আবদুল হামিদের ব্যাংকক যাওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি
Published: 8th, May 2025 GMT
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যাওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মতিউর রহমান শেখকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর এক খুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পুলিশের মুখপাত্র জানান, ওই ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তাহসিনা আরিফ ও কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মো.
বুধবার রাত ৩টা ৫মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যান সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি বেশ কয়েক মাস ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে চোখের অসুখ, কিডনি ও পাইলসের সমস্যা বেড়েছে। গেল সপ্তাহে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি থাইল্যান্ডে গেছেন।
এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই শেষে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
আবদুল হামিদ বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা আছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা দায়ের হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ওবায়দুল কাদেরের নাম রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ম দ
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীতে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ফয়সাল ফারাবী (৯) ও সাখাওয়াত হোসেন (৮) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৯টার দিকে পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়ার সাত মন্দির রোড এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু ফয়সাল ফারাবী ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর ইউনিয়নের পূর্ব শিলুয়া গ্রামের কাতারপ্রবাসী ইকবাল হোসেনের ছেলে এবং সাখাওয়াত হোসেন ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের দুবাইপ্রবাসী সামছুল হকের ছেলে। তারা পরিবার নিয়ে সাত মন্দির রোডের শেখ ভবনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত।
ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দুই শিশু খেলতে বের হয়। অনেকক্ষণ ফিরে না আসায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর তাদের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।’’
এসআই সালাউদ্দিন রাশেদ আরও বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খেলার সময় অসাবধানতাবশত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে গিয়ে শিশু দুটির মৃত্যু হয়। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভবনটির নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। সেপটিক ট্যাংকের মুখ খোলা ছিল, সেখানে কোনো ঢাকনা বা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছিল না।
হঠাৎ এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুই শিশুর মৃত্যুর খবরে তাদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন।
ঢাকা/সাহাব/টিপু