চিকিৎসার জন্য চার মাস বিদেশে থাকার পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বিমানবন্দর সড়কে ভিড় করেছিলেন। তাঁরা ‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগান দেন। অনেকের হাতে ফুল, রঙিন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ছিল।

গত জানুয়ারি মাসে যখন খালেদা জিয়া লন্ডন যান, তখন নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছিল, কবে তাঁর চিকিৎসা শেষ হবে? কবে দেশে ফিরবেন? চিকিৎসক ও দলের নেতা-কর্মীরা জানালেন, তিনি আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ। গাড়ি থেকে নেমে নিজেই হেঁটে বাসায় গেছেন।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা নিশ্চয়ই নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করবে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর খালেদা জিয়া সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও দলের নেতা-কর্মীরা তাঁর ওপরই বেশি ভরসা রাখেন। দলের ঐক্যের প্রতীক মনে করেন।

আরও পড়ুনখালেদা জিয়ার নিজের মতো করেই প্রত্যাবর্তন০৭ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করলেও বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। কার্যত তিনি অন্তরিন ছিলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁর জামিনের আবেদন করা হলেও প্রত্যাখ্যাত হয়। অথচ একই ধরনের মামলায় দণ্ডিত এইচ এম এরশাদ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও নাজমুল হুদা জামিন পেয়েছেন। কারাবন্দী অবস্থায় হাজি সেলিমকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু খালেদা জিয়াকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটাই হলো একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ নারীর প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের ‘মহানুভবতার’ নমুনা।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা ১৭ বছর ধরে রাজপথে আছেন। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁদের রাজপথে থাকার ঘটনাটি ছিল ভিন্ন আবহের। তাঁরা দূর থেকে নেত্রীকে একবার দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। খালেদা জিয়াও হাত নেড়ে তাঁদের শুভেচ্ছার জবাব দিয়েছেন।

দলের নেতারা তাঁকে রাজনীতিতে আবার সক্রিয় দেখতে চান। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে।’ স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘তিনি তো রাজনীতিতে সক্রিয় আছেনই। আমরা সব সময় তাঁর কাছ থেকে নির্দেশনা নিতাম।’ খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে এই নেতা কৌশলী উত্তর দেন, ‘নির্বাচন এলে দেখা যাবে। আগে নির্বাচনের ঘোষণা আসুক।’

তারেক রহমানের রাজনীতিতে আসার পটভূমি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছিল, তখন তিনিই দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। নিয়তির সন্তান তাঁকেই বলা হয়, যিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে লক্ষ্যে পৌঁছে যান। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে দ্য উইক বলেছে, ‘তারেক বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন। কারণ, তাঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।’

একজন রাজনীতিকের সত্যিকারের জনপ্রিয়তা পরিমাপ করা হয় ক্ষমতার বাইরে থাকতে। ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম ও দলীয় কর্মীরা নেতা-নেত্রীর বন্দনায় মগ্ন থাকেন। আবার তাঁরাও কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে ‘বাধ্যতামূলক’ সমীহ আদায় করতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন। কিন্তু ক্ষমতা থেকে চলে গেলে সেই জনপ্রিয়তা বুদ্‌বুদের মতো উবে যায়।

খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। তিনি ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে এবং ৬ বছর প্রায় বন্দিজীবন যাপন করার পরও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। এমন বহু মানুষ পাওয়া যাবে, যাঁরা বিএনপির রাজনীতি করেন না, বিএনপির নীতি-আদর্শেরও সমর্থক নন, তাঁরাও রাজনীতিক হিসেবে খালেদা জিয়াকে পছন্দ করেন। এটি তিনি অর্জন করেছেন ব্যক্তিগত সৌজন্যবোধ ও মৃদুভাষিতা দিয়ে। আমাদের অতিকথনের রাজনীতিতে কম কথা বলাও বড় গুণ।

খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরেন আশির দশকের গোড়ার দিকে, যখন দলের বাঘা বাঘা নেতা সেনাশাসক এরশাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত ক্যারিশমা ও তরুণ কর্মীদের সহযোগিতায় দল পুনর্গঠিত করেন। তিনি এরশাদের অধীন কোনো নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আপসহীন খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক পণ্ডিতের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণ করে বিএনপি যে জয়ী হয়, তার পেছনেও মূল চালিকা শক্তি ছিলেন খালেদা জিয়া। অনেক নেতা বা নেত্রী দলের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ান। আর অনেক নেতা-নেত্রী নিজের ভাবমূর্তি দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন। খালেদা জিয়া দ্বিতীয় সারিতে পড়েন।

আরও পড়ুনখালেদা জিয়ার ভাষণ যে পার্থক্য দেখাল০৬ মার্চ ২০২৫

বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা ছিল, খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একসঙ্গে দেশে ফিরবেন। কিন্তু তারেক রহমান তাঁর সঙ্গে এলেন না। এসেছেন তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান। এর পেছনে কি বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কৌশল কাজ করেছে, না বাধ্যবাধকতার কোনো বিষয় আছে?

বিএনপির একাধিক নেতা ব্যক্তিগত আলাপে বলেছেন, তারেক রহমান যেকোনো সময় দেশে আসতে পারেন। তারেক রহমান দেশে না এলেও ২০১৮ সাল থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলকে সংগঠিত করছেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন। তারপরও দলের দুই শীর্ষ নেতার শারীরিক অনুপস্থিতি নেতা-কর্মীদের অনেকটা লাগামহীন করেছে। বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীরা হানাহানিতে লিপ্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিএনপির নেতাদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা মুখস্থ জবাব দেন, ‘বিএনপি বড় দল, এর লাখ লাখ কর্মী। বিএনপির নেতৃত্ব একে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। কেউ হানাহানিতে লিপ্ত হলে কিংবা চাঁদাবাজি-দখলবাজি করলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ নেতারাও আরও দৃঢ়তার সঙ্গে এসব কথা বলতেন। তাঁরা দলের ও সরকারের সর্বনাশ করেছেন।

আরও পড়ুনখালেদা জিয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কেন এই দরদ!১১ মার্চ ২০২৩

খালেদা জিয়া দেশে আসার পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা আশাবাদী হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, তারেক রহমান কবে আসবেন? তিনিই তো দল চালাচ্ছেন। তারেক রহমানের দেশে আসার পথে বাধা কী। তাঁকে নিয়ে বিদেশি পত্র-পত্রিকায়ও লেখালেখি হচ্ছে। ব্রিটিশ সাপ্তাহিকী দ্য উইক তারেক রহমানকে নিয়ে প্রচ্ছদ করেছে। শিরোনাম ‘ডেসটিনি’স চাইল্ড’ বা নিয়তির সন্তান। লেখাটি লিখেছেন পত্রিকার নয়াদিল্লি ব্যুরোপ্রধান নম্রতা বিজি আহুজা।

তারেক রহমানের রাজনীতিতে আসার পটভূমি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছিল, তখন তিনিই দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। নিয়তির সন্তান তাঁকেই বলা হয়, যিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে লক্ষ্যে পৌঁছে যান। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে দ্য উইক বলেছে, ‘তারেক বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন। কারণ, তাঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।’

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি বা তারেক রহমানের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এটা যেমন বিএনপির জন্য সৌভাগ্যের, তেমনি ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন রাজনীতি কোনো দলের জন্য সুখকর হয় না।

অতীতে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ একাধিকবার নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী ছিল, যা দল ও দেশকে স্বেচ্ছাচারিতার দিকে নিয়ে গেছে। এখন ‘ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী’ তারেক রহমান নতুন রাজনৈতিক দিগন্তের স্থপতি হবেন, না পূর্বসূরিদের ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন—এ প্রশ্ন রেখেছেন ওই বিশ্লেষক।

সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক ও কবি

(মতামত লেখকের নিজস্ব)

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন র ব এনপ র ন ত ন র জন ত ক র র জন ত ত ল গ সরক র কর ম দ র কর ছ ন বল ছ ন র জন য কর ম র ও দল র ক ষমত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্যের সামনে স্কাইডাইভার, তৈরি হয়েছে এক অলীক আলোকচিত্র

প্রাচীন গল্পে আছে, ইকারাস মোমের ডানা নিয়ে সূর্যের খুব কাছে উড়ে গিয়েছিল। তখন মোম গলে গেলে ইকারাস নিচে পড়ে যায়। সৃজনশীল এক ফটোগ্রাফার সম্প্রতি সূর্যের দারুণ এক ছবি তুলে সেই দৃশ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় একজন স্কাইডাইভার মাত্র এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশের জন্য সূর্যের সামনে দিয়ে নেমে যান। ঠিক তখনই তাঁকে ক্যামেরাবন্দী করেন অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি। জ্বলন্ত সূর্যের মুখের ওপর দিয়ে যেন এক মানব প্রতিকৃতি নিচে নেমে গেল, এমন দৃশ্য ধরা পড়ে ক্যামেরা লেন্সে। দৃষ্টিবিভ্রমের এক অসাধারণ কীর্তি তৈরি করেছেন অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি।

অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি নিখুঁতভাবে তাঁর ক্যামেরা দিয়ে একজন স্কাইডাইভারকে ক্যামেরার সংকীর্ণ ফিল্ড অব ভিউয়ের মধ্য দিয়ে নেমে যাওয়ার সময় ধারণ করেন। ছবিটি বেশ পরাবাস্তব এক অনুভূতি তৈরি করেছে। ইকারাসকে নিয়ে প্রাচীন মিথের সঙ্গে ছবিটি তুলনা করেছেন অনেকেই।

অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি চাঁদ ও সূর্যের অত্যন্ত সূক্ষ্ম ছবি তোলার জন্য পরিচিত। তিনি সূর্যের সামনে স্কাইডাইভারের এই একটি মাত্র ছবির জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সূর্যের ছবি তোলা এমনিতেই কঠিন কাজ। সেখানে সূর্যের সামনে গতিশীল একটি বিমান বা একজন পতিত মানবকে একই ফ্রেমে আনা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। বিমানটির গতিপথ, সূর্যের কোণ, ক্যামেরার অবস্থান ও স্কাইডাইভারের অবতরণের মতো সব বিষয়কে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে এক করে কাজটি হয়েছে।

অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রু ম্যাককার্থি বলেন, ‘বলা যায়, একেবারে অযৌক্তিক একটি কাজ করেছি। যদিও চূড়ান্ত ছবিটি দারুণ এক অনুভূতি দেয়। স্কাইডাইভার ছিলেন ইউটিউবার ও সংগীতজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল সি ব্রাউন। সে সূর্যের উত্তাল হলুদ পৃষ্ঠের বিপরীতে একটি কালো সিলুয়েট বা ছায়ামূর্তি হিসেবে ছবিতে চলে এসেছে। সূর্যের অবস্থান ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল দূরে হলেও ক্যামেরায় দারুণভাবে দেখা যাচ্ছে সব। ইকারাসের সঙ্গে তুলনা করা ছবি অসম্ভব বলে মনে হয়। আগুনের মতো সৌর ক্রোমোস্ফিয়ারের আবহের বিপরীতে একটি সত্যিকারের মানব চিহ্ন আমাদের মুগ্ধ করে। দেখে মনে হবে যেন, মহাকাশে কেউ নিচে পড়ে যাচ্ছে।’

স্কাইডাইভাররা ব্রাউনের ৩ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা থেকে পতন শুরু করলে প্রায় ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে প্যারাসুট খোলার আগে ছবি তোলার সুযোগ মেলে। ম্যাককার্থি একটি লুন্ট ৬০ মিলিমিটার এইচ–আলফা ক্যামেরায় তার ফ্রি ফলের ছবি তোলেন। একটি এএসআই ১ হাজার ৬০০ মিলিমিটারে একক এক্সপোজার ধারণ করা হয়। আসলে এই বিভ্রমের মূল কারণ হচ্ছে দূরত্বের সামঞ্জস্য। ব্রাউন একটি ছোট বিমান থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ ফুট ওপর থেকে লাফ দেন। আর ম্যাককার্থি প্রায় আট হাজার ফুট দূরে অবস্থান করেছিলেন। স্কাইডাইভার অবশ্যই সূর্যের কাছে ছিলেন না। শুধু ক্যামেরার দৃষ্টিকোণ থেকে নিখুঁত অবস্থানের কারণে স্কাইডাইভারকে অসম্ভব কাছাকাছি দেখাচ্ছিল। আসলে লাফ দেওয়ার আগে বিমানটিকে সঠিক অবস্থানে আনার জন্য ছয়বার চেষ্টা করতে হয়েছে। স্কাইডাইভারকে ফ্রেমে ধরার জন্য মাত্র একবারের সুযোগ ছিল। ম্যাককার্থি তাঁর মনিটরে সেই ক্ষুদ্র অবয়বটিকে সূর্যের আলোর সঙ্গে মিলিয়ে একটি নিখুঁত অবয়ব ধারণ করেন।

এই ছবিকে অনেকেই পৌরাণিক রূপকথার সঙ্গে তুলনা করছেন। গ্রিক মিথের ইকারাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ম্যাককার্থির এ ছবিটি সেই আখ্যানকেই একটি আধুনিক ও স্পষ্ট রূপে যেন তুলে ধরছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে’
  • এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে হঠাৎ কেন অবস্থান নিলেন ট্রাম্প
  • এশিয়ার প্রভাবশালী নারী ব্যবসায়ী কারা, কীসের ব্যবসা তাঁদের
  • করদাতা মারা গেলেও যে কারণে কর দিতে হয়, কীভাবে দেওয়া হয়
  • ৩ কোটি টাকা, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজসহ আরও যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
  • গায়িকা থেকে বিধায়ক, মৈথিলীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারী চমকে ওঠার মতো
  • সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেন উপদেষ্টার এপিএস
  • বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
  • সাজা হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘কনভিকশন ওয়ারেন্টের’ আবেদন করা হবে
  • সূর্যের সামনে স্কাইডাইভার, তৈরি হয়েছে এক অলীক আলোকচিত্র