আ.লীগ সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 12th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ মিছিল করা বা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এই কথা জানান।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “প্রজ্ঞাপনে যে ধরনের নির্দেশনা আছে আমরা সেভাবেই কাজ করব। এ বিষয়ে সেদিন (শনিবার) বিস্তারিত বলে দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।”
আরো পড়ুন:
সামাজিক মাধ্যমে আ.
র্যাব পুনর্গঠন হচ্ছে, উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আইন যেটা হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের।”
আওয়ামী লীগ তো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে, তারা ঝটিকা মিছিল, রাতে মিছিল করছে-এক্ষেত্রে আপনাদের কার্যক্রম কী হবে-জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা যদি আমাদের আগে জানিয়ে দিতে পারেন তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারব। আর গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যদি আমরা জানতে পারি তাহলেও আমরা ব্যবস্থা নেব।”
এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের লাল পাসপোর্টের বৈধতা নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে তদন্তের জন্য কমিটি করা হয়েছে। আর তিনি ছিলেন একজন রাষ্ট্রপতি, তার জন্য এটা প্রযোজ্য কি না তা দেখতে হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতির কাছে এই পাসপোর্ট রাখা বৈধ ছিল না অবৈধ ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। রাষ্ট্রপতিরা কিন্তু কিছু কিছু সুযোগ সুবিধা পান। তাই প্রটোকলের বাইরে কিছু হয়েছে কি না, তা দেখা হবে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপত ব যবস থ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”
আরো পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”
“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”
জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।
ঢাকা/এসবি