Prothomalo:
2025-06-24@13:00:02 GMT

হ্যালো, কাছের মানুষজন...

Published: 9th, May 2025 GMT

‘ছোটবেলা থেকে সিনেমা পছন্দ করতাম। তবে সিনেমা দেখার সুযোগ ছিল কম। তখন বিটিভি ও একুশে টিভিতে সিনেমা দেখতাম। সিনেমা নিয়ে আমার জ্ঞান বলতে অতটুকুই ছিল; ওই সিনেমাগুলোকেই দুনিয়ার সেরা সিনেমা মনে করতাম,’ প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন রাশেদুজ্জামান রাকিব।
প্রায় আট বছরের পথচলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন রাকিব। দেশের চলচ্চিত্রবিষয়ক শীর্ষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর তিনি। আলাদা ঢঙে বাংলা সিনেমা নিয়ে ভিডিও বানিয়ে সাড়া ফেলেছেন। গত সোমবার প্রথম আলো কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন রাকিব। শোনালেন দর্শক থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে ওঠার গল্প।
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে রাকিবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। শৈশবের সিনেমা দেখার একমাত্র মাধ্যম ছিল টেলিভিশন। পর্দার বাইরের জীবনটা তাঁর চেনা ছিল না। ২০০৭ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁকে একটি কম্পিউটার কিনে দেন বাবা। কম্পিউটার পাওয়ার পর সিনেমা দেখার দুনিয়াটা বড় হতে থাকে।

কৈশোরের স্মৃতি হাতড়ে রাকিব বলেন, ‘তখন পাঁচ টাকায় নাটকের সিডি ভাড়া পাওয়া যেত। হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সিডি আনতাম। সিডি সাত দিন রাখা যেত। সাত দিন ধরে একই নাটক দেখতাম। ফলে নাটক প্রায় মুখস্থ হয়ে যেত।’ একসময় দেখা গেল, কুড়িগ্রামের ওই দোকানের নাটকের সব সিডি দেখে শেষ করে ফেলেছেন রাকিব। পরে কম্পিউটারে সিনেমা দেখা শুরু করেন তিনি। রাকিবের ভাষ্য, ‘তখন খুঁজে খুঁজে “জানে তু ইয়া জানে না”, “রব নে বানা দি জোড়ি”, “গজনি” দেখেছিলাম। যেটাই দেখতাম, সেটাই সেরা মনে হতো।’

রাশেদুজ্জামান রাকিব। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় মামলা, আসামি ৬ জনই স্বেচ্ছাসেবক দলের

‘মব’ তৈরি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পুলিশ ফরিদসহ ছয়জনকে শনাক্ত করেছে। তাঁরা সবাই ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পুলিশ এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছে। মামলায় ফরিদসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাতে হানিফ মিয়া নামের একজনকে সেনাবাহিনী আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব। তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মামলায় এজাহারনামীয় অন্য আসামিদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের তুরাগ থানার সভাপতি দুলাল, উত্তরা পশ্চিম থানার আহ্বায়ক সেলিম, উত্তরা পূর্ব থানার যুগ্ম আহ্বায়ক কাইয়ুম এবং দলের কর্মী মুজাম্মেল হোসেন ঢালী। ভিডিওতে দেখা গেছে, নূরুল হুদাকে জুতা দিয়ে মারছিলেন মুজাম্মেল হোসেন ঢালী।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় কে এম নূরুল হুদাকে জুতা দিয়ে মারধর, তাঁর মানহানি এবং বাসায় অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া নূরুল হুদার বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে মব তৈরি করা হয়েছিল। মামলার এজাহারে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা সবাই ঘটনাস্থলে ছিলেন।

রাজধানীর উত্তরার বাসায় ঢুকে গত রোববার একদল লোক নূরুল হুদাকে বের করে আনেন, জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করে পুলিশে সোপর্দ করেন। দেখা গেছে, ঘটনার সময় সেখানে পুলিশও উপস্থিত ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ