পুরান ঢাকার বংশাল রোড। সাইকেলের শোরুম মাস্টার উইলস। যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন মুজিবুর রহমান ও ফাতেমা বেগম দম্পতি। ৬ বছরের ছেলের জন্য সাইকেল কিনবেন।
সাড়ে ছয় হাজার টাকায় কেনেন নীল রঙের রাফায়েল ব্র্যান্ডের ১৬ ইঞ্চি সাইকেল। দরদাম ঠিক হওয়ার পর যখন সাইকেলটি প্রস্তুত করা হচ্ছিল, তখন কথা হয় মুজিবুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, সন্তানের জন্মদিন উপলক্ষে সাইকেলটি কিনছি। কয়েকদিন ধরে সাইকেলের জন্য বায়না ধরেছে।
শুধু এ দম্পতি নন, প্রতিদিন বংশাল রোডে সন্তানের জন্য সাইকেল কিনতে আসেন অনেকে। বিশেষ করে ৬ বছরের ওপরের বাচ্চাদের সাইকেল বেশি বিক্রি হয়। তবে এর চেয়ে কম বয়সী শিশুদের জন্যও সাইকেল আছে। সাইকেলগুলোর পেছনের চাকার সঙ্গে সাপোর্টিং চাকা লাগানো থাকে বিধায় শিশুদের পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম।
এগুলোর দাম সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
অভিভাবকরা জানান, শিশুরা আজকাল স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে শিশুরা সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকে। মোবাইল না দেখালে খেতে চায় না। অন্যদিকে, মাঠ না থাকায় শিশুরা বাইরে খেলতে পারে না। সে ক্ষেত্রে শিশুদের শরীরচর্চায় সাইকেল চালানো ভালো উপায়। সাইকেল পেলে তাদের ডিভাইসে আসক্তি কমবে বলে মনে করেন অভিভাবকরা।
সাইকেলের শোরুমগুলোতে কথা বলে জানা যায়, এসব দোকানে ৩ বছর থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য সাইকেল পাওয়া যায়। বয়স অনুযায়ী চাকার আকার আলাদা। যেমন– ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ১২ ইঞ্চি, ৬ থেকে ৮ বছরের শিশুদের জন্য ১৬ ইঞ্চি, ৮ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য ২০ ইঞ্চি, ১১ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের জন্য ২৪ ইঞ্চি এবং ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য ২৬ ইঞ্চি চাকার সাইকেল পাওয়া যায়। দেশি ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে– দুরন্ত, মেঘনা, আকিজ। অন্যদিকে বিদেশি ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে– হিরো, অ্যাভন, ভেলোস, ফনিক্স, কোর, ইউপ্লেইড, রাফায়েল, পাওয়াররোড, সাইক্লোন, মেরিন, পান্ডা, জাম্বো, ভেনজা, সোলেক্স, ফিলিপস ইত্যাদি। প্রতিদিন দোকানগুলোতে গড়ে ৪টির মতো সাইকেল বিক্রি হয়।
মাস্টার উইলস শোরুমের মালিক মো.
বংশাল সাইকেল মার্কেটের পুরোনো দোকান ‘বিসমিল্লাহ সাইকেল স্টোর’-এর ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের এখানে সাধারণত ৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য সাইকেল পাওয়া যায়। সাধারণত ৪ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকার মধ্যে শিশুদের জন্য ভালোমানের সাইকেল পাওয়া যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ শ দ র জন য বছর ব বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়