ব্রাজিল ফুটবলে কার্লো আনচেলত্তি ও সামির দাউদ অধ্যায়ের শুরু হলো। রোববার ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামির দাউদ নির্বাচিত হয়েছেন। এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজকে অপসারণ করেছেন ব্রাজিলের আদালত। 

সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন ডন কার্লো। রিয়াল মাদ্রিদের শেষ ম্যাচের পর গতকাল ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাতেই রিও ডি জেনেইরোতে পৌঁছান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন সিবিএফের পরিচালক রদ্রিগো কায়তানো। 

এরপর আনচেলত্তিকে স্বাগত জানান নতুন সিবিএফ প্রেসিডেন্ট দাউদ। তিনি জানান তার বোর্ড ব্রাজিলের ফুটলের উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে, ‘আমরা সিবিএফে নতুন যুগের সূচনা করছি। আমাদের প্রশাসন নতুন ধারণা নিয়ে ফুটবলের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে কাজ করবে।’ 

সামির দাউদ সিবিএফ নির্বাচনে একনিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। তিনি সম্ভাব্য ১৪৩ ভোটের মধ্যে ১০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রাজিলের ক্লাবগুলো তাকে সমর্থন দেওয়ায় অন্য প্রার্থীরা ঢোপে টিকতে পারেননি। সামির দাউদ পেশায় একজন চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী। তারা বাবা ব্রাজিলের ফুটবল সংগঠক ছিলেন। বাবার পরে সামির ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

ব্রাজিলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই এখন কার্লো আনচেলত্তির দল ঘোষণা করতে হবে। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমের মতে, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১২টায় আনচেলত্তি প্রথমবার ব্রাজিলের দল ঘোষণা করতে পারেন। আগামী ৬ জুন সকাল ৫টায় ইকুয়েডর ও ১১ জুন সকাল ১১টায় প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম র দ উদ স ব এফ ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ