Prothomalo:
2025-12-14@12:34:17 GMT

সমাজ-সাহিত্যে ‘কাবিননামা’

Published: 29th, October 2025 GMT

‘কাবিননামা’ মুসলিম বিবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক আইনি দলিল, যা শুধু বিবাহ নিবন্ধনেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে। অনেকটা ইংরেজি ‘সিভিল ম্যারেজ’–এর মতো এই দলিল একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিপত্র, যা আরবি ভাষায় পরিচিত ‘আক্দ’ বা ‘নিকাহ্’ নামে।

এই চুক্তির একটি অপরিহার্য উপাদান হলো মোহর—স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত একটি আর্থিক মূল্য, যা স্ত্রীর অধিকার হিসেবে বিবেচিত। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, মোহর সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত থাকে: তাৎক্ষণিকভাবে আদায়যোগ্য অংশকে বলা হয় আশু দেনমোহর বা ‘মুয়াজ্জল’, আর পরবর্তীকালে আদায়যোগ্য অংশকে বলা হয় বিলম্বিত দেনমোহর বা ‘মৌয়াজ্জল’। উনিশ ও বিশ শতকের কাবিননামা দলিলপত্রে মোহরের এই বিভাজনের উল্লেখ সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়।

১৮৭২ সালে ‘ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট’ প্রণীত হলে রেজিস্টার বইয়ে কাবিননামা নথিভুক্ত করার চল শুরু হয়। ১৯৩৯ সালের মধ্যে কাবিননামা একটি নির্দিষ্ট ফরমের আদলে মুদ্রিত হতে শুরু করে। পরে ১৯৬১ সালের ‘মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ’ কার্যকর হলে এ ব্যবস্থায় নতুন কিছু পরিবর্তন আনা হয়, যদিও সে সময় এ আইন শরিয়াবিরোধী আখ্যায় সমালোচিত হয়।

‘কাবিননামা’ মুসলিম বিবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক আইনি দলিল, যা শুধু বিবাহ নিবন্ধনেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে। অনেকটা ইংরেজি ‘সিভিল ম্যারেজ’–এর মতো এই দলিল একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিপত্র, যা আরবি ভাষায় পরিচিত ‘আক্দ’ বা ‘নিকাহ্’ নামে।

ড.

দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘দলিল লিখন ও রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, মুসলমানদের বিবাহের সময় সম্পাদিত কাবিননামায় স্ট্যাম্প মাশুল দিতে হতো না। এটি ‘সিডিউল ১এ’, আর্টিকেল-৫৮-এর ‘রেহাই’ অংশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। তবে ১৯৫৯ সালের এক রায়ে বলা হয়—শুধু বিবাহ অনুষ্ঠানের সময় সম্পাদিত কাবিননামাগুলোর ক্ষেত্রেই এই স্ট্যাম্প কর মওকুফ প্রযোজ্য হবে। বিবাহের আগে বা পরে যেসব কাবিননামা ‘ঘোষণাপত্র’ (ডিক্লারেশন) হিসেবে তৈরি হয়, সেগুলো স্ট্যাম্পযুক্ত হতে হবে এবং তাতে আর্টিকেল-৫৮ অনুযায়ী স্ট্যাম্প মাশুল প্রযোজ্য হবে।

এই স্ট্যাম্প কর অব্যাহতির বিষয়ে তৎকালীন ‘মহামেডান লিটারারি সোসাইটি’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কাবিননামায় স্ট্যাম্প কর আরোপের বিরোধিতায় সংগঠনটি একটি প্রতিনিধিদল সরকারের কাছে প্রেরণ করে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই সরকার আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।

আঠারো শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত পূর্ববঙ্গে প্রচলিত কাবিননামাগুলো ভাষা ও কাঠামোর দিক থেকে ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। এসব দলিল সাধারণত নানা ধরনের স্ট্যাম্প পেপারে লেখা হতো এবং ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে ছিল আরবি, ফারসি ও বাংলা। কখনো কখনো ফারসির পাশাপাশি ইংরেজিতেও কাবিন প্রস্তুত করা হতো। অধিকাংশ কাবিননামায় বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা, দেনমোহরের পরিমাণ, সাক্ষীদের নাম, কাজির সিল ও স্বাক্ষর, রেজিস্ট্রার বা ডেপুটি রেজিস্ট্রারের অনুমোদনসহ অন্যান্য বিবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকত।

তবে এসব কাবিননামায় ভাষা, কাঠামো ও শর্তাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য অমিল দেখা যায়, যা সংশ্লিষ্ট পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থান, ধর্মীয় জ্ঞানের স্তর এবং আঞ্চলিক রীতিনীতির ওপর নির্ভরশীল ছিল। ফলে কিছু দলিল ছিল সুসংহত ও নির্ভুল, আবার অনেক দলিল ছিল বিভ্রান্তিকর, খণ্ডিত ও অসম্পূর্ণ।

কাবিননামায় স্ট্যাম্প কর অব্যাহতির বিষয়ে তৎকালীন ‘মহামেডান লিটারারি সোসাইটি’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কাবিননামায় স্ট্যাম্প কর আরোপের বিরোধিতায় সংগঠনটি একটি প্রতিনিধিদল সরকারের কাছে প্রেরণ করে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই সরকার আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।

এই বিশৃঙ্খল অবস্থা দূরীকরণে সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন ১৯১৯ সালে রচনা করেন তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘কাবিন-নামা’। গ্রন্থটির ভূমিকায় তিনি লেখেন:

‘মুছলমানদিগের বিবাহ রেজিষ্টরী করার আইন প্রবর্ত্তিত হওয়ার পর হইতে প্রায় সর্ব্ব শ্রেণীর মুছলমানদের মধ্যেই বিবাহে কাবিন লিখার প্রথা প্রচলিত হইয়া গিয়াছে। কাবিন লিখার জন্য ভাষা ও শরীয়াতে উপযুক্ত দখল থাকা আবশ্যক...গত ৮ মাস আমি প্রায় ৫০০ কাবিন রেজিষ্টরী করিয়াছি, ইহার মধ্যে ২৫ খানা কাবিনও এরূপ পাই নাই যাহা শুদ্ধভাবে লিখা হইয়াছে।’

এই বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি একটি নির্দেশনামূলক পুস্তিকা প্রকাশ করেন, যাতে বিভিন্ন ধরনের কাবিননামার পাঠ, কাঠামো ও আবশ্যকীয় শর্ত সংকলিত হয়। উদ্দেশ্য ছিল—কাবিন লেখকেরা যেন শরিয়তসম্মত ও নির্ভুল দলিল প্রস্তুত করতে পারেন।

সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের গ্রন্থে উল্লেখিত প্রচলিত চারটি মূল শর্ত ছাড়াও আরও কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী শর্ত কাবিননামায় অন্তর্ভুক্ত হতে দেখা যায়, যেমন—

স্ত্রীর পিতৃগৃহে অবস্থানের অধিকার: স্ত্রী ইচ্ছানুযায়ী পিত্রালয়ে গিয়ে দীর্ঘদিন অবস্থান করতে পারবেন; স্বামী এতে বাধা দিতে পারবেন না এবং যাতায়াতসহ প্রয়োজনীয় খরচ বহন করতে বাধ্য থাকবেন।

পারিবারিক ব্যয়ভার: স্বামী শুধু যাতায়াত নয়, বরং স্ত্রীর পিত্রালয়ে অবস্থানকালীন যাবতীয় খরচও বহন করবেন।

বিদেশ অবস্থানে স্ত্রীর ভরণপোষণ: স্বামী বিদেশে থাকলেও স্ত্রীর ভরণপোষণের দায় তারই ওপর বর্তাবে।

দেনমোহর পরিশোধ: দেনমোহরের বাকি অর্থ ওজর ছাড়াই দিতে হবে; ব্যর্থ হলে স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করে তা আদায়যোগ্য হবে।

কটু ভাষা ব্যবহার নিষিদ্ধ: স্ত্রীকে গালিগালাজ বা অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।

তালাকের অধিকার: স্ত্রী প্রয়োজনে নিজেই তালাক গ্রহণ করতে পারবেন এবং এতে স্বামীর আপত্তি আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

এমনকি ঘরজামাই প্রসঙ্গেও বিশেষ শর্ত যুক্ত থাকত, যেমন:

ঘরজামাইয়ের শপথ: ‘আমাদের বিবাহ বন্ধন কায়েম থাকা পর্য্যন্ত আমি আপনার জীবন-যাত্রা নির্ব্বাহ করিব; কস্মিনকালেও আপনার পিত্রালয় ছাড়িয়া অন্য কোন স্থানে গিয়া বসত বাস করিতে পারিব না এবং আপনার ও আপনার ওলীর অসম্মতিতে আমি আপনাকে আপনার পিত্রালয় হইতে স্থানান্তর করিতে পারিব না।’

১৯৫৬ সালে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কাবিননামার কাঠামো ও আইনি ভিত্তি নিয়ে শুরু হয় গভীর আলোচনা ও পর্যালোচনা। ওই বছরের ৩০ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল ‘পাক্ষিক আহমদী’-তে প্রকাশিত ‘বিবাহ ও পারিবারিক আইন কমিশন’-এর প্রশ্নাবলির উত্তরে কাবিননামা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে সর্বসম্মত মত প্রকাশ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একটি খসড়া নিকাহনামার নমুনা প্রণয়ন করে তা কমিশনের সচিবের কাছে প্রেরণ করা হয়।

তৎকালীন কাবিননামাগুলোতে একটি বিশেষ দিক ছিল দ্বিতীয় বিবাহসংক্রান্ত শর্তাবলি। যদিও ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে একজন পুরুষের একাধিক (সর্বোচ্চ চারটি) বিবাহ বৈধ, তথাপি পূর্ববঙ্গে চালু অনেক কাবিননামায় দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর পূর্বানুমতি আবশ্যক বলে উল্লেখ করা হতো। পরবর্তীকালে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে এই প্রবণতারই প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ণ ঘটে। কাবিননামার সামাজিক তাৎপর্য উপলব্ধি করতে গেলে ব্যক্তিগত ও সাহিত্যিক অভিজ্ঞতার দৃষ্টান্তগুলো বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। এই প্রেক্ষাপটে আবুল ফজলের গল্প ‘মা’-এর একটি কাবিননামা উদ্ধৃতি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ:

‘প্রথম সর্ত্ত এই যে, শ্রীমতী মজকুরার বিনানুমতিতে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করিব না এবং গোপনে কোন উপপত্নি না রাখিব, যদি করি বা রাখি বলিয়া প্রকাশ হয় তবে উক্ত স্ত্রীর উপর তিন তালাক বর্ত্তিবেক।’

যদিও ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে একজন পুরুষের একাধিক (সর্বোচ্চ চারটি) বিবাহ বৈধ, তথাপি পূর্ববঙ্গে চালু অনেক কাবিননামায় দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর পূর্বানুমতি আবশ্যক বলে উল্লেখ করা হতো। পরবর্তীকালে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে এই প্রবণতারই প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ণ ঘটে।‘কাবিন-নামা’ গ্রন্থের প্রচ্ছদ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ব নন ম য় স ট য ম প প র ব র ক আইন স ট য ম প কর ত ক ব নন ম অবস থ ন প রচল ত গ রন থ প রক শ অন য য় উল ল খ প রথম র একট সরক র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকের রিমান্ড চায় পুলিশ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান এ আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবদুল হান্নানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের চারটি কারণে দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা অজ্ঞাতনামা দুজন সন্ত্রাসী ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলিতে ওসমান হাদি গুরুতর জখম হন। র‍্যাব-২ ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানের বিষয়ে জানতে পারে। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেলের বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি আসামি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসামিকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার, জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহসহ অবস্থান জানা, মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন ও তথ্য-অর্থের সম্পর্ক সংগ্রহ এবং কোন স্থান থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, তার উৎস জানার জন্য পুলিশের নিজ হেফাজতে রেখে আবদুল হান্নানকে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেটের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর) সূত্র ধরে গতকাল শনিবার আবদুল হান্নানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে র‍্যাব-২। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মোটরসাইকেলটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুনওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর ধরে মালিককে আটক৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ