অন্তবর্তী সরকারের ১০মাস পেরিয়ে গেলেও বন্দরে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর যুবলীগ নেতা রমজান
এখনো প্রকাশ্য দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

যুবলীগ ক্যাডার অস্ত্রসহ প্রায় ডজন খানিক মামলার আসামী রমজান মিয়ার দাম্বকিতাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের ও ওসমান পরিবারের দোসর রমজান মিয়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অসম্ভবকে যেকোন পন্থায় সম্ভব করে নিতো।

যুবলীগ করলেও তিনি ছিলেন একজন চতুর প্রকৃতির লোক। নিজের স্বার্থ হাসিলে যে কাউকে ব্যবহার  করে থাকে। নিজের কৌশল, দলীয় প্রভাবসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এহসান উদ্দিন আহমেদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে প্রায় ২০/২৫ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। 

বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার অফিসের কতিপয় লোকদের পুজি হিসাবে ব্যবহার করে রমজান মিয়া যা ইচ্ছে তাই করে যেত।

ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের চেয়ে বর্তমানে আরো বেশ দাপটে অবস্থায় রয়েছে।  বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকটা নীরব। 

আর সেই নীরবতাকেও কাজে লাগিয়ে গত ১০ মাসে কমপক্ষে ৫/৬ লাখ টাকা এলাকাবাসীর কাছ থেকে নেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বাগবাড়ি -কুশিয়ারা নতুন সড়ক সংস্কার করার সময় পানি নিষ্কাশনের জন্য ২০ ফুট লম্বা ৮ টি পাইপ দেয় চেয়ারম্যান। 

আর সেই পাইপ স্থাপন করার জন্য লোকদের কাছ থেকে টাকা নেই। ঠিকাদার নিজেরা পাইপ স্থাপন করার কাজ করে দিলেও কৌশলে জনগনের কাছ থেকে টাকা নেই। মেইন রাস্তায় পাইপ বসানোর জন্য রমজান মিয়া দায়িত্ব নিলেও বেশির ভাগ করে তা বন্ধ করে দেয়।  যার ফলসূতিতে বিশাল জলবদ্ধতার কবলে শত শত পরিবার। 

সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জে এখনও প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের নেতা ও ফ্যাসিবাদের দোসর রমজান মিয়া । রমজানসহ তার চেলাচামুন্ডারা অনেকেই এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

হাসিনা সরকারের দোসর রমজান মিয়া  পুনর্বাসিত হতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের সাথে গোপনে লিয়াজো করছেন। আবার অন্তবর্তী সরকারের বর্তমান অবস্থার অবনতি ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। ছাত্র-জনতার ওপর বিভিন্নভাবে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের এই দোসর রমজান মিয়া  ।

এদিকে এসব ঘটনায় এলাকায় জনমনে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ভুক্তভোগী শত শত মানুষ তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানিয়েছেন। রমজান মিয়াকে  অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে শিগগির এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বল গ য বল গ ন র য়ণগঞ জ প রক শ য র র সময় সরক র র য বল গ

এছাড়াও পড়ুন:

সোয়া ২ কোটি টাকার চেক নেন সাবেক এমপির কাছ থেকে

সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের নাখালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চেক উদ্ধারের বিষয়টি জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তবে এই চেক কোন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, তা তিনি জানাননি।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই সোয়া দুই কোটি টাকার চেক নেওয়া হয়েছে রংপুর-৬ আসনে (পীরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রেড জোন’ থেকে। ট্রেড জোনের পোশাক কারখানাসহ নানা ব্যবসা রয়েছে।

ট্রেড জোনের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সোয়া দুই কোটি নয়, মোট ৫ কোটি টাকার ১১টি চেক নিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাকসহ ছয়জন। তবে একটি চেকের বিপরীতেও তাঁরা টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। কারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে ট্রেড জোন কর্তৃপক্ষ টাকা রাখেনি। তিনি বলেন, টাকা উত্তোলন করতে না পেরে রাজ্জাকসহ অন্যরা ট্রেড জোনের মালিককে হুমকি দিচ্ছিলেন।

রাজ্জাকসহ অন্যরা কীভাবে চেক নিয়েছিলেন, তা প্রথম আলোকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।

শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে প্রথম দফায় ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার টাকা নিতে গিয়ে ১৭ জুলাই হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামির এখন রিমান্ড চলছে। ঘটনাটিতে মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর।

ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। পরে তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য। গ্রেপ্তারের পর সবাইকে বহিষ্কার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বাদে অন্য সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ