বন্দরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 7th, November 2025 GMT
বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়াগাও এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়াজী ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আউয়াল রবি মিয়াজী (৫৩) ও বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে সোনাকান্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন (৪৫)।
ধৃতদের মধ্য আওয়ামীলীগ নেতা রবি মিয়াজীকে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১৪(৮)২৪ নং মামলায় ও অপরধৃত ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে বন্দর থানার দায়েরকৃত ৩(৯)২৫ নং মামলায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে বন্দর থানার বালিয়াগাও ও দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার শাহীমসজিদ এলাকার ইসলামী আন্দোলনের সমর্থক জাহিদ আলআমিন প্রকাশ বুলবুল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের খাবার সরবারাহ করে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ জুলাই ২০২৪ ইং রাত সাড়ে ১২টায় গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ কর্মী ইমরানসহ আ’লীগ সমর্থিতরা বন্দর শাহীমসজিদস্থ একটি অটোরিক্সা গ্যারেজে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ২৩ টি অটোরিক্সা ও চার্জার ও ১টি টেলিভিশন লুটপাট করে নিয়ে।
এ মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে আওয়ামীলীগ নেতা রবি মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়। এ ছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে বন্দর থানার দায়েরকৃত ৩(৯)২৪ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, বন্দরে ‘অপরেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান চলমান রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বন্দর থানার দায়েরকৃত পৃথক ২টি মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা সাহসী তরুণরা লড়াই করেছে নূর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সংগ্রামী এবং সাহসী তরুণ রয়েছে যারা এই নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাসিনার পতনের জন্য লড়াই করেছে। মানুষের সমর্থন পেলে তারাই আগামীর জনপ্রতিনিধি হবে।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজবিরোধী তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের মত কেউ কেউ চাঁদাবাজি করে দাবি করে তিনি নুরু বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মাদকের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়। শুধুমাত্র ব্যক্তি পাল্টায় দৃশ্যপট পাল্টায় না।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কল-কারখানা, শিল্প মালিকদের কাছ থেকে আগে শামীম ওসমানের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের লোকের চাঁদা নিতো। এখনো কেউ না কেউ চাঁদা নিচ্ছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাস বন্ধে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট দরকার। কিন্তু কেউ সেটি চায় না। কারণ সবাই ভোটকেন্দ্র দখল করার জন্য, গুন্ডামি, মাস্তানি করার জন্য তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ কোন দিকে এবং কীভাবে পরিচালিত হবে তার ফয়সালা হবে এই নির্বাচনে। তাই ছাত্র-জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা নির্বাচনে কাদেরকে ভোট দিবেন। ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে দেশের ভালো হবে। পেশিশক্তি, কালো টাকার মাফিয়া, দুর্বৃত্তদের পেছনে স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ।
গণঅধিকার পরিষদ এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেনি দাবি করে নুরুল হক বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বিবেচনার পর জোটের কথা ভাববেন।
নুরুল হক আরও বলেন, ক্ষমতা জনগণের কাছে। কাজেই জনগণ যদি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলেই কেবলমাত্র পরিবর্তন সম্ভব। শুধুমাত্র টেলিভিশনে টকশো কিংবা রাজনীতির মাঠে বক্তব্য দিয়ে দেশ পরিবর্তন হবে না। মানুষকে পরিবর্তন হতে হবে।
নুরুল হক বলেন, ৫ আগস্টের আগে যে স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা নিয়ে তরুণরা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে গণঅভ্যুন্থানের পরের ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি।
৫ই আগস্টের পূর্বে যেই স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তরুণরা নিজের জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে এই ২৪শের গণঅভ্যুন্থানের পরের মাসে সেই স্বপ্ন এবং পরিবর্তন কতটুকুপূরণ হয়েছে? পূরণ কি হয়েছে? পূরণ হয় নাই। কাজেই ওই যে আমরা রাজপথে বারবার স্লোগান দেই। দিয়েছি তো রক্ত। আরো দেব রক্ত। আমরা আর রক্ত দিতে চাই না। আমরা আর রক্ত দিব না।
রক্ত ২৪শে জুলাই গণহত্যা পর্যন্ত যা দিয়েছি সেই রক্তের শপথ গড়া এই শহীদদের স্বপ্নের সারা বাংলাদেশ নির্মাণ করবো। ২৪শে জুলাই পরবর্তী এটাই হোক আমাদের দীপ্ত শপথ। ঠিক। আমরা যারা রাজপথে বারবার স্লোগানে বলি শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।
কিন্তু বাংলাদেশের গত ৫০ বছরে শহীদের রক্ত অনেক ক্ষেত্রেই বৃথা গিয়েছ। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা যেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি সেটি পূরণ হয় নাই