শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। রাজস্ব খাতের প্রশাসন আলাদা করার কাঠামো কীভাবে হবে, তা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশ সংশোধন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদ করে আসছেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অচলাবস্থা চলছে সারা দেশের শুল্ক-কর কার্যালয়ে।

এনবিআর এখন রাজস্ব নীতি প্রণয়ন এবং আদায়—দুটো কাজ করে থাকে। নতুন অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব নীতি প্রণয়ন একটি বিভাগ করবে এবং আদায় করবে আরেক বিভাগ।

আজ পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় চারটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এক, যেহেতু অধ্যাদেশটি প্রয়োজনীয় সংশোধন করে বাস্তবায়ন করার কাজটি অনেক সময়সাপেক্ষ, এনবিআরের সব কার্যক্রম আগের মতো অব্যাহত থাকবে এবং কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদ্যমান ব্যবস্থায় সব কার্যক্রম সম্পাদন করবেন; দুই, বিসিএস (কর) ও বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে পৃথক্‌করণের প্রশাসনিক কাঠামো কীভাবে প্রণীত হবে, তা এনবিআরসহ গুরুত্বপূর্ণ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে; তিন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব কার্যক্রম আগের মতো অব্যাহত থাকবে; চার, কাস্টমস ও কর ক্যাডারের সদস্যদের কোনো পদ-পদবি কমানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই; বরং সংস্কারকাজ সম্পাদন হলে তাঁদের পদসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং সচিব পদে নিয়োগসহ পদোন্নতির সুযোগ আরও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আজ এনবিআরে অবসরপ্রাপ্ত দুজন সদস্যের মধ্যস্থতায় দিনব্যাপী দফায় দফায় আলোচনার একপর্যায়ে সমঝোতা প্রস্তাব সম্পূর্ণ মেনে নেওয়ার পরও শেষ মুহূর্তে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এদিকে আজ দুপুরে নিজেদের দাবিদাওয়া প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় জমা দেয় আন্দোলনরত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল। তাদের চার দফা স্মারকলিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। দাবিগুলো হলো—জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা; এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ; রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ প্রকাশ করা; সব শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতে সংস্কার করা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর মকর ত ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর এই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ

‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন পরবর্তী ১১ দিনের মধ্যে তফসিল প্রস্তুত ও ঘোষণা করবে। এছাড়া কমিশন ধাপে ধাপে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এর মধ্যে থাকবে— জকসু নির্বাচন নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন; ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময়; ভোটার তালিকা প্রণয়ন, খসড়া প্রকাশ ও সংশোধন; চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ; মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি; প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রচারণা কার্যক্রম।

সবশেষে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, একই দিনে অফিসিয়াল ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন, দাবি-দাওয়া ও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অবশেষে প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলো প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধি ও বিধি অনুযায়ী রোডম্যাপের প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়িত হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • প্রকৌশল পেশাজীবীদের দাবি পূরণে উপাচার্য-অধ্যক্ষদের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক
  • এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের