ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোলে গ্রেপ্তার গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
Published: 10th, June 2025 GMT
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আজমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাহাবুদ্দিনের নামে গোপালগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ছিলেন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সাড়ে ১১টার দিকে শাহাবুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আসেন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর যাত্রাবাড়ী ও গোপালগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তবে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা আছে। তাঁকে গোপালগঞ্জ সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখন বেনাপোল বন্দর থানার হাজতে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ থেকে পুলিশের একটি দল বেনাপোলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর গ প লগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
লিফটের ওপর বাড়তি কর প্রত্যাহারের দাবি বেলিয়ার
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে লিফটকে মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং পণ্যটির ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া)।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল। এছাড়াও সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত লিফট মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে আমদানি করা হতো। মূলধনি যন্ত্রপাতিতে আমদানি শুল্ক থাকে ন্যূনতম। কিন্তু হঠাৎ করে বিগত সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে লিফটকে বাণিজ্যিক পণ্য ক্যাটেগরিতে স্থানান্তর করে। এতে এর শুল্ক-কর অনেক বেড়ে যায়। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বাংলাদেশ এলিভেটর, এসকেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সে প্রতিবাদ আমলে নেওয়া হয়নি।
বেলিয়ার নেতারা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও লিফটকে বাণিজ্যিক পণ্য ক্যাটাগরিতেই রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে পণ্যটির ওপর কর হার আরও বাড়ানো হয়েছে। লিফট খাতে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয় কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর এবং নতুন আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ মোট শুল্ক-কর দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশ। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের যা ছিল ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান বলেন, লিফট বিক্রি ও চুক্তি সম্পাদনের পরে উৎপাদন ও আমদানি করা পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। চলতি জুন মাসের আগে লিফটের ক্রয়াদেশ, ঋণপত্র খোলা, প্রস্তুত পর্যায়ে, জাহাজীকরণ অবস্থায় এবং বন্দরে শুল্কায়ন পর্যায়ে সহস্রাধিক লিফট প্রক্রিয়াধীন। এই লিফটগুলো আগের ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্কহারে বিক্রি করা হয়েছে। এখন সেগুলোর জন্য নতুন ধার্য করা বাড়তি হারে অর্থাৎ ৪৩ শতাংশ হারে শুল্ক-কর প্রদান করতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এতে ক্রেতারা পণ্যটি পাওয়ার নিশ্চয়তা হারাবেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জুনের আগে লিফটগুলোর জন্য পূর্ববর্তী বাজেট অনুযায়ী শুল্ক-কর ধার্যের জন্য জোর দাবি জানান তিনি।
বেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল বলেন, দেশের আবাসন খাতের উন্নয়নে লিফট একটি অন্যতম প্রধান উপকরণ। ২০২৫-২৬ বাজেটে অতিরিক্ত শুল্ক-কর আরোপের ফলে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যাবে এবং ভোক্তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বেন। এতে সার্বিকভাবে আবাসন খাতের উন্নয়ন ঝিমিয়ে পড়বে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন খাতটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী এবং হাজার হাজার কর্মী। তাই প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের আগেই লিফটের ওপর বাড়তি এই শুল্ক-কর প্রত্যাহার এবং একে আগের মতো মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে গণ্য করার দাবি জানান মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আমদানি পর্যায়ে লিফটকে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যায়নের ফলে অধিক পরিমাণ শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। লিফটের ওজনের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে তার ৬৫ শতাংশ যন্ত্রাংশই লোহা ও স্টিলের সংমিশ্রণে তৈরি, ২৫ শতাংশ কংক্রিটের ব্লক এবং অবশিষ্ট ১০ শতাংশ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি। লোহা ও স্টিলের মূল্য কেজি প্রতি ১ ডলারের নিচে এবং কংক্রিট ব্লকের মূল্য অতি নগণ্য। তারপরও বিগত সরকারের সময় লিফটের মূল্য নির্ধারণ করা হয় কেজি প্রতি ৩ ডলারে, যা বাস্তবসম্মত হওয়া অতি জরুরি।