জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অ.) কামাল আকবর।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চতুর্থ বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন স্নিগ্ধ।

স্নিগ্ধ বলেন, “আমি এই ফাউন্ডেশনের শুরুর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, থাকব ভবিষ্যতেও। তবে এখন থেকে আমি পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজ করে যাব।”

আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠনের কথা জানানো হয় ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। সে সময় স্নিগ্ধকে এই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। পরে ২১ অক্টোবর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমকে। সে সময় স্নিগ্ধকে এই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘হামলাকারী’ শ্রমিক লীগ নেতা নাছির গ্রেপ্তার

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছির অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকার একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৭-৮ জনের একটি দল তাকে আটক করে। রাতেই তাকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

এদিকে, নাছিরের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাত কয়েকজন নাছিরকে গাড়ির ভেতর বসিয়ে চড়-থাপ্পড় মারছেন। ফরিদপুরে এই ভিডিও এখন ফেসবুকে ট্রেন্ডিং, একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট ও শেয়ার হচ্ছে এটি।

ফরিদপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক নাজনীন আক্তার জানান, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় (জিআর নং ৬০৭/২৪) নাছিরকে আটক দেখানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নাছিরের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ৫ আগস্টের পর দায়ের করা একাধিক মামলা রয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/তামিম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ