দুধে বাদাম-কিশমিশ মিশিয়ে হাতে বানানো আইসক্রিমটির সুনাম মুখে মুখে
Published: 23rd, May 2025 GMT
সাধারণ নিয়মে শুধু দুধ-চিনি মিশিয়ে হাতে তৈরি আইসক্রিম বানানো শুরু করেন বিশ্বনাথ পাল (৪৬)। এগুলোর তেমন বিক্রি হতো না। এতে কিছুটা হতাশ হন তিনি। তবে থেমে যাননি তাঁর স্ত্রী কাকলি পাল (৩০)। পরিকল্পনা করেন, এসব উপকরণের সঙ্গে যোগ করবেন কাজুবাদাম, কিশমিশ, সন্দেশ আর দুধের সর।
এতেই কাজ হলো। স্বাদের কারণে হু হু করে বাড়তে থাকল তাঁদের বানানো আইসক্রিমের বিক্রি। একসময় যশোরের কেশবপুর উপজেলায় জনপ্রিয়তা পায় আইসক্রিমটি। বর্তমানে এর খ্যাতি কেশবপুরের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
বিশ্বনাথ পাল ও কাকলি পাল দম্পতির বসবাস কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া বাজারে।
বিশ্বনাথ বলেন, প্রায় ২৬ বছর আগে বাড়ির সামনে একটি ছাপরা দোকান দেন। সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির আইসক্রিম বিক্রি করতেন। প্রায়ই কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাঁকে আইসক্রিম দিতে চাইতেন না। তখন থেকে জেদ করেন, নিজেই আইসক্রিম বানিয়ে বিক্রি করবেন। সে–ই শুরু। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী কাকলির রেসিপি অনুসরণ করে আইসক্রিম তৈরি করে ভালো ফল পেয়েছেন। সেটিকে বেশ সুস্বাদু বলে স্বীকৃতিও দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। বর্তমানে পাঁজিয়া বাজারের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাঁদের আইসক্রিমের দোকানটির অবস্থান। অনেকের কাছে এখন সেটি ‘বউদির আইসক্রিম’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রথমে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা এ আইসক্রিম খেয়ে ভালো বলত। তারপর ধীরে ধীরে এর সুখ্যাতি ছড়াতে থাকে। নিয়মিতই এ আইসক্রিম কিনে খায় পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র তানভীর হাসান সিজন ও নবম শ্রেণির ছাত্র মন্দিরা হালদার। তারা জানায়, বিদ্যালয়ে এলে তারা আইসক্রিমটি খায়। আইসক্রিমটি খেতে খুবই মজা। এর স্বাদের কাছে হার মেনে যায় যেকোনো ব্র্যান্ডের আইসক্রিম।
এখন দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন আইসক্রিমটির স্বাদ নিতে দোকানটিতে আসেন। ফলে সেখানে ভিড় লেগেই থাকে। এটিকে স্থানীয় ঐতিহ্য উল্লেখ করে পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল ব্যানার্জি বলেন, পাঁজিয়ার রসগোল্লার খ্যাতি যেমন দেশ-বিদেশজুড়ে, তেমনি বউদির আইসক্রিমও পাঁজিয়ার ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আইসক র ম ব শ বন থ ক শবপ র
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি