জন্মদিন উপলক্ষে টানা উৎসবের মেজাজে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। মালয়েশিয়া সফর শেষে ঢাকায় ফিরেই রাজধানীর পল্লবীতে সাংবাদিক ও সহকর্মীদের জন্য পার্টির আয়োজন করেন পরীমণি। দাওয়াত পেয়ে পার্টিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানান লাক্স তারকা অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। 

গতকাল থেকে বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চললেও নীরব ছিলেন পরীমণি। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন আলোচিত এই নায়িকা। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরীমণি। 

আরো পড়ুন:

পরীমণির পার্টিতে গিয়ে প্রসূনের ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা

প্রশ্ন করবেন না, সব বলে দেব: পরীমণি

লেখার শুরুতে পরীমণি বলেন, “প্রিয় প্রসূন আজাদ, আপনি আমাকে নিয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন যে, ‘আমি আমার লোক দেখানো পার্টিতে আপনাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে অপমান করেছি!’ আপনি এ-ও বলেছেন, ‘আমি আমার নাম রৌশন করতে টাকা দিয়ে কতগুলো সান্ডা সান্ডা পান্ডা লোক রাখি, তারা অনুষ্ঠানে আসা গেস্টদের জিজ্ঞেস করেন যে, তারা কারা!’ 

প্রসূনের কাছে প্রশ্ন রেখে পরীমণি বলেন, “আচ্ছা আপু, সত্যিই কি তোমার মনে হয় আমি তোমাকে ছোট ফিল করানোর জন্য তোমাকে আমার একটা স্পেশাল ইভেন্টে ইনভাইট করব? কখনোই না বোন। তুমি নিজেও জানো আমি তোমাকে কতখানি পছন্দ করি। আমাদের কখনো দেখা হয়নি। তোমার একটা টিভি ইন্টারভিউ দেখে মুগ্ধ হয়ে আমি সাংবাদিক ইমু ভাইয়ের কাছ থেকে তোমার ফোন নাম্বার নিয়ে তোমাকে কল করেছিলাম। সেদিন কত কথা হলো আমাদের! তোমার মনে আছে, আমি তোমাকে প্রথম কী বলেছিলাম!” 

“বলেছিলাম, তুমি একজন পিওর সোল। সত্যিকারের একজন খাঁটি মানুষ তুমি। তোমার বাচ্চাদের নিয়ে তোমার এই জার্নি সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করে। তুমি একটা ইন্সপারেশন। তোমার খারাপ লেগেছে তুমি আমাকে একটা টেক্সট তো করতে পারতা আপু!” বলেন পরীমণি।

অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যাপারে পরীমণি বলেন, “যাইহোক, আমার ওই অনুষ্ঠানে আমার হায়ার করা কোনো মানুষ ছিল না; যারা ছিলেন তারা ওই প্রতিষ্ঠানের ম‍্যানেজমেন্ট থেকে ছিলেন। তারা কাউকে অপমান বা অসম্মান করার জন্য অ‍্যাপয়েন ছিলেন না। তারা আমি এবং আমার সমস্ত গেস্টদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতেই গেটে ছিলেন। ভাবুন তো, ওনারা গেটে এই সিকিউরিটি না দিলে ওই জায়গায় কী জনসাধারণের ভীড় ঠেকানো যেত? না কি এত সুন্দর শৃঙ্খল পরিবেশে পুরো অনুষ্ঠানটা শেষ করতে পারতাম! তারা কেবল তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।”

দুঃখ প্রকাশ করে পরীমণি বলেন, “আপনি নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, যারা ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তারা সবাই নিজ নিজ অবস্থানে কত বড় মানুষ। তারা কিন্তু কেউ ছোট ফিল করেননি। আপনি জানেন না হয়তো তাহলে, এই দেশের প্রচুর মানুষ এখনো আমার নাম জিজ্ঞেস করেন। এই তো সেদিন সিজেএফবির অনুষ্ঠানে আমাকে ইউরোর চেয়ারম্যান বললেন কি নাম তোমার? আমি তাতে মোটেও অবাক হইনি। বরং আমার ভালো লাগে আমার নাম বলতে। আমি পরীমণি। আমি খুবই দুঃখিত আপনার কাছে।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর মন চলচ চ ত র অন ষ ঠ ন প রস ন

এছাড়াও পড়ুন:

অ-অভিবাসী ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রায় ৮০ হাজার অ-অভিবাসী ভিসা বাতিল করেছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, হামলা ও চুরির মতো অপরাধের অভিযোগ রয়েছে—এমন অ–অভিবাসীদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওয়াশিংটন এক্সামিনারের প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর থেকে অভিবাসনবিরোধী ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে বৈধ ভিসাধারী অনেক অভিবাসীকেও তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন নিয়মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই-বাছাই আরও কঠোর করা হয়েছে এবং আবেদনকারীদের স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া বাড়ানো হয়েছে।

অ-অভিবাসী ভিসা বাতিলের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজারটি ঘটেছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে। হামলা করার জন্য বাতিল করা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ভিসা এবং চুরির জন্য আরও ৮ হাজার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এই তিন ধরনের অপরাধ চলতি বছরের মোট ভিসা বাতিলের প্রায় অর্ধেক।

গত আগস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ওয়াশিংটন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া ও আইন লঙ্ঘনের কারণে ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ দেওয়াসংক্রান্ত অভিযোগও ছিল।

গত মাসে মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ডানপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড–সম্পর্কিত মন্তব্য করায় অন্তত ছয়জনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, তিনি শত শত—সম্ভবত হাজারো মানুষের ভিসা বাতিল করেছেন। এর মধ্যে শিক্ষার্থীও আছেন। কারণ, তাঁরা এমন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

চলতি বছরের নির্দেশনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকদের বলা হয়েছে, বিদেশে থাকা আবেদনকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে, যাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বৈরী মনোভাব থাকতে পারে অথবা যারা রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন এবং গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনার কারণে শিক্ষার্থী ও গ্রিন কার্ডধারী ভিসাধারীরা দেশ থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেন। তাঁদের এসব কর্মকাণ্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং অভিযোগ করা হয়েছে, তারা হামাসপন্থী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আলব্যের কামুর দর্শন, চরিত্র ও পাঠক
  • অকৃতজ্ঞ মানুষদের সাহায্য করা বন্ধ করুন: ভাবনা
  • গোঁফওয়ালা শাকিবকে দেখে ভক্তদের উল্লাস
  • নতুন বিশ্বের সন্ধিক্ষণে একজন মুসলিমের ১০ অপরিহার্য অঙ্গীকার
  • এ গ্যাদা, এবার আমার সিরিয়াল
  • যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো
  • আমি শালিনিকে অনেক কষ্ট দিয়েছি: অজিত
  • সিরিয়ায় বিমান ঘাঁটি করবে যুক্তরাষ্ট্র
  • অ-অভিবাসী ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন