আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সূর্য উঠলে দেখতে পাবেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে।

সোমবার দুপুরে বিদেশি একটি সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, সরকার গেজেট প্রকাশ করলেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। যেহেতু সরকার এখনও গেজেট প্রকাশ করেনি, সেহেতু এ ব্যাপারে ইসি এখনও ভাবেনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গেজেটের জন্য অপেক্ষা করছি। পত্র-পত্রিকার সংবাদে তো আর ইসি সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। গেজেট অনুযায়ী ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের আন্দোলনের মুখে শনিবার (১০ মে) আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শনিবার (১০ মে) রাত ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনী অনুমোদিত হয়। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ উপদ ষ ট আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

চীন সফরের সে দিনগুলোর কথা এখনও মনে পড়ে: খুরশীদ আলম

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আজ দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বরেণ্য সংগীতশিল্পী মো. খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ‘মুস্তাফা জামান আব্বাসীর চলে যাওয়া সংগীত জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ, তিনি শুধু অনবদ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন না, একই সঙ্গে ছিলেন সংগীত গবেষক, উপস্থাপক, লেখক, পরিচালক– এক কথায় দেশীয় সংস্কৃতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব। কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি কিংবদন্তি মরমী শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের সুযোগ্য উত্তরসূরি।’

খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘বড় মাপের এ সাংস্কৃতিককে কখনও মনে অহম ভর করতে দেখিনি। মানুষটি ছিলেন খুবই সহজ-সরল। আমরা যারা অনুজ তাদের সঙ্গেও অনায়াসে মিলেমিশে গান গাইতেন।’

স্মৃতিচারণ করে করে খুরশীদ আলম বলেন, ‘এখনও মনে পড়ে, তাঁর সঙ্গে চীন সফরের সে দিনগুলোর কথা। সেটি ছিল ১৯৭৭ সাল। আমার প্রথম বিদেশ সফর। সেখানে গিয়ে কীভাবে কী করব, তা নিয়ে কিছুটা ভয় ছিল। কিন্তু আব্বাসী ভাইয়ের সঙ্গে মেশার পর সব ভয়-সংকোচ মুহূর্তেই কেটে গিয়েছিল। আমরা তাঁর সঙ্গে দল বেঁধে কোরাস গানও গেয়েছি। তিনি লোকসংগীতে যেমন অতুলনীয়, তেমনি ইসলামী গান বিশেষ করে হামদ-নাতেও ছিলেন দারুণ পারদর্শী। নানা বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা যেমন ছিল, তেমনি ছিল অগাধ জ্ঞান।’

খুরশীদ আলমের কথায়, ‘সবকিছু মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের মহিরুহ; যার শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, যেখানে থাকুন, তাঁর আত্মা যেন শান্তিতে থাকে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত
  • এখনও গায়েবি মামলা ও মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা হচ্ছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • অভিযান এখনও চলছে: ভারতীয় বিমানবাহিনী
  • কীভাবে বুকের এই কষ্ট চেপে রাখব: পূজা চেরি
  • অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও, এখনও রেড অ্যালার্ট জারি
  • ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের
  • আমি জানি, তুমি আমাকে দেখছ
  • চীন সফরের সে দিনগুলোর কথা এখনও মনে পড়ে: খুরশীদ আলম
  • হিলি বাজারে উঠেছে অপরিপক্ক লিচু, কিনছেন অনেকেই