দেশে অনলাইন জুয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এতে সমাজে অবক্ষয় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কাজনক চিত্র দেখা দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর অবস্থান নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনলাইন জুয়ায় লেনদেন বন্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিকাশ, নগদ, রকেটের মতো সব মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি লেনদেন সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয়, কোনো মার্চেন্ট বা গ্রাহক অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত কি না, তা নিয়মিত তদারক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

এ ছাড়া যদি কোনো গ্রাহক বা মার্চেন্ট অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ হয়, তাহলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, অনলাইন জুয়ার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে। একই সঙ্গে যেসব মার্চেন্ট নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় ব্যবসার তথ্য দিয়ে ব্যাংকে নিবন্ধন করেছেন, তাঁরা সে এলাকাতেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুসরণ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ