বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন ট্রাম্পের
Published: 8th, June 2025 GMT
অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানের জেরে টানা দুই দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টম হোম্যান শনিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসকে নিরাপদ করব।’ খবর বিবিসির
লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থানীয় সময় গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়। বিশেষ করে লাতিন-অধ্যুষিত একটি ডিস্ট্রিক্টে অভিযানে গেলে স্থানীয় লোকজন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান।
আইসিইর অভিযানে এ সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ১১৮ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জন আটক হয়েছেন গত শুক্রবার। যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট-দলীয় গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এ অভিযানকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব অভিযান যুক্তরাষ্ট্রে ‘অবৈধ অপরাধীদের’ অনুপ্রবেশ বন্ধ ও তাদের প্রতিহত করার জন্য অপরিহার্য।
লস অ্যাঞ্জেলেসের এখনকার পরিস্থিতিতে যেকোনো সহিংসতা কিংবা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করার চেষ্টায় ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানোর ঘোষণা দিয়েছেন টম হোম্যান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র লস অ য ঞ জ ল স
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানে ধর্ষণের শিকার ম্রো কিশোরী
বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নে ১২ বছরের এক ম্রো কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে আজ রোববার সকালে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত একই জনগোষ্ঠীর ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। ঘটনার পর তিনি পলাতক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
পাড়াবাসীর ভাষ্য, শনিবার রাতে পাড়ার দুই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে ওই ব্যক্তি ঝিরিতে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যান। মাছ ধরতে ধরতে তাঁরা পাড়া থেকে বেশ দূরে চলে যান। রাত গভীর হলে ওই ব্যক্তি কিশোরীদের জানান, এত রাতে বাড়ি ফেরা সম্ভব হবে না। ঝিরির পাশে একটি জুমঘরে (জুমচাষিদের অস্থায়ী ঘর) রাত কাটাতে হবে। ওই জুমঘরে এক কিশোরী ঘুমিয়ে থাকার সময় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
কিশোরীর মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে ভোররাতে একা বাড়ি ফিরে আসে। এসে অসুস্থ অবস্থায় ঘটনাটি জানায় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ম্রো স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তনয়া ম্রো জানান, ওই এলাকায় কিছু ম্রো পরিবার বসবাস করে, যারা খুবই দরিদ্র। অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে আগে থেকেই খারাপ আচরণের অভিযোগ ছিল বলে শুনেছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কিশোরী শারীরিকভাবে গুরুতর আহত হয়েছে এবং মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত। তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে এবং জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
বান্দরবান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নাছের বলেন, কিশোরী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।