ঢাকাইয়া আকবর খুন: বিদেশ পলাতক ‘বড়’ সাজ্জাদের ভাই-ভাগনে গ্রেপ্তার
Published: 27th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বিদেশ পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘বড়’ সাজ্জাদের ভাই ওসমান আলী ও ভাগনে মো. আলভীন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আলভীনকে র্যাব-৭ ও ওসমানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সোমবার দিবাগত রাতে তাদেরর গ্রেপ্তার করা হয়।
আলভীন চান্দগাঁও থানা এলাকার ফরিদাপাড়ার জসিমের ছেলে। পৃথক অভিযানে ওসমান আলীকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা-পুলিশ। ওসমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) এ আর মোজাম্মেল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টায় চান্দগাঁও থানাধীন সিডিএ এলাকা থেকে ঢাকাইয়া আকবর হত্যায় অভিযুক্ত আলভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকার ২৩ মে রাত ৮টার দিকে একটি দোকানের সামনে আড্ডারত অবস্থায় ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ২৫ মে সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঢাকাইয়া আকবর বড় সাজ্জাদের অনুসারী ছিলেন। নানান কারণে কয়েকবছর আগে থেকে গুরু সাজ্জাদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। এটি নিয়ে আকবরের সঙ্গে বড় সাজ্জাদের অনুসারী বর্তমানে কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে তার দূরত্ব ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন আকবরকে। আকবরও ছোট সাজ্জাদ ও তামান্নাকে কটূক্তি করে ভিডিও পোস্ট করতেন।
এ দিকে আকবর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নগরীর পতেঙ্গা থানায় সোমবার মামলা রেকর্ড হয়েছে। আকবরের স্ত্রী রূপালী বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। এছাড়া মামলায় ২-৩ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ওসম ন আলভ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পতেঙ্গা সৈকতে গুলিবিদ্ধ ‘ঢাকাইয়া’ আকবর নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর। রোববার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।
এর আগে শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রকাশ্যে গুলি করা হয় তাকে। এতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। একই ঘটনায় এক শিশুসহ আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
পুলিশের ধারণা, প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হয়েছেন তিনি। আলী আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী পূর্ব মসজিদ জব্বার সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ মঞ্জুরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কারাগারে বন্দি ‘সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ’ ও বিদেশে পলাতক ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী খানের সঙ্গে ঢাকাইয়া আকবরের বিরোধ রয়েছে। তাদের নিয়ে কটূক্তি করে বিভিন্ন সময় ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করতেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকাইয়া আকবর বিদেশে পালিয়ে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ছিলেন। তার নামে নগরের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন তিনি। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গুলি কিংবা পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারতেন। কয়েক বছর আগে সাজ্জাদের সঙ্গে তার দূরুত্ব তৈরি হয়।
২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সাজ্জাদের ভাই ওসমান আলীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়া তার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সাজ্জাদ আলীর অনুসারী বর্তমানে কারাগারে বন্দী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বিরোধে জড়ান ঢাকাইয়া আকবর। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লক্ষীপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর জামিনে বের হন তিনি।