শ্রেয়াস আইয়ারের অবস্থা এখন স্থিতিশীল, জানাল বিসিসিআই
Published: 29th, October 2025 GMT
ভারতীয় ব্যাটসম্যান শ্রেয়াস আইয়ার এখন কেমন আছেন? গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে গুরুতর চোট পান আইয়ার। সিডনির এক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিতে হয় আইয়ারকে। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়ার সই করা এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রেয়াস আইয়ার তলপেটে চোট পান। এতে তার প্লীহা কেটে যায় এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়। আঘাতটি দ্রুত শনাক্ত করা হয় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তপাত বন্ধ করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর করা পুনরায় স্ক্যানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে এবং শ্রেয়াস এখন সুস্থ হয়ে ওঠার পথে। বিসিসিআই মেডিকেল টিম সিডনি ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে তাঁর সুস্থতার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।’
এর আগে গতকাল টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব আইয়ারকে নিয়ে কথা বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম আইয়ার চোট পেয়েছে, তখনই ওর সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। আমি প্রথমে আইয়ারকে কল করেছিলাম। তারপর জানতে পারলাম ওর কাছে ফোন নেই। এরপর আমি আমাদের ফিজিও কমলেশকে কল করি। তিনি জানান যে আইয়ার স্থিতিশীল আছে। আমরা দু’দিন ধরে কথা বলছি। ও ফোনে উত্তর দিচ্ছে। যেহেতু ও উত্তর দেয়, এর মানে সে স্থিতিশীল।’
আরও পড়ুনকোহলি, উইলিয়ামসন, বাবরের ফেরায় ০, ০ এবং ০৫ ঘণ্টা আগে২৫ অক্টোবর সিডনির এসসিজিতে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচ নিতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান আইয়ার। প্রথমে চোট গুরুতর মনে হয়নি। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর ভেতরের ক্ষতটা পরীক্ষায় ধরা পড়ে। আইয়ার বর্তমানে ভারতের শুধু ওয়ানডে দলেই খেলছেন। ভারতের পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ৩০ নভেম্বর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রাঁচিতে।
আরও পড়ুনহংকং সিক্সেসে বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইয় র
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান
বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।
ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্ক্ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।
প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।
রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।
পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক
হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫