সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ রক্তসম্পর্কিত জটিলতায় ভুগছেন। অনেক এলাকায় প্রয়োজনীয় ও কার্যকর রক্তের অভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেই সংকট কমাতে কৃত্রিম রক্ত তৈরির জন্য কাজ করছেন জাপানের নারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে কৃত্রিম রক্তের কার্যকারিতা পরীক্ষাগারে পরখ করেছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কৃত্রিম রক্তে প্রাকৃতিক রক্তের মতো কোনো গ্রুপ নেই। সব রক্তের গ্রুপের জন্য ব্যবহারযোগ্য কৃত্রিম রক্তের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে। আর তাই জরুরি পরিস্থিতিতে কৃত্রিম রক্ত ব্যবহারের সুযোগ অনেক সমস্যার সমাধান করবে। এই পরীক্ষায় সাফল্য এলে কৃত্রিম রক্ত বিশ্বজুড়ে জরুরি চিকিৎসাব্যবস্থাকে বদলে দেবে।

বিজ্ঞানীরা মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত থেকে লোহিত রক্তকণিকার অণু হিমোগ্লোবিন বের করে কৃত্রিম রক্ত তৈরি করছেন। এরই মধ্যে ১৬ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ১০০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার কৃত্রিম রক্ত প্রবেশ করিয়েছেন তাঁরা। এই পরীক্ষা সফল হলে ২০৩০ সালের মধ্যে কৃত্রিম রক্ত সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে।

এ বিষয়ে নারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরোমি সাকাই জানান, কৃত্রিম রক্তকণিকার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। লোহিত রক্তকণিকার কোনো নিরাপদ বিকল্প নেই বলে কৃত্রিম রক্তকণিকা প্রয়োজন।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ত র ম রক ত ব যবহ র রক ত র

এছাড়াও পড়ুন:

২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠাবে চীন

চীন জানিয়েছে, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্য পূরণের পথে ঠিকঠাক রয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি মহাকাশ অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য দ্রুত কাজ করছে। এরই মধ্যে চলমান অভিযানের জন্য পরবর্তী নভোচারী দলকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।

চীন মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচির মুখপাত্র ঝাং জিংবো বলেন, বর্তমানে চাঁদে মানুষ পাঠানোর গবেষণা ও উন্নয়ন কাজের প্রতিটি কর্মসূচি ঠিকঠাক এগিয়ে চলেছে। লং মার্চ ১০ রকেট আর চাঁদে অবতরণের বিশেষ স্যুট ও অনুসন্ধানকারী যান এরই মধ্যে প্রায় প্রস্তুত। ২০৩০ সালের মধ্যে চীন চাঁদে মানুষ পাঠানোর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সুদৃঢ় অবস্থানে কাজ করছে।

চীন মহাকাশ অনুসন্ধান পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের কাজ শেষ করতে দ্রুত কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে নতুন নভোচারী পাঠানো হচ্ছে। একেকটি দল ছয় মাসের জন্য স্টেশনের ভেতরে থেকে গবেষণা পরিচালনা করে। স্টেশনে অন্যদের সঙ্গে যোগ দেওয়া নতুন ক্রু সদস্যরা হলেন ঝাং লু, উ ফেই ও ঝাং হংঝাং।

গত ৩১ অক্টোবর রাত ১১টা ৪৪ মিনিটে জিউকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে তিন নভোচারী যাত্রা করেন। নভোচারী ঝাং লু এর আগে শেনঝু ১৫ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। নভোচারী উ ফেই ও ঝাং হংঝাংয়ের জন্য এটি মহাকাশে প্রথম যাত্রা হবে। এ যাত্রায় নভোচারীরা তাঁদের সঙ্গে দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রীসহ চারটি ইঁদুরও নিয়ে যাবেন। তাঁরা প্রাণীর ওপর ওজনহীনতা ও সীমাবদ্ধ পরিবেশে থাকার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করবেন।

চীনের মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে পিপলস লিবারেশন আর্মির সরাসরি যোগসূত্রের কারণে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেওয়ার পর চীন তিয়ানগং স্টেশন তৈরির জন্য কাজ করছে। এই স্টেশন ভবিষ্যতে চাঁদে চীনা নভোচারী ও মানুষের ক্যাম্প তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চীন অনেকটা একাই নিজের মতো করে মহাকাশ অনুসন্ধানে কাজ করছে। অন্যদিকে নাসার সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশকে একসঙ্গে নিয়ে চন্দ্র বিজয়ের কাজ করছে। ২০৩০–এর দশকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে অনেক প্রতিযোগিতামূলক ঘটনা দেখা যাবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠাবে চীন