আ. লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে, সম্ভাবনার কথা বললেন আসিফ নজরুল
Published: 8th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ বা তার কোনো কোনো অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ বা তার কোনো কোনো অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে। নিষিদ্ধ করার মতো প্রয়োজনীয় আইনও দেশে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা মো.
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন এনসিপি নেতারা। আরও একাধিক দল ও সংগঠন এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের প্রভিশন যুক্ত করা হবে (আইনে)। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার হবেই। বিচারের কাজ ত্বরান্বিত করতে ট্রাইব্যুনাল-২ গঠিত হচ্ছে। পরে সন্ধ্যায় এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি সমাজে প্রবলভাবে রয়েছে। গণ–অভ্যুত্থানকালে গণহত্যার পরও তাদের মধ্যে অপরাধবোধের অনুপস্থিতি, ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন হীন কর্মকাণ্ড ও পলাতক শেখ হাসিনার চরম উসকানিমূলক বক্তব্য দেখার পর এই দাবি সমাজে আরও সোচ্চারভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগ বা এর কোনো কোনো অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল আরও বলেন, অনেকগুলো মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। অচিরেই কিছু মামলার বিচার কার্য শুরু হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ষ দ ধ কর র সরক র র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিপ্লব সফল করতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “যে কোনো বিপ্লব তখনই সফল হবে যখন সংগঠন শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “আজকের সমাজের হতাশার মূল কারণ হলো বিপ্লবী সংগঠনের অভাব।”
আরো পড়ুন:
ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে: ফখরুল
নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন: ফখরুল
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে কমরেড বদরুদ্দীন উমরের শোকসভায় বক্তৃতা করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “যারা সমাজ বদলাতে চান এবং সাধারণ মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে চান, তাদের অবশ্যই সংগঠনকে আরো মজবুত করতে হবে।”
তিনি প্রয়াত কমরেড বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার আদর্শ ও সংগ্রামের সঙ্গে কোনো আপস করেননি।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিপ্লব তখনই সফল হয় যখন তার পেছনে একটি শক্তিশালী সংগঠন থাকে। আজকের যে একটা হতাশা এসেছে, এই হতাশার মূল কারণ হচ্ছে সংগঠনের অভাব। বিপ্লবী সংগঠন যদি না থাকে তাহলে বিপ্লব হয় না।”
তিনি আরো বলেন, “নতুন প্রজন্মের উচিত বদরুদ্দীন উমরের মতো আদর্শিক ও আপসহীন নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া। উমরের ভাষায়: বিপ্লব করতে হলে একেবারে মানুষের কাছে চলে যেতে হবে।”
শোকসভার শুরুতে প্রয়াত বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মাহবুবউল্লাহ, কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, ড. আকমল হোসেন, কমরেড সজীব রায় এবং অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ