ব্রাজিলের দায়িত্ব গ্রহণ করে এরই মধ্যে ২৬ জনের দল ঘোষণা করেছেন নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ব্রাজিলের স্কোয়াডে নেই নেইমার-রদ্রিগোদের মতো তারকারা। মূলত চোটের কারণে এই তারকা খেলোয়াড়দের রাখতে পারেননি আনচেলত্তি।

এখন ইতালিয়ান এই কোচকে ঘোষিত ২৬ জনের স্কোয়াড থেকেই বেছে নিতে হবে পছন্দের একাদশ। সেই একাদশ কেমন হতে পারে, সেই সম্ভাব্য তালিকাটি সামনে এনেছে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কারা থাকতে পারেন আনচেলত্তির প্রথম একাদশে।

গোলরক্ষক

গোলরক্ষক হিসেবে আলিসনের থাকাটা অনেকটাই নিশ্চিত। এদেরসন স্কোয়াডে থাকলেও এই মুহূর্তে আলিসন অনবদ্য ফুটবল খেলছেন। সম্প্রতি লিভারপুলের হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগও। সব মিলিয়ে এই পজিশনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই দেখা যাবে আলিসনকে।

আরও পড়ুনকেমন হলো আনচেলত্তির ব্রাজিল দল২ ঘণ্টা আগেডিফেন্ডার

মারকিনিওস এবার পিএসজির হয়ে অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন। ঘরোয়া ডাবল জয়ের পর এখন অপেক্ষায় আছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়েরও। আর মাত্র একটি বাধা পেরোলেই ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব জুটবে তাঁর। মারকিনিওসের পিএসজি সতীর্থ লুকাস বেরালদোকে ব্রাজিল দলেও তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যেতে পারে। শুরুর একাদশে অন্য ডিফেন্ডার হিসেবে থাকতে পারেন ফ্ল্যামেঙ্গোর লুইস ওরতিজ।

ফুলব্যাক

ডানপাশে মোনাকোতে খেলা ভ্যান্ডারসন এবং বাঁ পাশে ইন্টার মিলানের হয়ে দারুণ ছন্দে থাকা কার্লোস আগুস্তোকে খেলাতে পারেন আনচেলত্তি। তবে ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে ভ্যান্ডারসনের বদলি হিসেবে দেখা যেতে পারে ফ্ল্যামেঙ্গোর ওয়েসলিকে।

মিডফিল্ডার

আনচেলত্তির আস্থা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে বর্তমান ছন্দের কারণে দীর্ঘদিন পর ব্রাজিলের মিডফিল্ডে দেখা যেতে পারে কাসেমিরোকে। তাঁর সঙ্গে হয়তো জুটি বাঁধবেন নিউক্যাসলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারাইস। ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারবেন না রাফিনিয়া। ফলে তাঁকে পরিকল্পনার বাইরে রেখেই একাদশ সাজাতে হবে আনচেলত্তিকে।

ব্রাজিল দলের একাদশে সুযোগ পেয়েছেন কাসেমিরো.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: মহিলা পরিষদ

নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে এক অবরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। নারীরা সহিংসতা ও বৈষম্যেরও শিকার হচ্ছেন। এটি নারীর অগ্রগতিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়।

‘নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের নেতারা এ কথাগুলো বলেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে মহিলা পরিষদ। পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি চরমে। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করে অবরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার কথা উল্লেখ করে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সব পরিবর্তন যে কল্যাণকর নয়, তা আজ নারী সমাজ বুঝতে পারছে বলে মানববন্ধনে মন্তব্য করেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, নারীকে জনপরিসরে ক্রমাগত হেনস্তা করা হচ্ছে।

নারীকে অবরুদ্ধ করতে একটি গোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় ভূমিকার পশ্চাৎপদতাকে তুলে ধরছে। রাষ্ট্রের এই পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) প্রতিনিধি ফারজানা আখতার এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশের (এডাব) প্রতিনিধি সমাপিকা হালদার।

এ ছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ