রেললাইনে হেলে পড়া গাছে ট্রেনের ধাক্কা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা
Published: 29th, May 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনটি উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পৌঁছালে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ ঘটনা ঘটে।
গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেনের লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের সামনের অংশ চ্যাপটা হয়ে যায়। এ ঘটনায় ট্রেন লাইনচ্যুত কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে বন বিভাগ ও রেলওয়ের কর্মীরা হেলে পড়া গাছ ও ডালপালা কেটে সরালে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে লাউয়াছড়া বনের ভেতরে রেলপথের ওপর একটি বড় গাছ হেলে পড়ে। আজ সকালে বনের ভেতরে ওই রেলপথ দিয়ে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাওয়ার সময় গাছটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনের সামনের অংশ বাঁকা হয়ে গেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রেলপথ থেকে গাছ সরানোর পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ট্রেনটির ইঞ্জিনের বাঁকা অংশ নিয়েই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী নাজমুল বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা রেলপথে হেলে পড়া গাছ ও ডালপালা কেটে সরাতে কাজ করেন। লাউয়াছড়ায় অনেক গাছ পুরোনো হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলে মাটি সরে পড়ে যায়।
এদিকে ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায় বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে। তখন ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনের চ্যাপটা অংশ দেখে উৎসুক জনতা ছবি তোলেন এবং অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ইঞ্জিনের বেহাল বিষয়টি জানান।
‘প্রাণের ভৈরব’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে ইঞ্জিনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে অনেকে মন্তব্য করেন। রিপো আহমেদ নামের একজন লেখেন, শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া বনের ভেতরে গাছ উপড়ে পড়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের এমন দশা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে বিগত কয়েক দিনে উন্নত সাত দেশের জোট জি-৭-এর তিন সদস্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলল।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের দুর্দশা অসহনীয়। দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার।
তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রেসিডেন্ট। সেগুলো হলো—ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। পরে ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ঘোষণার পর থেকেই মার্ক কার্নির ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তাঁকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখেন কানাডার প্রায় ২০০ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক। তাতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড কানাডার স্বার্থ ও মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে।