দৃশ্যটা ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে। বল নিয়ে দ্রুতগতিতে সিঙ্গাপুরের বক্সে ঢুকে পড়েন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। বলে শট নেওয়ার আগমুহূর্তে তাঁকে বাজেভাবে ট্যাকল করেন সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজফিব। পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে টিম বাংলাদেশ। কিন্তু ফিলিপিন্সের রেফারি ক্লিফোর্ড দেপুয়েত সে আবেদনে কান তোলেননি। রেফারির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের ডাগআউট থেকে শুরু করে দর্শকরা। ক্ষুব্ধ দর্শকরা একসময় মাঠে পানির বোতল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ জানান বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ‘ফাহিমের ওই ফাউলটা আমি দেখিনি। তবে আমার কাছে মনে হয় এটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। ওই সময়ে আমরা যেভাবে খেলছিলাম, পুরোদমে আক্রমণ করছিলাম, আমি যদি ভুল না বলে থাকি, ২-২ হতে পারত ওই সিদ্ধান্ত পক্ষে এলে। সেটা কেন দেয়নি, তা রেফারিই ভালো বলতে পারেন। আমি মনে করি, তারা (দর্শক) হতাশ ছিল রেফারির বিরুদ্ধে। দলের প্রতি তারা হতাশ ছিল না। আপনারা ম্যাচের পরফরম্যান্স দেখেন, তাহলে আমি মনে করি, ২-২ ড্র হতো ন্যায্য ফল। সবার প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি; কিন্তু সেটা হয়নি।’
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে দুই গোল হজম করেছে, তাতে কিছুটা ভুল ছিল গোলরক্ষক মিতুল মারমার। ‘কঠিন ফল পেলাম, এটা হতেই পারে, তবে নিশ্চিতভাবেই এ ফল প্রত্যাশা করিনি আমরা। আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম, ম্যাচও সেভাবেই শুরু হয়েছিল। খুবই প্রাণশক্তিতে ভরপুর হয়ে, উপরে প্রেসিং করে খেলছিলাম। এরপর আমরা কিছু ভুল করলাম। যে গোলটা আমরা হজম করলাম, সেটা এড়াতে পারতাম। দ্বিতীয়ার্ধেও গোল খেলাম। তবে আমি মনে করি, দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। আমরা সাহসী ছিলাম। সুযোগ তৈরি করেছিলাম।’
ম্যাচের শেষের দিকে দেখা গেছে ফুটবলারদের শরীর চলে না। এই বিষয়টিও সামনে এনেছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘এনার্জি কমে যাওয়ার কারণ আমার মনে হয়, আমরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। কিছু সময় সিঙ্গাপুর আমাদের ওপর যথেষ্ট আধিপত্য করেছে। আমরা তাদের মতো মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে সবসময় একইভাবে মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আপনারাও দেখেছেন আমরা আরও বেশি জমাট ছিলাম, ঘুরে দাঁড়ানো গোলও পেলাম, কিন্তু সমতায় ফিরতে পারলাম না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র
এছাড়াও পড়ুন:
আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কোনো আরোহী বেঁচে নেই
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের সব আরোহী নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডীয় নাগরিক এবং সাতজন পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন।
দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর এলাকাটি ঘন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। জরুরি সেবা সংস্থাগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং দুই ডজনের বেশি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেটি থেকে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় উড়োজাহাজটি ৬২৫ ফুট ওপরে উঠেছিল। উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় পড়েছে।
ফ্লাইটটি পরিচালনাকারী বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী ফ্লাইট এআই১৭১ আজ ১২ জুন ২০২৫ তারিখে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার এই ফ্লাইটের যাত্রী ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।