ম্যান্ডেট নিয়ে বোঝাপড়ার ঘাটতি অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে
Published: 28th, May 2025 GMT
জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের ৯ মাসের মাথায় পরিবর্তনের ম্যান্ডেট-সংক্রান্ত বোঝাপড়া ও পরিবর্তনকামী প্রতিটি নাগরিকের মূল আকাঙ্ক্ষার জায়গাগুলো আবারও মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসা আপাতদৃষ্টে জরুরি হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সরকার যে সময়টিতে দায়িত্ব নেয়, তখন বাংলাদেশ এক গভীর রাজনৈতিক ও নৈতিক শূন্যতা থেকে উত্তরণের আশায় বুক বেঁধেছিল। পতিত স্বৈরশাসনের ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলার পতন, অর্থনৈতিক লুণ্ঠন ও নীতি সার্বভৌমত্বের বিসর্জন মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই ক্ষোভ থেকে উঠে আসে একটি বৃহৎ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রত্যয়। সেখানে ছাত্র–জনতা, পেশাজীবী, রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র বাহিনীরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই সম্মিলিত প্রত্যয়ে গড়ে ওঠে নতুন এক ম্যান্ডেট। সেটি উৎসারিত হয়েছিল একটি রক্তাক্ত মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে।
‘ম্যান্ডেট’ বিষয়টি সরকারের দায়িত্বশীল ও কার্যকর তৎপরতার ওপর নির্ভরশীল। আর ম্যান্ডেটের আসল নিয়ন্ত্রক হচ্ছে ‘জন–আকাঙ্ক্ষা’ ও ‘জনমনস্তত্ত্ব’। এ কথা ভুলে গেলেই বিপত্তি। কেননা তখন নাগরিকের সঙ্গে সরকারের পার্থক্যের প্রাচীর বড় হতে থাকে।
এই ম্যান্ডেট তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমত, একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে উত্তরণ; দ্বিতীয়ত, কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং তৃতীয়ত, জনগণের বিশ্বাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে একটি কার্যকর ও পক্ষপাতমুক্ত প্রশাসনিক উপস্থিতি। এর কোনো লিখিত দলিল ছিল না; বরং ছিল একটি যৌথ উপলব্ধির রাজনৈতিক চুক্তি। সেটাকে আমরা একটি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি বলতে পারি।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই ম্যান্ডেট আজ একেকজনের কাছে একেকভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে, যা জাতীয় ঐক্যের চেতনাকে ভেঙে দিচ্ছে। কোনো পক্ষই এককভাবে এই ম্যান্ডেটের দাবিদার নয়। এটি এসেছে জনতার কণ্ঠস্বর থেকে, যেখানে রাজনৈতিক দল, ছাত্রসমাজ ও সশস্ত্র বাহিনী একযোগে জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবরূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ম্যান্ডেটের একটি মুখ্য অনুষঙ্গ ছিল কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। এটি নিছক প্রশাসনিক পরিমার্জন নয়, বরং গণতন্ত্রের ভিত্তিকে পুনর্নির্মাণের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সংস্কার-প্রক্রিয়া এখন এক গভীর ধাঁধার মধ্যে পড়ে গেছে। সরকার বিভিন্ন কমিশন, শ্বেতপত্র কমিটি, টাস্কফোর্স এবং পরামর্শ সভার মাধ্যমে একটি আমলাতান্ত্রিক কর্মকৌশল নির্মাণ করেছে ঠিকই কিন্তু বাস্তবতার জমিনে সংস্কার কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। সংস্কার শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে সর্বত্র, কিন্তু তার কার্যকরী রূপ ও অগ্রাধিকার বিষয়ে রয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা। সংস্কার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েও একধরনের দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে। সেখানে অদক্ষতার ছাপ সুস্পষ্ট। ‘সংস্কার প্রকল্প’ জনপরিসরের যুক্ত করার অর্গানিক কাঠামোগত উদ্যোগও অনুপস্থিত। ‘জন–আকাঙ্ক্ষা’র সঙ্গে তার কোনো জোরালো মিথস্ক্রিয়াও দৃশ্যমান নয়।
রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছে মাত্র কয়েকটি প্রশ্ন। যেমন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য কীভাবে আনা যায়, সংসদ কতটা কার্যকর হবে, সংসদীয় সংস্কার কেমন হবে। অথচ গত দেড় দশকের স্বৈরশাসন চারটি স্তম্ভের ওপর নির্মিত হয়েছিল—অতি ক্ষমতায়িত প্রধানমন্ত্রী, এলাকাভিত্তিক ‘এমপি রাজ’, কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে স্থানীয় সরকারকে অধস্তন কর্মচারীতে রূপান্তর এবং স্বৈরশাসনের প্রয়োজনে পুলিশ ও প্রশাসনের চেইন অব কমান্ডের সার্বিক পতন। শেষোক্ত তিনটি প্রশ্নে সংস্কারের আলোচনা প্রায় অনুপস্থিত।
আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে প্রশাসনিক সংস্কারে। প্রশাসন, বিশেষ করে পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কারের যে সুপারিশগুলো এসেছে, সেখানে যথেষ্ট প্রায়োগিক দৃষ্টি দেওয়া হয়নি। অথচ জনগণ তাদের জীবনে রাষ্ট্রের মুখোমুখি হয় এই প্রায়োগিক স্তরেই। এখানেই স্বৈরশাসনের দুঃসহ অভিজ্ঞতা জমা হয়। একজন এসপি কেন্দ্রের ইশারায় তাঁর ঊর্ধ্বতনকে পাশ কাটিয়ে কাজ করেন কিংবা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভোরে তুলে নেওয়া হয় রাজপথে আন্দোলন করার জন্য। সংস্কার যদি এই স্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে, তাহলে কাঠামোগত পরিবর্তন ততটা ফলপ্রসূ হবে না।
সংস্কার বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একাধিক কমিশনের রিপোর্ট দাখিল করা হলেও সেগুলোর ভিত্তিতে সরকার কোন সংস্কারগুলো প্রাথমিকভাবে বাস্তবায়ন করবে, তা স্পষ্ট নয়। এখানে রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে প্রশাসনিকভাবে কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু রাজনৈতিক বিভাজন এবং যথাসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারার সংকট সংস্কারকে জনসমক্ষে একটি অলৌকিক প্রক্রিয়ায় পরিণত করেছে। এ ছাড়া সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য একটি অতিমাত্রায় ব্যবহৃত শব্দ হয়ে উঠেছে। অথচ এই ঐকমত্য তৈরির প্রক্রিয়াটা অসম্পূর্ণ, সময়সাপেক্ষ ও আমলাতান্ত্রিক করে তোলা হয়েছে। এর ফলে সংস্কার কার্যক্রম বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। সংস্কার নিয়ে ক্রমেই জনগণের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
পুরো প্রক্রিয়া থেকে একটি প্রশ্ন সামনে আসছে—সংস্কারের আলোচনাগুলো কি কেবল একটি সাইড শো হয়ে যাচ্ছে? জনগণ কীভাবে বুঝবে যে তাদের আকাঙ্ক্ষামতো সংস্কার হচ্ছে? মানুষ তো প্রশাসন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় কী পরিবর্তন হচ্ছে, তার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে চায়। সংস্কারের এই ছন্দপতন আজকের সংকটের আরেকটি বড় স্তম্ভ।
সংস্কার ও ম্যান্ডেট বিষয়ে বিভ্রান্তির পাশাপাশি আরেকটি সংকটও আমাদের ঘিরে ধরেছে। জনগণ, বিশেষ করে তরুণসমাজ, একটি নির্দিষ্ট প্রত্যয়ের ভিত্তিতে পরিবর্তনের যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। তারা রক্ত দিয়েছে, বিপদের মুখে দাঁড়িয়েছে এই প্রত্যাশায় যে সমাজ বদলাবে, রাষ্ট্র তাদের কণ্ঠ শুনবে, সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষা আজ কতটুকু পূরণ হচ্ছে?
তরুণদের প্রতি যে আশা উচ্চারিত হয়েছিল, তার বিপরীতে তাদের দুঃখ-কষ্টগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে। আমরা বলেছি, তারুণ্যই শক্তি। কিন্তু তারা যে বেকারত্ব, অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক চাপ এবং অনুপ্রাণিত না হওয়ার সামাজিক ক্লান্তির শিকার—এই কথাগুলো এখন আর বলা হচ্ছে না। পরিবর্তনের সহযাত্রী নারীরা অনিশ্চয়তায় পড়ে যাচ্ছে। তাদের ন্যায্য ও যোগ্য চাওয়াগুলো পেছনে পড়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থানের ঘাটতি, শিক্ষার গুণগত সংকট এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনার অভাব তরুণদের মধ্যে এক বিষণ্নতা তৈরি করেছে। তারা জানে, সবকিছু এক দিনে বদলায় না, কিন্তু তারা দেখতে চায় কাল, পরশু বা আরও পরে পরিবর্তনের নিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে কি না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজ অনুপস্থিত।
এদিকে সরকারের ভাষা ও মনোভাব থেকে উঠে আসছে একধরনের আত্মমগ্ন, ক্ষমতাশালী অবস্থান, যা সংকটকে উসকে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। একই সঙ্গে গেড়ে বসা গোষ্ঠীস্বার্থ সংস্কার পদক্ষেপকে বিভ্রান্ত করতেও ক্রিয়াশীল। গোষ্ঠীস্বার্থ নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। শাসনের ক্ষেত্রে যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থাকার কথা, তার বদলে আমলাতান্ত্রিক অলসতা কাজ করছে। যার ফলে গণমানুষের কষ্ট নিরসনের পরিবর্তে একধরনের সংকীর্ণতা ও রুদ্ধতা জন্ম নিচ্ছে।
ব্যাংক ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি কমানো—সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে সরকারের নিঃসন্দেহে কিছু অর্জন আছে। কিন্তু দারিদ্র্য বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বহু মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। মূল্যস্ফীতিও ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে থেকে যাচ্ছে অথচ মজুরি বাড়ছে না। এই বাস্তবতায় সরকারের অগ্রগতি পর্যালোচনায় যদি জনগণের মধ্যে অনীহা জন্ম নেয়, তাহলে সেটিকে স্বাভাবিক ভাবলে চলবে না। এটি একধরনের আত্মিক বিচ্ছিন্নতাও।
স্বৈরশাসনের কুফলগুলোর পুনর্জন্ম, নীতি–সার্বভৌমত্ব আবারও অনিশ্চিত হয়ে ওঠা, অনৈতিক গোষ্ঠীতন্ত্রের জাঁতাকলে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ গতিপথ হারানো, অমানবিক ও অকার্যকর রাষ্ট্রযন্ত্রের ধারাবাহিকতাই গেড়ে বসে থাকা—এর কোনোটাই ফিরে আসুক, সেটা বাংলাদেশের জাগ্রত জনগণ চান না। উপরিকাঠামোর পদচারীদের এই সর্বজনীন প্রত্যয়ের দিকে মনোযোগী হওয়া জরুরি। শুধু মনোযোগী নয়, আস্থা নির্মাণ করে কার্যকর হওয়াও সমানভাবে জরুরি।
● ড.
হোসেন জিল্লুর রহমান অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
* মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: একধরন র র জন ত ক প রক র য় ক ঠ ম গত সরক র র ন শ চয়ত ক র যকর জনগণ র অন শ চ ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। অল্প সংস্কার না বেশি সংস্কার এ নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে তারুণ্যের সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, জনগণই বিএনপির ক্ষমতার মূল উৎস। ক্ষমতায় না থাকলেও বিএনপি জনগণের উন্নয়নের কথা সবসময় চিন্তা করে। বিএনপি নির্বাচিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করবে। যেকোনো দলের কর্মসূচি পালনের জন্য দরকার একটি নির্বাচনী সরকার। আর বিএনপির শুরু থেকেই এই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, আর কথা বলার রাজনীতি নয়, এখন বাস্তবায়ন ও দৃষ্টান্ত স্থাপনের সময়। দেশের বহুল জনসংখ্যাকে যদি জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারি তাহলে আমরা আর পিছিয়ে থাকতে হবে না। আমরা দেখেছি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে আজকে ইশরাকের শপথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইশরাকের শপথ গ্রহণে বাধা দিয়ে আজ স্বৈরাচারের ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ায় সরকার পরিচালনায় একটি কথা আছে- গণতন্ত্র সবার আগে। কিন্তু কথাটি শুধু লেখামাত্র। তাই বলতে চাই, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে মানুষের বিশ্বাস বা আস্থার জায়গায় থাকা না যায়। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা যেন থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, আজকে এই সরকারের কেউ যদি ক্ষমতায় থাকতে চায় বা রাজনীতি করতে চায় তাহলে আপনাদের বলব, ক্ষমতা ছেড়ে রাজনীতিতে আসেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আবারও বলছি, ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আর সবাইকে বলছি, আপনারাও নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিন। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, জনগণের কাছে যান, তারা কি বলতে চায় তা মন দিয়ে শুনুন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন।
এ সময় স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, ‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয় সবার আগে বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, নারী-পুরুষ সকলের জন্য মৌলিক কর্মমুখী শিক্ষা সর্বোচ্চ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বিএনপি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি পরিবার রয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রামীণ পর্যায়ে যারা অসচ্ছল রয়েছে তাদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে তাদের আর্থিক সহায়তার আওতায় আনা হবে। এতে একদিকে তাদের আর্থিক সংকট কাটবে এবং স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ হবে।
তারেক রহমান বলেন, কৃষকদের জন্য ফারমার্স কার্ড প্রণয়ন করা আমাদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই ফারমার্স কার্ডে জমির পরিমাণসহ যাবতীয় তথ্য থাকবে। কাজের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ।