জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আনসারের ভূমিকা আরও সুদৃঢ় হচ্ছে: মহাপরিচালক
Published: 28th, May 2025 GMT
আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাহাড়ি জনপদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বাহিনীর ভূমিকা দিন দিন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।
মঙ্গলবার বাহিনীর সামগ্রিক সক্ষমতা পর্যালোচনা, অবকাঠামো ও প্রশাসনিক চাহিদা নিরূপণ এবং পার্বত্য অঞ্চলে কর্মরত সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইউনিট ও ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন মহাপরিচালক।
সফরের অংশ হিসেবে তিনি খাগড়াছড়ির চেঙ্গী আনসার-ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন এবং চলমান ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের ৪র্থ ধাপের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক বাহিনীর চলমান সংস্কার, আধুনিকায়ন ও সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচি সম্পর্কে বক্তব্য দেন। এর আগে বান্দরবানের জামতলী আনসার ব্যাটালিয়নে হিল আনসার ও হিল ভিডিপি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন বাহিনী প্রধান।
এ সময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের সমতলে রেখে আসা পরিবারের সদস্যদের সম্প্রতি প্রবর্তিত স্বাস্থ্যসেবা-বিষয়ক সুবিধাদি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। মহাপরিচালক বাহিনীর সদস্যদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘সুখী’ অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন।
প্রথম পর্যায়ে বাহিনীর সব স্তরের স্থায়ী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন সদস্যদের জন্য এই সেবা চালু করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে সাধারণ আনসার সদস্য ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ভিডিপি সদস্যদের জন্য চালু করা হবে। যেন বাহিনীর কোনো সদস্য ও তাদের পরিবার স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আনস র র সদস য আনস র ও
এছাড়াও পড়ুন:
চাকসুতে আদিবাসীবিষয়ক পদের দাবি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সংগঠনগুলোর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) গঠনতন্ত্রে আদিবাসী বা সংখ্যালঘুবিষয়ক পদ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে চাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় চবির বিভিন্ন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ছাত্র সংগঠনগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) চবি শাখার সভাপতি রোনাল চাকমা বলেন, “আমরা চাকসুর গঠনতন্ত্রে আদিবাসী বা সংখ্যালঘু জাতিসত্তাবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি। চবিতে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। বহু ভাষা, জাতি, ধর্মে ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ক্যাম্পাস দেশে আর কোথাও নেই। পিছিয়ে পড়া এবং সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের অধিকার সুনিশ্চিতকরণ, ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা, গবেষণা নিশ্চিতকরণে এই সম্পাদক পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত হবে।”
আরো পড়ুন:
ছাত্রদলে নতুন কমিটির গুঞ্জন
ছাত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক: নোবিপ্রবির সেই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত
তিনি বলেন, “রেসিজম, বুলিং প্রতিরোধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করবে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এ দেশের সম্পদ, তা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরবে। ৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিনেটে যে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি থাকবে, তার মধ্যে পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীর এই সম্পাদক প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
সংবাদ সম্মেলনে চাকসুর গঠনতন্ত্রে এছাড়া আরো চারটি পদ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো, পরিবহন ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক, নারী বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি অথবা জিএস যেকোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি রিন রঙ্গন ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাথোয়হিসং মারমা, বিএমএসসি সাংস্কৃতিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিংয়ইপ্রু মারমা এবং ওঁরাও জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি পিযুষ টপ্য।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী