ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) কৌশলগত অ্যাক্সেলারেশন প্রোগ্রামবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) আইএসইউ মহাখালী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাব এবং অ্যাক্সেলারেটিং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

প্রোগ্রামটির মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা এবং তাদেরকে ইমপ্যাক্ট-ভিত্তিক ইনোভেশন স্টার্টআপে ক্যারিয়ার গড়ার উপযুক্ত প্রস্তুতি প্রদান করা।

অংশগ্রহণকারীরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যার কার্যকর সমাধান নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা যায়, সে বিষয়ে বিশদ ধারণা পান।

সেমিনারে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিইআইইডি এর বিএইচটিপিএ প্রকল্প পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও অ্যাক্সেলারেটিং বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মুহাম্মদ আরিফুর রহমান।

এছাড়াও বক্তব্য দেন, আইএসইউ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.

আবুল কাশেম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. হাকিকুর রহমান এবং ক্লাবের মডারেটর ও অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারপার্সন জগলুল হক মৃধা। 

এই কৌশলগত অ্যাক্সেলারেশন প্রোগ্রামটি পরিচালিত হচ্ছে ডিইআইইডি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি এবং আইসিটি ডিভিশনের সম্মিলিত সহযোগিতায়।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৫৪ বছরে বাংলাদেশ ভারতকে কী সুবিধা দিয়েছে, কতটা পেয়েছে

১৯ মার্চ ১৯৭২, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের ভূমিকাকে স্বীকৃতি ও কৃতজ্ঞতার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি সই হয়। এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে ২৫ বছরের একটি কৌশলগত ও কূটনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি। প্রাথমিকভাবে ২৫ বছরের জন্য চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালে এই চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে নবায়ন করা হয়নি।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রথম কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তি। যদিও এ চুক্তিকে ‘ভারতের আধিপত্যবাদ’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বলেও সমালোচনা আছে।

২৮ মার্চ ১৯৭২, প্রথম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয় ১৯৭২ সালের ২৮ মার্চ। এ নিয়ে ২৯ ও ৩০ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম বাণিজ্য চুক্তি অনুসারে উভয় দেশ আন্তর্জাতিক সীমানার ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে পণ্যসামগ্রী বিনিময় করবে এবং ট্রানজিট–সুবিধা পাবে। চুক্তিটি এক বছর মেয়াদের জন্য, তবে ছয় মাস পরে দুই দেশ বাস্তবায়ন পুনর্বিবেচনা করবে। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী এম আর সিদ্দিকী এবং ভারতের পক্ষে বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী এল এন মিশ্র।

চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে আগামী এক বছরে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাণিজ্য অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আমদানি করবে মাছ, কাঁচা পাট, ফারনেস অয়েল, ন্যাপথাল, জুট ব্যাচিং অয়েল, আধা পাকা গরুর চামড়া, সিল্কের সুতা, তাঁতের তৈরি সুতি দ্রব্য, গুড়, আয়ুর্বেদীয় ওষুধ এবং বইপুস্তক ও সাময়িক পত্রপত্রিকা। ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করবে সিমেন্ট, অ্যাসফল্ট, স্টোন, জিপসাম, লাইমস্টোন, তুলার সুতা, কেমিক্যাল ও ওষুধপত্র, মসলা, তামাক, যন্ত্রের খুচরা অংশ, বইপুস্তক ও সাময়িক পত্রপত্রিকা।

ভারত–বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপান্তরের আভাস দিয়ে আনচেলোত্তির ব্রাজিল দল ঘোষণা
  • ৫৪ বছরে বাংলাদেশ ভারতকে কী সুবিধা দিয়েছে, কতটা পেয়েছে
  • প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরে সাত সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে