মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনটি উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পৌঁছালে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ ঘটনা ঘটে।

গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেনের লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের সামনের অংশ চ্যাপটা হয়ে যায়। এ ঘটনায় ট্রেন লাইনচ্যুত কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে বন বিভাগ ও রেলওয়ের কর্মীরা হেলে পড়া গাছ ও ডালপালা কেটে সরালে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে লাউয়াছড়া বনের ভেতরে রেলপথের ওপর একটি বড় গাছ হেলে পড়ে। আজ সকালে বনের ভেতরে ওই রেলপথ দিয়ে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাওয়ার সময় গাছটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনের সামনের অংশ বাঁকা হয়ে গেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রেলপথ থেকে গাছ সরানোর পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ট্রেনটির ইঞ্জিনের বাঁকা অংশ নিয়েই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী নাজমুল বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা রেলপথে হেলে পড়া গাছ ও ডালপালা কেটে সরাতে কাজ করেন। লাউয়াছড়ায় অনেক গাছ পুরোনো হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলে মাটি সরে পড়ে যায়।

এদিকে ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায় বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে। তখন ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনের চ্যাপটা অংশ দেখে উৎসুক জনতা ছবি তোলেন এবং অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ইঞ্জিনের বেহাল বিষয়টি জানান।

‘প্রাণের ভৈরব’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে ইঞ্জিনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে অনেকে মন্তব্য করেন। রিপো আহমেদ নামের একজন লেখেন, শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া বনের ভেতরে গাছ উপড়ে পড়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের এমন দশা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র নট র লপথ

এছাড়াও পড়ুন:

মাসিকে কম রক্তপাত হওয়া কি খারাপ

মাসিকের সময় একেবারে কম রক্তপাত হলে শরীরের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। যেমন— হাড়ের ঘনত্বও কমে যায়, মাথাব্যথা, চুল পড়া, মুখে অতিরিক্ত লোম বা ব্রণের মতো কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি সন্তান ধারণে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। 

ডা. তানিয়া রহমান মিতুল, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অনেক রোগী এসে বলেন যে, আমরা মাসিকের সময় দুই থেকে তিন দিন রক্ত যায়। এবং খুবই কম পরিমাণে রক্ত যায়। এ কারণে আমি মোটা হয়ে যাচ্ছি, আমার তলপেটে অনেক ব্যথা করে। আমার তলপেটে অনেক চর্বি জমে গেছে। অনেকেই ভাবেন, রক্ত যেহেতু কম যাচ্ছে-রক্তজমে তার পেটেই থাকছে। এটি একটি ভুল ধারণা। মাসিকের সময় ৩০ থেকে ৫০ এমএল রক্ত যদি যায় তাহলে সেটা স্বাভাবিক।’’

ডা. তানিয়া আরও বলেন, ‘‘ শরীরের দূষিত রক্তই শুধু মাসিকের সময় বের হয় তা কিন্তু না। আমরা যেটা বলে থাকি তিন থেকে পাঁচ দিন পরযন্ত যদি মাসিক চলে যেটাও স্বাভাবিক। এর চেয়ে বেশি সময় ধরে মাসিক চলা খারাপ। এতে অনেকে রক্তশূণ্যতায় ভুগতে শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। ’’
যেসব কারণে মাসিকে কম রক্তপাত হতে পারে

আরো পড়ুন:

চোখ উঠলে কী করবেন, কী করবেন না

পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

থাইরয়েডসহ অন্যান্য হরমোনের তারতম্যের কারণে মাসিক কম রক্তপাত হতে পারে। ওভারিতে সিস্ট হলেও মাসিকে কম রক্তপাত হতে পারে। এ ছাড়া  পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম  অতিরিক্ত ওজন, অপুষ্টি, খুব অল্প পরিমাণ খাবার গ্রহণ, হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন হ্রাস,  হঠাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম, মানসিক চাপ বৃদ্ধি কিংবা হতাশার কারণেও মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বা মাসিকে কম রক্তপাত হতে পারে। 

সুতরাং মাসিকে কম রক্তপাত হলে সমস্যা অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ