংস উপায়ে দমন-পীড়ন চালানোর ধারা পরিবর্তন করাটা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন ইসাবেল লাসে। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, নিজেদের আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যেসব কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বা হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার নিশ্চিত করা। যাঁরা এসবের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজের দিকে যাত্রা করছে বলে অনেকে আশা করছেন, তাই সেখানে এ ধরনের দমনমূলক কৌশলের কোনো স্থান নেই।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, শহিদুল আলমের মামলা বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। মতপ্রকাশের কারণে তাঁকে ১০০ দিনের বেশি আটকে রাখা হয়েছে এবং হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর ওপর নির্যাতন হয়েছে। তাঁর এগুলোর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলাটি বৃহস্পতিবার বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।