আনচেলত্তির প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের একাদশে কারা থাকছেন
Published: 28th, May 2025 GMT
ব্রাজিলের দায়িত্ব গ্রহণ করে এরই মধ্যে ২৬ জনের দল ঘোষণা করেছেন নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ব্রাজিলের স্কোয়াডে নেই নেইমার-রদ্রিগোদের মতো তারকারা। মূলত চোটের কারণে এই তারকা খেলোয়াড়দের রাখতে পারেননি আনচেলত্তি।
এখন ইতালিয়ান এই কোচকে ঘোষিত ২৬ জনের স্কোয়াড থেকেই বেছে নিতে হবে পছন্দের একাদশ। সেই একাদশ কেমন হতে পারে, সেই সম্ভাব্য তালিকাটি সামনে এনেছে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কারা থাকতে পারেন আনচেলত্তির প্রথম একাদশে।
গোলরক্ষকগোলরক্ষক হিসেবে আলিসনের থাকাটা অনেকটাই নিশ্চিত। এদেরসন স্কোয়াডে থাকলেও এই মুহূর্তে আলিসন অনবদ্য ফুটবল খেলছেন। সম্প্রতি লিভারপুলের হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগও। সব মিলিয়ে এই পজিশনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই দেখা যাবে আলিসনকে।
মারকিনিওস এবার পিএসজির হয়ে অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন। ঘরোয়া ডাবল জয়ের পর এখন অপেক্ষায় আছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়েরও। আর মাত্র একটি বাধা পেরোলেই ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব জুটবে তাঁর। মারকিনিওসের পিএসজি সতীর্থ লুকাস বেরালদোকে ব্রাজিল দলেও তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যেতে পারে। শুরুর একাদশে অন্য ডিফেন্ডার হিসেবে থাকতে পারেন ফ্ল্যামেঙ্গোর লুইস ওরতিজ।
ফুলব্যাকডানপাশে মোনাকোতে খেলা ভ্যান্ডারসন এবং বাঁ পাশে ইন্টার মিলানের হয়ে দারুণ ছন্দে থাকা কার্লোস আগুস্তোকে খেলাতে পারেন আনচেলত্তি। তবে ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে ভ্যান্ডারসনের বদলি হিসেবে দেখা যেতে পারে ফ্ল্যামেঙ্গোর ওয়েসলিকে।
আনচেলত্তির আস্থা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে বর্তমান ছন্দের কারণে দীর্ঘদিন পর ব্রাজিলের মিডফিল্ডে দেখা যেতে পারে কাসেমিরোকে। তাঁর সঙ্গে হয়তো জুটি বাঁধবেন নিউক্যাসলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারাইস। ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারবেন না রাফিনিয়া। ফলে তাঁকে পরিকল্পনার বাইরে রেখেই একাদশ সাজাতে হবে আনচেলত্তিকে।
ব্রাজিল দলের একাদশে সুযোগ পেয়েছেন কাসেমিরো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।