ফায়ার সেফটি ম্যানেজার কোর্সে ভর্তি শুরু, ক্যাম্পাস ঢাকা ও চট্টগ্রামে
Published: 28th, May 2025 GMT
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর পরিচালিত ফায়ার সেফটি ম্যানেজার কোর্সের ১৯তম ব্যাচে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা হবে ২০ জুন।
জেনে রাখুন
এই কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে সকালের শিফট (সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা) এবং সান্ধ্য শিফটে (বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। চট্টগ্রামে শুধু সান্ধ্য শিফট চালু রয়েছে।
আবেদন অনলাইনে করতে হবে। ফরমে অবশ্যই যে ক্যাম্পাস ও শিফটে ভর্তি হতে ইচ্ছুক (সকালের শিফট বা সান্ধ্য শিফটে), তা উল্লেখ করতে হবে। কোর্সের সময় ছয় মাস। সপ্তাহে দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) ক্লাস হবে।
কোর্সের বৈশিষ্ট্য
অগ্নিনিরাপত্তা, অনুসন্ধান, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিত্সাসংক্রান্ত বিষয়ে তাত্ত্বিক ও শতভাগ ব্যবহারিক ক্লাসের সুযোগ রয়েছে। পর্যাপ্ত টুলস, ইকুইপমেন্ট ও ফায়ার সিমুলেটর ব্যবহারের মাধ্যমে যোগ্য অগ্নিনিরাপত্তাবিষয়ক অভিজ্ঞ হওয়ার সুযোগ থাকছে। কোর্স করার মাধ্যমে পোশাকশিল্পসহ বিভিন্ন কলকারখানা ও বহুতল ভবনে ফায়ার সেফটি অফিসার হিসেবে চাকরি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে। দেশি-বিদেশি সংস্থা, দেশের গুরুত্বপূর্ণ কেপিআইসহ মেগা প্রকল্প, যেমন মেট্রোরেল, পাওয়ার প্ল্যান্ট, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, টানেল ও ইকোনমিক জোনে অগ্নিনিরাপত্তাসংক্রান্ত চাকরি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া ফায়ার সেফটি প্ল্যান, কন্টিজেন্সি প্ল্যান ও পরিদর্শন বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞানার্জনের সুযোগ এই কোর্সে থাকছে।
যেসব বিষয়ে পরীক্ষা
এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান থেকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ১৮ জুন। ভর্তি পরীক্ষা হবে ২০ জুন। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২৪ জুন প্রকাশ করা হবে। ফলাফল www.
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে ওয়েবসাইটে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’