হার্ভার্ডে বিনা মূল্যে অনলাইনে পড়াশোনা, জেনে নিন বিস্তারিত
Published: 25th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ফান্ড কমিয়ে দেওয়া, বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি বাতিলসহ নানা খগড় বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর। তবে আদালত বলেছে, উচ্চশিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থাকবে।
তবে ইচ্ছা করলেই যে কেউ পড়তে পারবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ জন্য খরচ হবে না এক পয়সাও। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়ার এ সুযোগ দিচ্ছে অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে। বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ৪০টির (কোর্স কম–বেশি হয়) বেশি কোর্স অনলাইনে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে তারা। এ পড়াশোনার জন্য কোনো কোনো কোর্সে কোনো ডিগ্রিগত যোগ্যতাও লাগবে না। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে বাড়িতে বসে যে কেউ করতে পারবেন এসব কোর্স। তবে শুধু পড়া শেষে সার্টিফিকেট পেতে গেলে লাগবে অর্থ।
আরও পড়ুনআইভি লিগ কী?০৭ মে ২০২৪হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স, হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন, ম্যাথমেটিকস, প্রোগ্রামিং, এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিং, আইটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস, ডেটা সায়েন্স, হিউম্যানিটিজ, কম্পিউটার সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স-সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়। কোর্সগুলোর সময়সীমা ৪ থেকে ১৫ সপ্তাহের। কোর্সগুলোর কারিকুলাম তৈরি করেছেন হার্ভার্ডের সেরা শিক্ষকেরাই।
তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক পাঠ্যক্রমগুলোতে টু-ডি এবং থ্রি-ডি গেম ডেভেলপমেন্ট থেকে বিভিন্ন ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপের প্রযুক্তি শেখার ব্যবস্থা রয়েছে। বিজনেস বিভাগে ইমার্জিং ইকোনমিকস, কন্ট্রাক্ট ল এবং অ্যাকাউন্টিং ও ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট বিষয়ে তিনটি প্রাথমিক কোর্স রয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিংয়ের এই যুগে ১৪টি অনলাইন কোর্স করাচ্ছে হার্ভার্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগ।
চীন ও কমিউনিজম এবং আধুনিক চীন-তাইওয়ান, হংকং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেও, সে ব্যবস্থা রেখেছে ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়। আছে শেক্সপিয়ার ও আইনস্টাইন নিয়ে পড়ার আয়োজনও।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়ার সুযোগ দিচ্ছে অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে। তবে পড়া শেষে কিছু কোর্সে সার্টিফিকেট পেতে গেলে লাগবে অর্থ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি