বন্দরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখল প্রকাশিত সংবাদে তোলপাড়
Published: 25th, May 2025 GMT
ওসমান পরিবারের ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে জায়গা দখল শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বন্দরে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে দখলবাজদের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্বেও তাদের দখলকৃত সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা ও ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ দোসরদের কবল থেকে সম্পত্তি উদ্ধার ও রক্ষার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সম্পত্তির প্রকৃত মালিকের অভিযোগ প্রতিপক্ষ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জোরপূর্বক ভাবে তাদের ক্রয়কৃত জমির ওপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ব্যাবহার করে পাকা স্থাপনা নির্মানের মাধ্যমে জবরদখলসহ নানা ভাবে হুমকি দামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির ওয়ারিশগণ।
বন্দর বাজার সংলগ্ন ৪০ শতাংশ জমির মালিক ৫৫ নং এসএস শাহ রোডের মৃত: ফজলে আলী।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, বন্দর বাজারে গঙাকুল মৌজায় ৫৪ শতাংশ জমির জোতসুত্রে মালিক মিরাশ রাম কানাই সাহা।পরবর্তীতে তাদের ওয়ারিশ যতীন্দ্র নাথ পোদ্দার ও অনন্ত কুমার পোদ্দার এর পক্ষে নারায়ণগঞ্জ মুনসেফি আদালত ৩১/৭১৯৭৮ তারিখে ৪০ শতাংশ জমি সাফ কবলা রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল নং ৬১৬৩ মুলে মৃত: ফজলে আলীকে বুঝিয়ে দেন।ক্রয়সুত্রে তিনি মালিক হয়ে যথারীতি সরকারের খাজনা আদায় ও নামজারি করেন এবং ভোগদখলকার নিয়ত থাকেন।
কিন্তু বন্দর উইলসন রোড কাজী বাড়ীর আওয়ামী লীগ ও ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ দোসর নাসির উদ্দীন কাজীর প্রত্যক্ষ মদদে তার ভাই ছাত্তার কাজী কুট কৌশল অবলম্বন করে হেম চন্দ্র পোদ্দার নামে অজ্ঞাত ব্যাক্তির নাম ব্যাবহার করে জাল দলিল সৃজন করার মাধ্যমে ওই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এমনকি আদালতে মোকদ্দমা করে।কিন্তু আদালতে মিথ্যা প্রতীয়মান হওয়ায় কতিপয় হেম চন্দ্র পোদ্দার কে আদালতে হাজির করার জন্য জাতীয় পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি হয়।দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময়ের মধ্যেও তাকে হাজির করতে পারেনি।
তাদের কোনো বৈধ দলিলপত্র না থাকায় অসৎ উদ্দেশ্যে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক তাদের জমির ওপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাম ব্যাবহার করে কিছু অংশে পাকা স্থাপনা নির্মান করে কাজি নাসির উদ্দীন ও কাজি ছাত্তার গং।বাধা দিতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়েছেন তারা।
কাজী ছাত্তারের মৃত্যুর পরে তার ছেলে কাজি মিরাজ খালেদ রাসেল ও স্ত্রী মর্জিনা বেগম পুনরায় কাজি নাসিরদের সঙ্গে মিলে একইভাবে বিভিন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি আত্নসাতের চেষ্টা করছে। এ বিষয় প্রতিকারের জন্য স্থানীয় থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে একাধিক লিখিত আবেদন করেও নুন্যতম প্রতিকার পায়নি।
এ ব্যাপারে কাজী মিরাজ খালেদ রাসেল জানান, অনেক বছর আগে হেম চন্দ্র পোদ্দার তার বাবা মৃত: কাজী ছাত্তার কে রেজিষ্ট্রিকৃত পাওয়ার অব এটর্নি মুলে জমি বিক্রি করেন।এ বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় মিউটেশন করতে পারেননি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র জন য পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে