মাছ খাওয়ায় বিড়ালকে গলা কেটে হত্যা, অভিযুক্ত আটক
Published: 7th, November 2025 GMT
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খেয়ে ফেলার জেরে একটি বিড়ালকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাকে আটক করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, ওই নারীকে বিড়াল হত্যার ঘটনায় নয়; অন্য অপরাধে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক নারীর নাম বুলবুলি বেগম (২৬)। তিনি উপজেলার দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি মাছ খেয়ে ফেলার জেরে একটি বিড়ালকে গলা কেটে হত্যার পর রাস্তায় ফেলে দেন তিনি।
বিড়াল প্রেমিক একজন সেই ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। এ ঘটনায় বিড়াল প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
পরে অভিযুক্ত বুলবুলির বিড়াল হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি বলেন, তরকারি থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করে খাওয়ায় মাঠ থেকে বিড়ালটি ধরে এনে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
বিষয়টি নজরে আসে প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের। ৫ নভেম্বর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমরান হোসেন বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
আদমদীঘি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘বিড়াল হত্যার ঘটনায় ওই নারীকে আটক করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে তার মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে মনে হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার ঝামেলা লেগেই থাকত। আজও এলাকাবাসীর সঙ্গে তার ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল। ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সে সময় বুলবুলি বেগম বটি নিয়ে স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। কোনো অপরাধ যেন না ঘটায় তাই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ১৫১ ধারায় তাকে আদালতে চালান করা হয়।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য র ঘটন য় আটক ক
এছাড়াও পড়ুন:
গলা কেটে বিড়াল হত্যা, থানায় জিডি
বগুড়া আদমদীঘিতে গলা কেটে বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদমদিঘী থানায় জিডিটি করেন বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এমরান হোসেন।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ
ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা
গত সোমবার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর উনিয়নের দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামে বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নজরে আসে। ঘটনাটি বিস্তারিত জানার পর তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে জিডি করে।
জিডিতে বলা হয়, গত সোমবার দুপুর একটা থেকে ২টার মধ্যে দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামের মোছা. বুলবুলি (২৬) নামের এক নারী একটি সাদা-কালো পুরুষ বিড়ালকে বটি দিয়ে হত্যা করেন এবং বুক চিরে নারী-ভুঁড়ি বের করে বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে দেন। প্রতিবেশী এক নারী বিড়ালটিকে কুড়িয়ে এনে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আদনান আজাদ জানান, যে কোনো প্রাণীকে হত্যা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে নিষ্ঠুরভাবে বিড়ালটিকে গলা কেটে হত্যা এবং পরে পেট কেটে নাড়ি -ভুঁড়ি বের করে নেওয়া হয়েছে সেটা দেখে মনে হচ্ছে অভিযুক্ত নারী একজন সাইকোপ্যাথ। তিনি যে কোনো সময় মানুষ হত্যা করতে পারবেন।
এই ঘটনার পরে বিড়াল হত্যায় অভিযুক্ত বুলবুলির একটি স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, তরকারি থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করে খাওয়ার কারণে ক্রোধের মাথায় মাঠ থেকে বিড়ালটিকে ধরে এনে হত্যা করে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে পুড়িয়ে ফেলেছেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিড়ালের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “জিডির বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। অনুমতি পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ