অনলাইন জুয়ায় লেনদেন বন্ধে এআই ব্যবহার হবে
Published: 28th, May 2025 GMT
দেশে অনলাইন জুয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এতে সমাজে অবক্ষয় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কাজনক চিত্র দেখা দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর অবস্থান নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনলাইন জুয়ায় লেনদেন বন্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিকাশ, নগদ, রকেটের মতো সব মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি লেনদেন সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয়, কোনো মার্চেন্ট বা গ্রাহক অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত কি না, তা নিয়মিত তদারক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
এ ছাড়া যদি কোনো গ্রাহক বা মার্চেন্ট অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ হয়, তাহলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, অনলাইন জুয়ার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে। একই সঙ্গে যেসব মার্চেন্ট নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় ব্যবসার তথ্য দিয়ে ব্যাংকে নিবন্ধন করেছেন, তাঁরা সে এলাকাতেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুসরণ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দ. এশিয়ায় বাংলাদেশে জিডিপির সবচেয়ে কম বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতে
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশে জিডিপির সবচেয়ে কম শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিশুর সার্বিক উন্নতিতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন বিশিষ্টজন। এ ছাড়া অন্যান্য খাতের বাজেট কমিয়ে এ খাতে কিভাবে বরাদ্দ দিতে হবে তার রোডম্যাপ করাও জরুরি বলে মনে করেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইউনিসেফ বাংলাদেশ কার্যালয়ে এক মিডিয়া ওরিয়েন্টেশনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট : শিশুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান প্রবণতা এবং তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিশু-সম্পর্কিত সমস্যা এবং শিশুর বিকাশের ওপর বাজেট বরাদ্দের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এতে ইউনিসেফ, বাংলাদেশের সোশ্যাল পলিসি অ্যান্ড ইকোনমিক স্পেশালিস্ট মো. আশিক ইকবাল তাঁর মূল প্রবন্ধে বলেন, ‘ইউনিসেফ মূলত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। শিশু অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের মূলত প্রয়োজন বাজেট। বাজেট বরাদ্দ ছাড়া আমরা তা করতে পারব না। এবার কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না থাকায় আশা করা যায়, বাজেটে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে। বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় না। সেই সুযোগটি এবার তৈরি হয়েছিল। অন্যান্য দেশ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যেভাবে বরাদ্দ দেয়, সেখান থেকেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
প্রবন্ধে বলা হয়, সোশ্যাল খাতে আমাদের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, সেগুলো গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় অনেক কম। গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, জিডিপির ৪ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া উচিত। আমাদের দেশে বাজেটের মাত্র ১২ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছর শিক্ষা খাতে জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়।