কবি নজরুলের জন্মজয়ন্তী উদযাপনের দাবি ত্রিশালে
Published: 13th, May 2025 GMT
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী কবির বাল্যস্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে জাতীয় পর্যায়ে পালনের দাবিতে আন্দোলন চলছে। ‘আমরা ত্রিশালবাসী’ ব্যানারে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার ঘণ্টাখানেক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। পরে ইউএনও আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
জানা গেছে, সরকারি সিদ্ধান্তে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী জাতীয় পর্যায়ে কুমিল্লায় পালনের ঘোষণা হয়েছে। এমন খবরে ফুঁসে ওঠেন ত্রিশালের নজরুলভক্তরা। তারা চান, কবির বাল্যস্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান। এ দাবি আদায়ে প্রথম দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সোমবার স্থানীয় নজরুল অডিটোরিয়ামের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ‘আমরা ত্রিশালবাসী’র ব্যানারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এতে ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকে মহাসড়কে যানচলাচল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নজর ল
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশবান্ধব সনদ পেল নতুন ৫ কারখানা
নতুন করে আরও পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৮।
পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হলো ঢাকার আশুলিয়ার টিম গ্রুপের সাউথ অ্যান্ড সোয়েটার, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পূর্বাণী ফ্যাশন, চট্টগ্রামের কেডিএস ফ্যাশন, ময়মনসিংহের রাঈদা কালেকশনস ও গাজীপুরের জয়দেবপুরের টেক্সইউরোপ বিডি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে পাঁচটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৫৮টি কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে।
নতুন সনদ পাওয়া চারটির কারখানার মধ্যে চারটিই লিড প্লাটিনাম পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে সাউথ অ্যান্ড সোয়েটার, পূর্বাণী ফ্যাশন, কেডিএস ফ্যাশন ও রাঈদা কালেকশনস। অন্যদিকে টেক্সইউরোপ বিডি লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
বাংলাদেশের যে ২৫৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১০৯টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১৩৩টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৬টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১২টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার তালিকায় স্থান পেয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বাংলাদেশের ১১টি। বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে গাজীপুরের তানিশা ফেব্রিকস (এডমিন বিল্ডিং)। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৭ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে গাজীপুরের এসএম সোর্সিং, গাজীপুরের তানিশা ফেব্রিকস (আরএমজি বিল্ডিং), ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের ইস্প্রিট অ্যাপারেলস, নিট এশিয়া ও ইন্ট্রিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ।