যশোরের বেনাপোলে ডুবপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তদের ককটেল হামলায় আব্দুল হাই নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আমির আলীর ছেলে এবং বিএনপির ডুবপাড়া ওয়ার্ড কমিটির কার্যকরী সদস্য। আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার আগে আজ সকালে ঈদগাহ মাঠে আওয়ামী লীগের লোকজন নামাজ পড়তে যাওয়ায় আবু সাঈদ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এ সময় আব্দুল হাই বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে তোমাদের কোনো ঝামেলা থাকলে সেটা পরে মিটিয়ে নিও। এখন ওদের ঈদের নামাজ পড়তে দাও। এই ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্ব।

গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে অনুমতি নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে যান। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কেন ঈদের নামাজ পড়তে এসেছে; এ নিয়ে প্রথমে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি এবং পরে বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনা জের ধরেই সাঈদ বহিরাগত লোকজন নিয়ে আব্দুল হাইয়ের ওপর কটকেট হামলা চালায়।

বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ডুবপাড়া গ্রামের সাইদের নেতৃত্বে দুটি মোটরসাইকেলে ৪ জন সন্ত্রাসী ডুবপাড়া গ্রামের জামতলা নামক স্থানে মিলনের চা দোকানের পাশে আব্দুল হাইকে লক্ষ্য করে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল হাইকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেন, সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় বিএনপি নেতা আব্দুল হাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এটা দুঃখজনক। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তি চাই।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, ওই গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাহত আছে। রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আগামীকাল রোববার সকালে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ