সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যাওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মতিউর রহমান শেখকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর এক খুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে পুলিশের মুখপাত্র জানান, ওই ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তাহসিনা আরিফ ও  কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মো.

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার রাত ৩টা ৫মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যান সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি বেশ কয়েক মাস ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে চোখের অসুখ, কিডনি ও পাইলসের সমস্যা বেড়েছে। গেল সপ্তাহে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি থাইল্যান্ডে গেছেন। 

এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই শেষে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।

আবদুল হামিদ বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা আছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা দায়ের হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ওবায়দুল কাদেরের নাম রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের

চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শকেরা (এসআই)। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অব্যাহতির ঘটনায় হতাশা ও ক্ষোভ জানান তাঁরা।

রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে থানায় পদায়নের কয়েক দিন আগে ৪০তম ব্যাচের ৩২১ জন এসআইকে বিভিন্ন ধাপে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের যেসব অভিযোগ এনে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা ও সাজানো। একাডেমির ১১৩ বছরের ইতিহাসে এমন নজিরবিহীন ও অমানবিক সিদ্ধান্ত আগে দেখা যায়নি বলেও দাবি করেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআই দীপিকা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, নিয়োগপ্রক্রিয়ার সব ধাপ শেষ করে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর পুলিশ একাডেমিতে এক বছরের প্রশিক্ষণে যোগ দেন ৪০তম ব্যাচের শিক্ষানবিশ এসআইরা। নিয়োগপ্রক্রিয়া ছিল নকআউট পদ্ধতির অর্থাৎ একটি ধাপে বাদ পড়লে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ ছিল না। স্বচ্ছ ও কঠিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাঁরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রশিক্ষণ শেষে থানায় পদায়নের সময় আসতেই শুরু হয় শোকজ ও অব্যাহতির প্রহসন। চার ধাপে ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতিপ্রাপ্তদের অনেকেই চাকরি পাওয়ার আশায় আগের সরকারি বা বেসরকারি চাকরি ছেড়েছিলেন। এখন তাঁরা পরিবারের বোঝা হয়ে গেছেন। সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না। তাঁদের একটাই আকুতি—চাকরিতে পুনর্বহাল।

চাকরি ফিরে পেতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চান অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান তাঁরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার
  • কিশোরগঞ্জের এসপিও প্রত্যাহার
  • পুলিশের এসআই’র বাসা থেকে পিস্তল-গুলি চুরি, সাসপেন্ড
  • যশোরে আসামি ধরতে গিয়ে ওসিসহ পুলিশের ৭ সদস্য হামলার শিকার
  • বাসা থেকে পুলিশের পিস্তল-গুলি চুরি, এসআই সাসপেন্ড
  • পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে পিস্তল-গুলি চুরি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
  • চৌগাছায় আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় আহত ওসিসহ ৭ পুলিশ
  • চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের