আওয়ামী লীগ বা তার কোনো কোনো সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ বা তার কোনো কোনো সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে। নিষিদ্ধ করার মতো প্রয়োজনীয় আইনও দেশে রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা মো.

আবদুল হামিদ বুধবার রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এ খবর প্রকাশের পর আজ দুপুর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিতে শুরু করেন নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন এনসিপি নেতারা। আরও একাধিক দল ও সংগঠন এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের প্রভিশন যুক্ত করা হবে (আইনে)। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার হবেই। বিচারের কাজ ত্বরান্বিত করতে ট্রাইব্যুনাল-২ গঠিত হচ্ছে। পরে সন্ধ্যায় এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ সরক র র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রিপ উইকনেস বা হাতের মুঠোর দুর্বলতা দূর করবেন কীভাবে

কেন হয়, লক্ষণ কী

বেশ কিছু কারণে এই সমস্যা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কারপাল টানেল সিনড্রোম, ঘাড়ের মেরুদণ্ডে রেডিকুলোপ্যাথি, স্নায়ুজনিত সমস্যা (ডায়াবেটিসের কারণে হতে পারে), স্ট্রোকের পর দুর্বলতা ও মোটর নিউরন ডিজিজের মতো নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। এ ছাড়া ডি কুইরভেনস টেনোসাইনোভাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা অস্টিওআর্থ্রাইটিস, ট্রিগার ফিঙ্গার ও টেনডন ইনজুরির কারণেও হতে পারে। মায়োপ্যাথি ও মাসকুলার ডিসট্রফির মতো পেশির সমস্যা এবং হাতের ফ্র্যাকচার ও নার্ভে ইনজুরির মতো আঘাতজনিত সমস্যায় হাতের মুঠো দুর্বল হয়ে যায়।

গ্রিপ উইকনেস হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে কোনো বস্তু ধরতে গেলে হাত থেকে পড়ে যাওয়া, লেখার সময় কলম ঠিকমতো না ধরতে পারা, বোতাম লাগানো ও নব ঘুরিয়ে দরজা খুলতে সমস্যা হওয়া, হাতে ঝিমঝিম বা অবশ ভাব ও পেশির ক্ষীণতা ইত্যাদি।

আরও পড়ুনমিডি ড্রেসে ৬ রঙে কেয়া পায়েল, ২৫টি ছবিতে দেখুন তাঁর সাজপোশাকের খুঁটিনাটি২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসা ও করণীয়

ফিজিয়্যাট্রিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ রোগের উপশম সম্ভব। এর জন্য আগে মূল কারণ নির্ণয় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগের সঠিক ইতিহাস ও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। যদি সন্দেহ হয় যে নিউরোপ্যাথি, তাহলে ইমএমজি বা এনসিভি পরীক্ষা করতে হবে। টেনডন ইনজুরি বা নার্ভে চাপ মনে হলে সে ক্ষেত্রে এমআরআই বা আলট্রাসাউন্ড করতে হবে।

কিছু থেরাপি বেশ কাজের। এর মধ্যে একটি হলো হাতের ফিজিওথেরাপি। ফিঙ্গার স্ট্রেচ, রিস্ট এক্সটেনশন ফ্লেক্সন স্ট্রেচ করা যেতে পারে। হ্যান্ড গ্রিপার ব্যবহার, বিশেষ বস্তু নিয়ে স্কুইজ, রাবার ব্যান্ড দিয়ে ফিঙ্গার এক্সটেনশন করতে পারেন। বাটনিং প্র্যাকটিস ও পেগ বোর্ড গেমেও উপকার পাওয়া যায়।

ব্যথা হলে টেনস থেরাপি, কারপাল টানেল বা টেনডনের প্রদাহে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, পেশির শক্তি ও নমনীয়তা বাড়াতে নিউরোমাস্কুলার ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন, স্প্লিন্ট ব্যবহার, রিস্ট কক আপ স্প্লিন্ট, থাম্ব স্পিকা স্প্লিন্ট, রেস্টিং হ্যান্ড স্প্লিন্ট করা যেতে পারে। স্ট্রোকের পর মিরর থেরাপি কার্যকর।

আরও পড়ুনবান্দরবানের গহিনে একটি কুকুর যেভাবে গাইড হয়ে আমাকে পথ দেখাল৯ ঘণ্টা আগে

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রদাহরোধী ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। নিউরোপ্যাথি থাকলে গাবাপেনটিন বা প্রিগাবালিন, ভিটামিন বি১, বি৬, বি১২ ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা অন্য বাতরোগ থাকলে তার চিকিৎসা নিতে হবে।

সহজে ধরা যায়, এমন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। এক হাতে কাজ করার উপায় শিখে নিতে হবে। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির ইলেকট্রিক টুথব্রাশ, স্বয়ংক্রিয় তালা, ভয়েস অ্যাকটিভেটেড ফোন ব্যবহার করতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিতে হবে। ভারী বস্তু তোলা যাবে না।

ডা. সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনমাসে কতবার ইমারজেন্সি পিল খাওয়া নিরাপদ৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ