যুবদল নেতার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট, অর্ধকোটি টাকার মাছ নিধন
Published: 7th, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক যুবদল নেতার পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে অর্ধকোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত যুবদল নেতার নাম বেনজির আহমেদ বাচ্চু। তিনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক।
বেনজির আহমেদ বাচ্চু বলেন, ‘‘আমার মালিকানাধীন তিনটি চাষের পুকুরে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে। এতে পুকুরের লাখ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। ক্ষতির পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। আমার সঙ্গে কারো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভূতের ভয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন সোনাক্ষী!
বর্ষার রাত, শহরজুড়ে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি, আর ভেতরে বিলাসবহুল বাড়ির ঘরে ঘন অন্ধকার। এমনই এক রাতে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। ক্লান্ত সোনাক্ষী সেদিন শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে সরাসরি ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু হঠাৎ গভীর রাতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। চোখ বন্ধ, কিন্তু মন যেন জেগে আছে– ঠিক তখনই টের পান, কিছু একটা অদৃশ্য সত্তা যেন তাঁকে জোরে চেপে ধরছে।
সোনাক্ষীর কথায়, ‘মনে হচ্ছিল, দুটো শক্ত হাত আমার গা চেপে ধরেছে। একটুও নড়তে পারছিলাম না। এতটাই ভয় পেয়েছিলাম যে, চোখ খুলে তাকাতেও সাহস পাইনি। নিথর হয়ে পড়েছিলাম।” আস্তে আস্তে জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের আলো ঢুকতেই সেই চাপ কমে আসে, কিন্তু আতঙ্কটা থেকে যায়। সোনাক্ষী বলেন, “আমি তখন বুঝতেই পারছিলাম না, এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব। কিন্তু একটা ব্যাপার নিশ্চিত– ঘরে আমি একা ছিলাম না।’
ঘটনার পর দিনও সেই ভয় তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায়। শুটিংয়ে গেলেও মন পড়ে ছিল আগের রাতের অভিজ্ঞতায়। রাতে ফেরার পর নিজের ঘরের দরজা খুলেই সোজা বলে ওঠেন, “কাল রাতে যেটা এসেছিলে, প্লিজ আর এসো না! যদি কিছু বলার থাকে, স্বপ্নে এসো। সামনে এসে আর ভয় দেখিয়ো না।” এরপর কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে দেন সোনাক্ষী। অনেকে বলেন, ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি প্রাসাদোপম সেই বাড়ি ছেড়ে নতুন ঠিকানায় চলে যান।
‘নিকিতা রায়’ সিনেমার প্রচারে গিয়ে সোনাক্ষী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি আগে ভূতে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু ওই রাতটার পর থেকে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। এটা যদি সত্যিই কোনো অশরীরী আত্মা হয়ে থাকে, তবে হয়তো বন্ধুসুলভ ছিল, কারণ এরপর আর কখনও ফিরে আসেনি।”
হীরামন্ডি-খ্যাত এই অভিনেত্রীর এই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের বেগে। অনেকেই বলেছেন, এমন অভিজ্ঞতা তারাও পেয়েছেন। কেউ কেউ তো বিশ্বাস করেন, তারকা হওয়া মানেই যেমন গ্ল্যামার, তেমনি অলৌকিক কিছু ঘটনা ঘিরেও চলতে হয় তাদের জীবন। যা-ই হোক, সোনাক্ষীর সেই এক রাতের অভিজ্ঞতা আজও তাঁর মনে গেঁথে আছে। গল্পটা যেন ঠিক হরর ফিল্মের চিত্রনাট্য। কিন্তু বাস্তবে যেটা ঘটেছে, সেটা সিনেমা থেকেও বেশি গা ছমছমে।
আর এই গল্পই প্রমাণ করে– তারকা হলেও ভয়টা সবারই থাকে, আর ভূত… সেটা বিশ্বাস না করলেও, মাঝেমধ্যে ঠিকই এসে পড়ে জীবনের মাঝখানে! সোনাক্ষীর সেই এক রাতের অভিজ্ঞতা যেন কোনো হরর সিনেমার চিত্রনাট্য। অথচ ঘটনাটি বাস্তব এবং সেই কারণেই হয়তো আরও বেশি ভয়াবহ। তারকা হলেও ভয় সবারই থাকে। আর ভূত… তারা বিশ্বাসের তোয়াক্কা না করেই মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে জীবনের মাঝখানে এসে পড়ে!