Samakal:
2025-11-02@13:16:24 GMT

তবুও আসে জন্মদিন...

Published: 1st, June 2025 GMT

তবুও আসে জন্মদিন...

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কুমার নিবিড়। সেই থেকে এখনও সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের আত্মজ। যাকে নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় কাটছে শিল্পীর একেকটি দিন। একমাত্র সন্তানের সুস্থতা কামনায় প্রহর গুনে চলেছেন তিনি। এর মাঝেই একে একে কেটে যাচ্ছে দিন, মাস, বছর। জীবন তবু থেমে থাকার নয়। সময়ের পরিক্রমায় উল্টে যাচ্ছে ক্যালেন্ডারের পাতা। এভাবেই বছর ঘুরে চলে এসেছে ১ জুন। ১৯৬৩ সালের যে দিনটিতে পৃথিবীতে এসেছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। শিল্পীর জন্য আরেকটি কষ্টের অভিজ্ঞতা হলো, যে মায়ের গর্ভে তাঁর জন্ম, স্নেহ ছায়াতলে বেড়ে ওঠা, প্রাণপ্রিয় সেই মাকেও হারিয়েছেন। যার উৎসাহ, প্রেরণায় গানের ভুবনে সমস্ত চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন, হয়ে উঠেছেন দেশের তুমুল জনপ্রিয় এক কণ্ঠশিল্পী, সেই মাকে ছাড়াই পাড়ি দিতে হচ্ছে জীবনের বাকিটা পথ। 

অনিন্দ্য গায়কী আর অনবদ্য সৃষ্টির কারণে কুমার বিশ্বজিৎ হয়ে উঠেছেন অগণিত সংগীতপ্রেমীর প্রিয় শিল্পী। যে কারণে তাঁর জন্মদিনকে ঘিরে কৌতূহল থাকে অনেকের। শুভেচ্ছা, ভালোবাসায় সিক্ত করার পাশাপাশি জন্মদিন কীভাবে কাটাবেন, কোথায় যাবেন, কী করবেন– তা নিয়ে থাকে অনুরাগীদের নানা প্রশ্ন। অতীতে এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ ছিল, এখন ভাবতে হয়, কী উত্তর দেবেন ভক্ত-অনুরাগীদের। কারণ নিজেই জানেন না, জন্মদিনটা কীভাবে কাটবে। তারপরও অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেননি বলেই মুখ খুলেছেন এই শিল্পী। জন্মদিন নিয়ে কোনো উচ্ছ্বাস না থাকলেও তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন নিবিড়ের জন্য, তাঁর পরিবারের জন্য। 

বলেছেন, ‘‘জন্মদিন এলেই মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। কয়েক বছর আগে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। শেষ সময়টাতে এসে মাকে নিয়ে কোথাও বের হতে পারতাম না। কিন্তু মারা যাবার এক বছর বা দু’বছর আগে তাঁকে নিয়ে বের হয়েছিলাম ‘গরবিনী মা’ সম্মাননা অনুষ্ঠানে। ডা.

আশীষ আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন। তারই আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে আমি মাকে নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। মা ‘গরবিনী মা’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। মায়ের মুখে ওইদিন যে হাসি দেখেছি তা এখনও আমার চোখে ভাসে। জন্মদিন এলেই আসলে মায়ের কথাই মনে পড়ে বেশি। জন্মদিন এলে আরও মনে হয়, হয়তো মায়ের কাছে যাবার সময় ঘনিয়ে আসছে। আমার কাছে সবসময়ই মনে হয় মানুষ বিশেষ ভ্রমণের জন্য পৃথিবীতে আসেন। কেউ কেউ সফল হন, কেউ কেউ হন না। আমি সফল কিনা জানি না। তবে আমার গান যদি আমি মরে যাবার পরেও শ্রোতা-দর্শকের মাঝে বেঁচে থাকে সেটিই হবে আমার প্রাপ্তি। কী এক অদ্ভুত ভাবনা মানুষের, মরার পরেও বেঁচে থাকার বাসনা। হয়তো আমিও এমন করেই বেঁচে থাকব আমার গান দিয়ে, পৃথিবীতে ভ্রমণের সার্থকতা আমার হয়তো সেখানেই।’’

 এ কথার পাশাপাশি একটি স্বস্তির খবরও এসেছে কুমার বিশ্বজিতের কাছ থেকে। তিনি জানিয়েছেন, কুমার নিবিড় এখন কিছুটা শঙ্কামুক্ত। তাই স্টেজ শোতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কানাডার টরন্টো থেকে তাঁর স্টেজ শো পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। এরপর ফ্রান্সের প্যারিস, নিউজিল্যান্ড, কাতার এবং অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ধারাবাহিক শো করবেন তিনি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ