ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর সোনারগাঁয়ের পর্যটনকেন্দ্র
Published: 10th, June 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ উপভোগ করতে ঈদের ছুটিতে প্রাচীন বাংলার রাজধানী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
তীব্র রোদ উপেক্ষা করে মানুষেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছেন। নারী-পুরুষ ও শিশুর পাশাপাশি তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় পর্যটনকেন্দ্র মুখরিত হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুরা বিনোদনের খোঁজে লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে (জাদুঘর) ও পানামসিটিতে ভিড় করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জাদুঘর ও পানাম সিটি প্রাঙ্গণ। প্রিয়জন কিংবা স্বজনদের নিয়ে নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে কিছুটা সময় আনন্দে কাটাচ্ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা অসংখ্য মানুষ। তবে তুলনামূলক তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি লক্ষ্যনীয়।
এদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার চিন্তা করে বাড়তি আনসার ও ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা লাকি আক্তার বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে অফিস থেকে লম্বা ছুটি পেয়েছি। এবার দূরে কোথাও যাওয়া হয়নি। সোনারগাঁয়ের মনোরম পরিবেশ সম্পর্কে আমরা লোকমুখে শুনে এখানে এসেছি। ঘুরছি ভালোই লাগছে।
এখানকার অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও ঘুরে দেখবো। মুঘল আমলের প্রাচীন নিদর্শনের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে। এখানে যা নতুন প্রজন্মের শিক্ষায় কাজে লাগবে।
শনিরআখড়া থেকে ঘুরতে আসা শিউলি আক্তার বলেন, প্রতি ঈদ সন্তানের নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে থাকি। তবে এবার আমার প্রবাসী স্বামী ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে এসেছে। তাই তিনিসহ পুরো পরিবার সোনারগাঁয়ে ঘুরতে আসলাম। আমি মনে করি পুরো বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এই সোনারগাঁ। এ উপজেলাটির প্রতি সরকারের বিশেষ দৃষ্টি রাখা উচিত।
কুমিল্লা থেকে পরিবার নিয়ে পানামসিটিতে এসেছেন রহমান আলী। তিনি বলেছেন, আমরা এই প্রথম সোনারগাঁয়ের পানাম সিটিতে এসেছি। এটার সম্পর্কে অনেক শুনেছি, তাই ঈদ উপলক্ষে পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। ভালো লাগছে এসে।
দর্শনার্থীদের সমাগমের বিষয়ে জানতে চাইলে পানামাসিটি ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী কাস্টডিয়ান মো.
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের (সোনারগাঁ জাদুঘর) উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার জানান, এবারে আশানুরূপ দর্শনার্থীদের সমাগম হয়েছে। কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী জাদুঘর দেখতে এসেছে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য এখানে পর্যাপ্ত আনসার, পুলিশ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান জানান, সোনারগাঁয়ে বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র তৈরি হওয়ায় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সোনারগাঁ জাদুঘর ও পানামাসিটিসহ অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রগুলো।
দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি থানা পুলিশ, আনসার ও ট্যুরিস্ট পুলিশদের মাধ্যমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ জ দ ঘর পর ব র আনস র
এছাড়াও পড়ুন:
মিথ্যা প্রচার দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে: মির্জা ফখরুল
মিথ্যা প্রচার ও প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে দেশে এক ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “৭ নভেম্বর আমাদের কাছে এবং গোটা জাতির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন মানুষ অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে রয়েছে, তখন আবারো দেশের শত্রুরা মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে- এ অবস্থায় ৭ নভেম্বরের ঐক্যের চেতনা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক।”
তিনি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন এবং দ্রুতই দেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যান, যেখানে পূর্বে যেভাবে বাংলাদেশকে ‘বটমলেস বাস্কেট’ বলা হতো, সেখান থেকে তিনি দেশকে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্তে তুলে ধরেন। তার আমলেই শুরু হয় বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ- একটি ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনা।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, আজ তারই উত্তরসূরি তারেক রহমানও সুদূর প্রবাস থেকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে সংগ্রামের ধারাবাহিকতা গড়ে উঠেছিল, সেটিই আজ অব্যাহত রেখেছেন তারেক রহমান- জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন।”
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ওই দিন সকাল ৬টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হবে। ৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি'র উদ্যোগে ওই দিন বেলা ৩টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সারা দেশে বিএনপির উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা