যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ফান্ড কমিয়ে দেওয়া, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি বাতিলসহ নানা খগড় বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর। তবে আদালত বলেছে, উচ্চশিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থাকবে।

তবে ইচ্ছা করলেই যে কেউ পড়তে পারবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ জন্য খরচ হবে না এক পয়সাও। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়ার এ সুযোগ দিচ্ছে অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে। বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ৪০টির (কোর্স কম–বেশি হয়) বেশি কোর্স অনলাইনে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে তারা। এ পড়াশোনার জন্য কোনো কোনো কোর্সে কোনো ডিগ্রিগত যোগ্যতাও লাগবে না। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে বাড়িতে বসে যে কেউ করতে পারবেন এসব কোর্স। তবে শুধু পড়া শেষে সার্টিফিকেট পেতে গেলে লাগবে অর্থ।

আরও পড়ুনআইভি লিগ কী?০৭ মে ২০২৪

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স, হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন, ম্যাথমেটিকস, প্রোগ্রামিং, এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিং, আইটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস, ডেটা সায়েন্স, হিউম্যানিটিজ, কম্পিউটার সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স-সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়। কোর্সগুলোর সময়সীমা ৪ থেকে ১৫ সপ্তাহের। কোর্সগুলোর কারিকুলাম তৈরি করেছেন হার্ভার্ডের সেরা শিক্ষকেরাই।

তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক পাঠ্যক্রমগুলোতে টু-ডি এবং থ্রি-ডি গেম ডেভেলপমেন্ট থেকে বিভিন্ন ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপের প্রযুক্তি শেখার ব্যবস্থা রয়েছে। বিজনেস বিভাগে ইমার্জিং ইকোনমিকস, কন্ট্রাক্ট ল এবং অ্যাকাউন্টিং ও ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট বিষয়ে তিনটি প্রাথমিক কোর্স রয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিংয়ের এই যুগে ১৪টি অনলাইন কোর্স করাচ্ছে হার্ভার্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগ।

চীন ও কমিউনিজম এবং আধুনিক চীন-তাইওয়ান, হংকং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেও, সে ব্যবস্থা রেখেছে ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়। আছে শেক্‌সপিয়ার ও আইনস্টাইন নিয়ে পড়ার আয়োজনও।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়ার সুযোগ দিচ্ছে অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে। তবে পড়া শেষে কিছু কোর্সে সার্টিফিকেট পেতে গেলে লাগবে অর্থ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”

শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।

ঢাকা/রাহাত/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ