আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ আরএফএলের ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড ‘ভিশন’ ক্রেতার জন্য বাজারে নিয়ে এসেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চেস্ট ফ্রিজার। আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি ‘ব্লু ফ্লাওয়ার’ মডেলের এই ফ্রিজারে যুক্ত করা হয়েছে ডিজিটাল টেম্পারেচার কনট্রোল প্যানেল, যা গ্রাহকের পণ্য ঠান্ডা রাখার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি। 
গত বৃহস্পতিবার নরসিংদীর ডাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ভিশনের নিজস্ব কারখানায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন ভিশন চেস্ট ফ্রিজারের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বর্তমানে ১৫০, ২৫০ ও ৩৫০ লিটারের ‘ব্লু ফ্লাওয়ার’ মডেলের এ চেস্ট ফ্রিজার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর দাম ৩২ হাজার ৫০০ থেকে ৪৭ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে। 
নতুন পণ্য সম্পর্কে ভিশন রেফ্রিজারেটর ও এসির নির্বাহী পরিচালক মো.

নুর আলম বলেন, ‘গ্রাহকদের প্রয়োজন ও ব্যবহার সহজ করে তুলতে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তির পণ্য বাজারে আনছি। ভিশনের চেস্ট ফ্রিজার ইতোমধ্যে গুণগতমান, বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের জন্য ক্রেতার আস্থা অর্জন করেছে। নতুন মডেলটি ভিশনের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আমরা আশা করছি।’ 
ভিশন রেফ্রিজারেটরের হেড অব মার্কেটিং মোহিত চক্রবর্তী বলেন, ভিশনের ‘ব্লু ফ্লাওয়ার’ মডেলের চেস্ট ফ্রিজারে রয়েছে ইলেকট্রনিক কনট্রোল প্যানেল, যার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পাশাপাশি ডিজিটাল টেম্পারেচার ডিসপ্লে থাকায় ফ্রিজারের ভেতরের তাপমাত্রা সবসময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। সহজ কনট্রোলিং সিস্টেম থাকায় যে কোনো বয়সের ব্যবহারকারীর জন্য এটি ব্যবহার করা একেবারেই সহজ। 
তিনি আরও বলেন, নতুন ভিশন চেস্ট ফ্রিজারে ব্যবহৃত টেম্পারেচার কন্ট্রোল প্যানেল শুধু তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণই নয়, খাদ্যদ্রব্যের গুণগত মান বজায় রাখতেও কার্যকর। এতে সংরক্ষিত খাবার দীর্ঘসময় ভালো ও পুষ্টিগুণ অটুট থাকে। একইসঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে বিদ্যুৎ খরচও তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন সাইজের ভিশনের ২০টি মডেলের চেস্ট ফ্রিজার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিশনের চেস্ট ফ্রিজার কিনলে ক্রেতা পাবেন ১০ শতাংশ মূল্যছাড় এবং ১৬ পিসের একটি গিফট বক্স। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

আবার আড্ডা হবে জমবে শান্ত দুপুর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে সবুজ গাছগাছালির পথ ধরে ক্লাসে যাচ্ছিলেন আবদুল্লাহ আল মুজাহিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তিনি। প্রতিদিনের চেনা পথে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন মুজাহিদ। দীর্ঘদিন পর অনেকটা পরিত্যক্ত ঝুলন্ত সেতু নতুন রঙে নতুন  সেজেছে। মুজাহিদ বললেন, ‘এতদিন ঝুলন্ত সেতুর দিকে তেমন চোখ পড়ত না। কারণ এটি ঢাকা ছিল ঝোপঝাড়ে, প্রবেশপথে ছিল কাঁটাতারের বেড়া। অথচ এ সেতুটি ছিল শিক্ষার্থীদের বিনোদনের একটি ভালো উপলক্ষ।’ গত ১৪ মে সমাবর্তন উপলক্ষে সংস্কার করা হয়েছে চবির ঝুলন্ত সেতু। ছয় বছর ধরে বন্ধ ছিল এই সেতু। শিগগিরই সেতুটি খুলে দেওয়া হবে। মুজাহিদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বললেন, ‘ঝুলন্ত সেতুর এই জায়গায় আসলে রাঙামাটির কথা মনে পড়ে। এটি খুলে দিলে ক্লাস শেষে এখানে বসে আমরা আড্ডা দেব।’ 
২০০৯ সালে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুর আদলে নির্মিত হয়েছিল চবির এই ঝুলন্ত সেতু। সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে থাকা খালের ওপর সেতুটি অল্প সময়ে ক্যাম্পাসের অন্যতম নান্দনিক ও জনপ্রিয় স্থাপনা। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করতেন এই পথে। কেউ দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেন, কেউ খালের ধারে বসে কাটাতেন শান্ত দুপুর।
তবে নির্মাণের ১০ বছর পর ২০১৮ সালের দিকে ঝুলন্ত সেতু বন্ধ হয়ে যায়। সেতুটি জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। কাঠের কাঠামোতে পোকায় ধরে, পিলারগুলো হয়ে যায় দুর্বল। শেষে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভর্তি পরীক্ষার আগে সংস্কারের অজুহাতে সেতুটি কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপর কেটে গেছে ছয় বছর। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দাবির পরও সংস্কার হয়নি সেতুটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বরাদ্দ করা ২০ লাখ টাকায় সেতুর সংস্কারকাজ 


শুরু করেছি। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে প্রধান করে গঠিত হয়েছে সেতু বাস্তবায়ন কমিটি। ঝুলন্ত সেতুটি শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই এটি এখন কাঠের বদলে স্টিলের কাঠামোয় আরও মজবুতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন এই সেতু হবে আরও নিরাপদ ও আধুনিক। সেতুর দুই পাশে বসানো হচ্ছে শক্তিশালী পিলার, যুক্ত করা হচ্ছে উন্নতমানের বাতি। খাল পরিষ্কার করে সেটিকে হ্রদে রূপ দেওয়া হচ্ছে। খালের সাথে থাকা পয়োনিঃস্কাশনের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাখা হবে বিকল্প পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা।’
সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘আমরা এমনভাবে এটি নির্মাণ করছি, যাতে ভর্তি পরীক্ষার সময় একসাথে শতাধিক মানুষও চলাচল করতে পারে। পাশে একটি ফুলের বাগান তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে, যা পরিবেশকে করে তুলবে আরও রূপময়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে মাতৃপূজা অনুষ্ঠিত 
  • ভিন্ন মাত্রায় পালন শাহজালাল (রহ.) বার্ষিক ওরস
  • “নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৫” উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
  • জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির নানা কর্মসূচি
  • জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির নানা কর্মসূচি গ্রহণ 
  • আবার আড্ডা হবে জমবে শান্ত দুপুর
  • আমরা যুদ্ধ জিতেছি, তবে শান্তি চাই: শাহবাজ শরিফ
  • উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি
  • আমরা যুদ্ধ জিতেছি, তবে শান্তি চাই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দাবি