সুনীল শেঠি, অক্ষয় কুমার ও পরেশ রাওয়াল অভিনীত বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি সিনেমা ‘হেরা ফেরি’। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজির প্রথম পার্ট মুক্তি পায় ২০০০ সালে। অর্ধযুগের বিরতি ভেঙে নির্মিত হয় সিনেমাটির দ্বিতীয় পার্ট। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজিতে রাজু, শ্যাম ও বাবুরাও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন অক্ষয়, সুনীল ও পরেশ।

নির্মিত হচ্ছে ‘হেরা ফেরি’ ফ্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। আগেই জানা গেছে ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমায় থাকছেন না অক্ষয় কুমার। গত কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, বাবুরাও অর্থাৎ পরেশ রাওয়ালও সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই প্রবীণ অভিনেতা। অবশেষে এ বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন পরেশ রাওয়াল।

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন পরেশ রাওয়াল। তাতে এ অভিনেতা লেখেন, “আমি স্বীকার করছি, ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে এসেছি। তবে সৃজনশীল মতপার্থক্যের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি আবারো বলছি, চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে সৃজনশীল কোনো মতবিরোধ নেই। চলচ্চিত্র পরিচালক মিস্টার প্রিয়দর্শনের প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস রয়েছে।”  

আরো পড়ুন:

ভেঙে ফেলা হতে পারে মিঠুনের বাড়ি!

ফের শাহরুখের সিনেমায় রানী মুখার্জি!

বছরের পর বছর ধরে, ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমার চিত্রনাট্যে অসংখ্য পরিবর্তন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। শুরু থেকেই দর্শকরা চাচ্ছিলেন অক্ষয়, সুনীল, পরেশ রাওয়াল একসঙ্গে পর্দায় আসুক। কিন্তু তা হয়নি। তবে সর্বশেষ পরেশ রাওয়ালের এই সিদ্ধান্ত সিনেমাটির ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পরিচালক ঠিক কীভাবে সিনেমাটির কাজ সামনে এগিয়ে নেবেন তাই এখন দেখার বিষয়!         

অভিষেক বচ্চন, জন আব্রাহাম ও কার্তিক আরিয়ান সিনেমাটিতে নতুন করে যুক্ত হবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ