Prothomalo:
2025-11-07@16:09:29 GMT

‘গুলবাহার’-এর পর ‘যাব যাব মন’

Published: 7th, November 2025 GMT

‘দাঁড়ালে দুয়ারে’, ‘নিঠুর মনোহর’, ‘জেনে নিয়ো’ থেকে ‘গুলবাহার’—একের পর এক সাড়া জাগানো গানে পরিচিতি পেয়েছেন সংগীতশিল্পী ঈশান মজুমদার। গায়কি আর ব্যতিক্রমী পরিবেশনায় আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন তিনি।

মাস পাঁচেক আগে প্রকাশিত ‘গুলবাহার’ গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ছড়িয়ে পড়েছিল। ইউটিউবে গানটির ভিডিও ২ কোটি ৮০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। গানটি এখনো শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে।

‘গুলবাহার’ প্রকাশের পাঁচ মাস পরও ঈশানের কোনো গান আসেনি। গান পেতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন অনুরাগীরা।

ঈশান মজুমদার প্রথম আলোকে জানালেন, অনুরাগীদের আর খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। এই মাসেই তাঁর গাওয়া ‘যাব যাব মন’ শিরোনামে ফোক ঘরানার গানটি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে গানটির পোস্টপ্রোডাকশনের কাজ চলছে। গানের কথা লিখেছেন যশ নমুদার, যুগ্মভাবে সংগীতায়োজন করেছেন ঈশান ও দীপ্র আহমেদ।

গত বছর জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গানের ভিডিও চিত্রে দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। মডেল হিসেবে আবদুল্লাহ আল সেন্টু ও মার্শিয়াকে দেখা যাবে। ঈশান মজুমদার বলেন, ‘সাঁতাও সিনেমায় সেন্টু ভাই খুব ভালো অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি, তাঁর সঙ্গে মার্শিয়াকে নেওয়া হয়।’

ক্যারিয়ারে অল্প কয়েকটি গান করেছেন ঈশান, বেশির ভাগ গানই মেলোডি–নির্ভর। প্রায় প্রতিটি গানই শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে ঈশান বলেন, ‘আমার গান এত মানুষ শুনছে, এটা স্বপ্নের মতো। আমি যে রকম লিখতে পারি, গাইতে পারি, সেভাবেই গান বানাই। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়, আমার আর্টওয়ার্ক সেভাবেই মানুষের সামনে উপস্থাপন করি। মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা আমাকে প্রচুর উৎসাহ ও সাহস দিয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে এত মানুষের মধ্যে আমার গান তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন।’

আরও পড়ুনগুলবাহার হতে অনেকেই তেমন আগ্রহ দেখায়নি১০ জুলাই ২০২৫

‘যাব যাব মন’ ছাড়াও আরও দু–তিনটি গান রেকর্ড করেছেন ঈশান। শিগগিরই ভিডিও চিত্রের কাজ করবেন, ধারাবাহিকভাবে একে একে গানের ভিডিও প্রকাশ করবেন। এর বাইরে আরও কয়েকটি গান লেখা রয়েছে তাঁর।

২০২৩ সালে কোক স্টুডিও বাংলায় ‘দাঁড়ালে দুয়ারে’ গেয়ে পরিচিতি পান ঈশান। ঈশানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক শ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা সাহসী তরুণরা লড়াই করেছে নূর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সংগ্রামী এবং সাহসী তরুণ রয়েছে যারা এই নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাসিনার পতনের জন্য লড়াই করেছে। মানুষের সমর্থন পেলে তারাই আগামীর  জনপ্রতিনিধি হবে।

শুক্রবার(৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজবিরোধী তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের মত কেউ কেউ চাঁদাবাজি করে দাবি করে তিনি নুরু বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মাদকের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়। শুধুমাত্র ব্যক্তি পাল্টায় দৃশ্যপট পাল্টায় না।

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কল-কারখানা, শিল্প মালিকদের কাছ থেকে আগে শামীম ওসমানের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের লোকের চাঁদা নিতো। এখনো কেউ না কেউ চাঁদা নিচ্ছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাস বন্ধে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট দরকার। কিন্তু কেউ সেটি চায় না। কারণ সবাই ভোটকেন্দ্র দখল করার জন্য, গুন্ডামি, মাস্তানি করার জন্য তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ কোন দিকে এবং কীভাবে পরিচালিত হবে তার ফয়সালা হবে এই নির্বাচনে। তাই ছাত্র-জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা নির্বাচনে কাদেরকে ভোট দিবেন। ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে দেশের ভালো হবে। পেশিশক্তি, কালো টাকার মাফিয়া, দুর্বৃত্তদের পেছনে স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ।

গণঅধিকার পরিষদ এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেনি দাবি করে  নুরুল হক বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বিবেচনার পর জোটের কথা ভাববেন।

নুরুল হক আরও বলেন,  ক্ষমতা জনগণের কাছে। কাজেই জনগণ যদি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলেই কেবলমাত্র পরিবর্তন সম্ভব। শুধুমাত্র টেলিভিশনে টকশো কিংবা রাজনীতির মাঠে বক্তব্য দিয়ে দেশ পরিবর্তন হবে না। মানুষকে পরিবর্তন হতে হবে।

নুরুল হক বলেন, ৫ আগস্টের আগে যে স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা নিয়ে তরুণরা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে গণঅভ্যুন্থানের  পরের ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি।
 
৫ই আগস্টের পূর্বে যেই স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তরুণরা নিজের জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে এই ২৪শের গণঅভ্যুন্থানের পরের মাসে সেই স্বপ্ন এবং পরিবর্তন কতটুকুপূরণ হয়েছে? পূরণ কি হয়েছে? পূরণ হয় নাই। কাজেই ওই যে আমরা রাজপথে বারবার স্লোগান দেই। দিয়েছি তো রক্ত। আরো দেব রক্ত। আমরা আর রক্ত দিতে চাই না। আমরা আর রক্ত দিব না।

রক্ত ২৪শে জুলাই গণহত্যা পর্যন্ত যা দিয়েছি সেই রক্তের শপথ গড়া এই শহীদদের স্বপ্নের সারা বাংলাদেশ নির্মাণ করবো। ২৪শে জুলাই পরবর্তী এটাই হোক আমাদের দীপ্ত শপথ। ঠিক। আমরা যারা রাজপথে বারবার স্লোগানে বলি শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।

কিন্তু বাংলাদেশের গত ৫০ বছরে শহীদের রক্ত অনেক ক্ষেত্রেই বৃথা গিয়েছ। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা যেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি সেটি পূরণ হয় নাই

সম্পর্কিত নিবন্ধ