একজন আবু সাঈদের আত্মা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে। তাঁর সঙ্গে অন্য আত্মারা মিলে তাদের বিতাড়িত করেছে দেড় দশকের মসনদ থেকে।

২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ায় আগুনে আত্মাহুতি দেওয়া ক্ষুদ্র বিক্রেতা তরুণ মোহাম্মদ বুয়াজিজির আত্মা কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা আরবকে। সূচনা করে আরব বসন্তের। সরকারের পতন হয় তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া ও ইয়েমেনে। আন্দোলনের বড় ধাক্কা লাগে বাহরাইনে; আলজেরিয়া, জর্ডান, মরক্কো, কুয়েত ও ওমানও বাদ যায়নি এই বসন্তের ছোঁয়া থেকে। সিরিয়া বয়ে বেড়িয়েছে দেড় দশকের গৃহযুদ্ধ। নিষ্পত্তি হয়, বাশার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে।

এই ভূমিকার উদ্দেশ্য হলো, আত্মারা যে লোকচক্ষুর অন্তরালের বিষয় নয়, তারা যে অনেক বেশি শক্তিশালী, তা বোঝানো। অর্থাৎ নিপীড়নের মাধ্যমে কোনো আত্মাকে দেহ থেকে তাড়িয়ে দিলেও তা জায়গা করে নেয় জীবন্ত অনেক আত্মার মধ্যে। সুপ্ত থাকে ইতিহাসের পাতায়। আলোচনা হয় পাঠচক্রে, আদর্শবাদীদের সভায়। এভাবে লোকান্তরের আত্মারা আবার রসদ হয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে বিদ্রোহে-বিপ্লবে।

আসুন ফিলিস্তিনের গাজার শিশুদের আত্মাদের নিয়ে একটু কথা বলি। গাজার আকাশে যখন ইসরায়েলের বোমার শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়, তখন সেখানকার শিশুদের কান্না সেই শব্দকে ছাপিয়ে যায়। শিশুর চোখে যখন ভয়, ক্ষুধা ও ব্যথার ছাপ স্পষ্ট হয়, তখন মানবতার মুখে কলঙ্ক লাগে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০টি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে। এই সংখ্যা শুধু পরিসংখ্যান নয়; প্রতিটি সংখ্যা একটি জীবন্ত স্বপ্নের অপমৃত্যু। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক মাসে ২৯ শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি খাদ্যাভাবে মারা গেছে। অন্যদিকে ২৩ মে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার আগের দুই দিনে গাজায় অনাহারে মারা গেছেন ২৯ শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। এর থেকে অনুমান করা যায়, গাজায় খাদ্যাভাবে-অনাহারে মারা যাওয়া শিশুর সংখ্যা অনেক। ধারণা করতে পারেন, যে গ্রহে প্রতিদিন টনে টনে রান্না করা খাবার অপচয় হচ্ছে, সেই গ্রহে একটি শিশু ঘণ্টার পর ঘণ্টা খাদ্য-পানির অভাবে ছটফট করতে করতে মারা যাচ্ছে!

গাজার আকাশে যখন ইসরায়েলের বোমার শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়, তখন সেখানকার শিশুদের কান্না সেই শব্দকে ছাপিয়ে যায়। শিশুর চোখে যখন ভয়, ক্ষুধা ও ব্যথার ছাপ স্পষ্ট হয়, তখন মানবতার মুখে কলঙ্ক লাগে।

খাদ্য ও ওষুধের সংকটে গাজার শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। নথিবদ্ধ হিসাবমতে, সেখানে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫৭টি শিশু অপুষ্টির কারণে মারা গেছে। জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর নাগাদ সেখানে ৭১ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত হতে পারে। বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ভিডিওতে প্রকাশিত শিশুদের ছবি দেখে বোঝার উপায় নেই, তারা যে বেঁচে আছে। কঙ্কালসার বাচ্চাগুলোকে দেখলে মনে হয়, প্লাস্টিকের এলিয়েনের বাচ্চারূপী কোনো পুতুল বিছানায় পড়ে আছে!

গাজায় আহত শিশুদের মধ্যে অনেকেই চিরস্থায়ী প্রতিবন্ধিতার শিকার। ২০২৪ সালের এক হিসাবে দেখা গেছে, সেখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫টি শিশু বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। ফলে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের প্রয়োজন। এই শিশুদের অনেকেই হাত বা পা হারিয়েছে, কেউ কেউ দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি হারিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকের হিসাব, ইসরায়েলি নিষ্ঠুরতার ফলে গাজায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার শিশু এতিম হয়েছে। তাদের কেউ মায়ের কোল হারিয়েছে, কেউ বাবার স্নেহ; কেউ আবার উভয়কেই। এই শিশুরা এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে, যেখানে নেই নিরাপত্তা, নেই ভালোবাসা।

গাজায় ইসরায়েল যা করছে তা হলো, ‘মৃত্যুর রাজনীতি’ বা থানাটোপলিটিকস। এটি মিশেল ফুকোর বায়ো-পাওয়ার বা ‘জীবনশক্তির রাজনীতি’র বিকাশধর্মী রূপ। গাজার শিশুদের জীবন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে দখলদার আরেকটি ‘রাষ্ট্র’ দিয়ে উপেক্ষিত, প্রান্তিক ও লয়প্রাপ্ত। সেখানে চলছে নেক্রোপলিটিকস। অর্থাৎ সেখানে দখলদার রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কে বাঁচবে আর কে মরবে। গাজার ক্ষেত্রে ক্যামেরুনীয় রাজনৈতিক তাত্ত্বিক জোসেফ-অ্যাচিল এমবেম্বের নেক্রোপলিটিকসের আলোচনা আরও বিশদভাবে প্রযোজ্য হচ্ছে। এমবেম্বে আফ্রিকান প্রেক্ষাপটে নেক্রোপলিটিকসের যে ধারণা দিয়েছিলেন, তা গাজায় আরও উগ্রভাবে দেখা যাচ্ছে। গাজার শিশুরা এমন এক জনগোষ্ঠী, যাদের অস্তিত্বই ইসরায়েলের দৃষ্টিতে হুমকি। অর্থাৎ তারা গাজার একেকটি শিশুর মধ্যে একেকজন ইয়াহিয়া সিনওয়ার বা মোহাম্মদ দেইফকে দেখতে পাচ্ছে।

ইসরায়েলি রাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিডিয়া গাজার শিশুদের মৃত্যু ও যন্ত্রণাকে ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আসলে একধরনের মতাদর্শিক হেজিমনি, যেখানে নির্যাতিতের দিকটা চাপা পড়ে যায়। নির্যাতিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী একটি সংখ্যায় রূপ নেয় মাত্র। গাজার শিশুরা এই আধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বলি, তাদের মৃত্যু যেন ‘শোকহীন জীবন’ বা আনগ্রিয়েভেবল লাইভস’। এটি মার্কিন দার্শনিক জুডিথ পামেলা বাটলারের গ্রিয়েভেবিলিটি ধারণার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। বাটলার মনে করেন, সব মৃত্যু সমানভাবে শোকযোগ্য বা গ্রিয়েভেবল নয়। কারণ, আমাদের সমাজে কোন জীবনকে মূল্যবান ধরা হয় আর কোনটিকে ধরা হয় না, তার ওপর ভিত্তি করে শোক প্রকাশিত হয়।

ফরাসি আলজেরীয় দার্শনিক জ্যাক দেরিদার মতে, প্রতিটি বিপ্লবের পেছনে অতীতে অবিচারের শিকার মানুষের আত্মা থাকে, যারা ন্যায্যতার দাবি রেখে যায়। যারা বর্তমানকে প্রভাবিত করে ও ভবিষ্যতের ন্যায়বিচারের দাবি তোলে। জুডিথ বাটলার বলেন, আনগ্রিয়েভেবল লাইভস—যাদের জন্য আমরা শোক করি না, তারা মৃত্যুর পরও রাজনৈতিকভাবে জীবিত থাকে। কারণ, তাদের মৃত্যু রাষ্ট্র বা সমাজের ওপর অভিযোগপত্র হয়ে থাকে। জার্মান দার্শনিক ওয়াল্টার বেঞ্জামিন বলেন, ইতিহাসের প্রতিটি দমনকৃত মানুষ বিচারের দাবি রেখে যায় ভবিষ্যতের ওপর। অর্থাৎ গাজার হতাহত মানুষেরা ভবিষ্যতে যে ইসরায়েলের জন্য যম হয়ে আসবে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। পশ্চিমা পুরো শক্তি নিয়েও দখলদার ইসরায়েল গত ১৯ মাসে সেখানে যুদ্ধনীতিতে জয়ী হতে পারেনি। ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এখনো তাদের প্রতিরোধ করে যাচ্ছেন স্বাধিকার আন্দোলনের যোদ্ধারা।

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘যদি পৃথিবীতে কোনো নরক থাকে, তবে তা গাজার শিশুদের জীবন। এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আদালতে জবাবদিহি করতে হবে।’ আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলকে কতটা জবাবদিহি করতে হবে বা এই জবাবদিহিতে কী লাভ হবে, তা আমাদের জানা নেই। তবে গাজার হাজার হাজার শিশুর আত্মা যে আগামী দিনগুলোতে ইসরায়েলকে তাড়িয়ে বেড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একটা কথা বলাই যায়, নিরস্ত্র মানুষের তাড়া বড় ভয়ংকর। এই তাড়া শোষকের ঘুম ও ঘাম দুটোই কেড়ে নেয়।

মো.

ছানাউল্লাহ প্রথম আলোর সহসম্পাদক

[email protected]

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র র জন ত অর থ ৎ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগের সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায় বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

রবিবার (২ নভেম্বর) ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক, জিএস এসএম ফরহাদ ও এজিএস মুহা: মহিউদ্দিন খান স্বাক্ষরিত ‘রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কাৃরের বিরোধিতা এবং ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো অক্ষুণ্ন রাখার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ডাকসুর প্রতিবাদ' শীর্ষক এক প্রতিবাদলিপিতে এ কথা বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি

ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার এক সম্মিলিত বিপ্লব। কেবল সরকার পরিবর্তন নয় বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ, স্বাধীন ও শক্তিশালী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন, প্রশাসনিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল এই বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোন প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে যা সরাসরি ছাত্র–জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহা-হিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়।

যে বৈষম্যমূলক চাকরি ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করেই জুলাই বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল সেই কাঠামো পরিবর্তনের বিরুদ্ধাচরণ করে বিএনপি নতুন প্রজন্মের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করছে। পাশাপাশি জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশনের বিরোধিতা, অনুচ্ছেদ–৭০ সংস্কারে আপত্তি, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা দুজন ব্যক্তির মতো আধুনিক গণতান্ত্রিক প্রস্তাবে বিরোধিতা, আইন পেশায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা, স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সার্ভিস গঠনে তাদের আপত্তি রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে বড় বাঁধার সৃষ্টি করছে। এভাবে বিএনপি মূলত জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে অস্বীকার করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

প্রতিবাদলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সংস্কারগুলো ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থ নয় বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষ্যেই প্রস্তাবিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ গঠনের নৈতিক দায়িত্ব ছাত্র ও সর্বস্তরের জনগণের। তাই সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণ থেকে নিতে হবে। আর গণভোটই জনগণের ম্যান্ডেট নিশ্চিতের উপযুক্ত মাধ্যম। গণভোটের মাধ্যমেই জনগণ ঠিক করবে দেশের স্বার্থে কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোকে তারা সমর্থন দিবে।

কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব যদি রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তবে ছাত্র-জনতা  সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে জানিয়ে প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়, জুলাই বিপ্লব শুধু শাসক বা সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন নয় বরং জুলাই বিপ্লব হলো ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপ করে ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দখলদারদের কাছে প্রশাসনের আত্মসমর্পণ
  • বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
  • ট্রাম্প কি সত্যি ইসরায়েলি দখলদারি বন্ধ করতে চান