ঢাকার জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল বনাম সিঙ্গাপুর জাতীয় ফুটবল দলের মধ্যকার আসন্ন ম্যাচ উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নিরাপত্তা মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক মানের এই খেলাটি সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বদ্ধপরিকর। এ কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও পোশাকে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সেখানে নিরাপত্তা মহড়াও দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১০) সন্ধ্যায় ৭টায় জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম মাঠে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। 

আরো পড়ুন:

ফুটবল-জ্বরে কাঁপছে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুরকে হারাতেই চায় হামজারা

জয় চায় বাংলাদেশ, ভীত নয় সিঙ্গাপুর

সোমবার (৯ জুন) সকালে জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম মাঠে এক নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের নেতৃত্বে সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম এবং কে-নাইন টিম অংশ নেয়। মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার কৌশল ও সক্ষমতা প্রদর্শন এবং সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি যাচাই করা। ম্যাচ চলাকালীন দর্শক এবং খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ফুটবল ম্যাচ উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, খেলার চলাকালে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবসময় প্রস্তুত থাকবে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট ও ক্যানাইন ইউনিট।

খেলায় আগত সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ঢাকা/এম/আর/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল জ ত য় ফ টবল ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক।”

এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

সোমবার (৯ জুন) ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে রবিবার (৮ জুন) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

কাল যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, প্রাধান্য পাবে পাচারের অর্থ ফেরত আনা

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সব অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’-বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।”

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সব পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।”

প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাঙানো গেল না ‘বাঁকবদলের’ উপলক্ষ
  • ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর সোনারগাঁয়ের পর্যটনকেন্দ্র
  • ঘুরে আসুন আলুটিলার ‘রহস্যময়’ গুহা, যেভাবে যাবেন
  • পাহাড়ের কোলে স্নিগ্ধ রিসাং
  • অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা
  • ইউনূস-মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
  • অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক 
  • মেট্রোরেলে রান্না ও কাঁচা মাংস বহনে নিষেধাজ্ঞা
  • কারাগারে নোবেল গাইলেন ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’