আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এসব উদ্যোগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো এবারও নগরবাসীকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রা উপহার দিতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঈদ আনন্দ যেন কারও জন্য শোকের কারণ না হয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো.

সরওয়ার জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকার মোটরযান মেরামতকেন্দ্রগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথাও জানান তিনি।

অপরাধ প্রতিরোধ নিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের দমনে ডিএমপির টহল জোরদার করা হবে। বড় অঙ্কের টাকা বহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরিবহন খাতের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে: তারেক রহমান

মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আর কোনো ব্যক্তি যাতে গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। আর যেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের মতো অমানবিক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার এক বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এ আন্তর্জাতিক সপ্তাহ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন। আমাদের হিসেবে উল্লেখিত গুমের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে। এদের মধ্যে অধিকাংশ এখনও নিখোঁজ, অনেকেরই মৃতদেহ পাওয়া গেছে আবার অনেকদিন পর কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটি বিগত আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমুনা। উল্লেখিত সংখ্যা গুম হয়ে যাওয়া পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট এর ভিত্তিতে, আর অনেক আতঙ্কিত পরিবারই রিপোর্ট করার সাহস পায়নি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের ১০ থেকে ১৫ বছরেও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের গুমের ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। এছাড়াও গুমের শিকার হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষও। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী- কোনো ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে
  • অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কতদিন লাগিবে?
  • আর কেউ যাতে গুম না হন, রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে: তারেক রহমান
  • সীমান্তে পুশ ইনের সংখ্যা বেড়েছে, আমরা প্রতিবাদ করেছি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মাদকের ‘অভয়ারণ্য’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, দিনে বিক্রি হতো ৪০ কেজি গাঁজা
  • সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি মোতায়েন
  • কার্যকর পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই
  • মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে: তারেক রহমান