অভিবাসন বিরোধী তল্লাশির জেরে আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহরের কেন্দ্রস্থল। বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ। খবর বিবিসির।

লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ বিভাগ বলছে, আগুন নেভানোর জন্য তারা ওই এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।

এ নিয়ে সেখানে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের টিয়ার শেল ব্যবহার করে পিছু হটানোর নির্দেশ দিয়ে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর সেনা মোতায়েনের নির্দেশ বাতিলের জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আরেকজন ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর প্রেসিডেন্টের নির্দেশকে ‘উদ্বেগজনক ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ওদিকে বিক্ষোভকারীরা শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অচল করে দেওয়ার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লস অ য ঞ জ ল স য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে একসঙ্গে গোসলে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- শাহীনুর রহমান (৬০) এবং তার ছেলে সিফাত (২০)। এসব তথ্য  নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ঘুরতে এসেছিলেন। 

কলাতলী পয়েন্টে দায়িত্বরত সিসিএফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, বাবা-ছেলে একসঙ্গে গোসলে নেমে ভেসে যাচ্ছিলেন। তখন লাইফগার্ডের কর্মীরা দেখতে পেয়ে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দু’জনই অতিরিক্ত রক্ত বমি করেন। একপর্যায়ে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সিসিএফ লাইফগার্ডের আরেক কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর জানান, গেল কয়েকদিন ধরে সাগর উত্তাল। বিভিন্ন পয়েন্টে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এবং উল্টো স্রোতের টানও তীব্র। এজন্য লাইফগার্ডের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে লাল-হলুদ এবং বাইরে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। কিন্তু নিহত দুই পর্যটক লাইফ গার্ডের আওতার বাইরে গিয়ে গোসলে নামেন। এসময় সাগরের গর্তে পড়ে তারা স্রোতের টানে ভেসে যান।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। 

এর আগে শনিবার সাগরে গোসলে নেমে এক পর্যটক এবং শখের বসে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রাণ হারান। ফলে গত দুই দিনে সমুদ্রসৈকতে তিনজন পর্যটকসহ মোট ৪ জনের মৃত্যু হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ