বায়ার লেভারকুসেন মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজকে নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ প্রেসিডেন্ট হার্বাট হায়নার বেশ বড় গলায় বলেছিলেন, ‘আমরা ম্যানসিটি ও লিভারপুলের সঙ্গে লড়াই করবো।’ জার্মানির সবচেয়ে বড় ক্লাব হওয়ায় এবং উইর্টজ জার্মান ফুটবলার হওয়ায় আত্মবিশ্বাসী ছিল বায়ার্ন। ক্লাবটি আবার জার্মান ফুটবলারদের আঁতুড়ঘরও। 

তবে হার মেনে নিয়েছেন বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট, ‘আমরা হার স্বীকার করে নিচ্ছি। ম্যাক্স আবেল (স্পোর্টিং ডিরেক্টর) জানিয়েছেন, উইর্টজ লিভারপুলের পথ ধরেছে। জানি না, লিভারকুসেনের সঙ্গে তারা কীভাবে সমঝোতা করেছে।’ 

সংবাদ মাধ্যম গোল জানিয়েছে, লিভারপুলে যেতে সম্মত হয়েছেন উইর্টজ। ‘শুধু লিভারপুলেই যাবো’ এমন কথাও নাকি বলেছেন ২২ বছর বয়সী এই তারকা। তার পরিবারও লিভারপুলের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে এবং রেডস কোচ আর্ন স্লটের প্রজেক্ট পছন্দ করেছে। 

উইর্টজকে দলে নিতে অবশ্য মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হচ্ছে লিভারপুলের। ওই অর্থ তারা কীভাবে শোধ করতে সেটাই এখন আলোচনার বিষয়। লেভারকুসেন জার্মান তরুণের জন্য ১৪০ মিলিয়ন ইউরো দাবি করেছে। চুক্তি ওই অর্থের আশপাশেই হবে বলে জানিয়েছে স্কাই স্পোর্টস। 

তবে চুক্তির আংশিক অর্থ এক বা একাধিক ফুটবলার দিয়েও শোধ করতে পারে অল রেডসরা। যেমন- লেভারকুসেন আগামী মৌসুমের জন্য একজন মিডফিল্ডার, স্ট্রাইকার, ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক দলে নেওয়ার কথা ভাবছে। লিভারপুল আবার স্ট্রাইকার ডারউইন নুনিয়েজকে বিক্রি করে দেবে। নিয়মিত খেলতে আইরিশ গোলরক্ষক কোয়েহিন কেলিহার লিভারপুল ছাড়তে চান। মিডফিল্ডার এনডোকেও ছাড়তে প্রস্তুত রেডসরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল ল ভ রক স ন

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ