কৃত্রিম রক্ত তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা, ব্যবহার করা যাবে ২০৩০ সালে
Published: 11th, June 2025 GMT
সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ রক্তসম্পর্কিত জটিলতায় ভুগছেন। অনেক এলাকায় প্রয়োজনীয় ও কার্যকর রক্তের অভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেই সংকট কমাতে কৃত্রিম রক্ত তৈরির জন্য কাজ করছেন জাপানের নারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে কৃত্রিম রক্তের কার্যকারিতা পরীক্ষাগারে পরখ করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কৃত্রিম রক্তে প্রাকৃতিক রক্তের মতো কোনো গ্রুপ নেই। সব রক্তের গ্রুপের জন্য ব্যবহারযোগ্য কৃত্রিম রক্তের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে। আর তাই জরুরি পরিস্থিতিতে কৃত্রিম রক্ত ব্যবহারের সুযোগ অনেক সমস্যার সমাধান করবে। এই পরীক্ষায় সাফল্য এলে কৃত্রিম রক্ত বিশ্বজুড়ে জরুরি চিকিৎসাব্যবস্থাকে বদলে দেবে।
বিজ্ঞানীরা মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত থেকে লোহিত রক্তকণিকার অণু হিমোগ্লোবিন বের করে কৃত্রিম রক্ত তৈরি করছেন। এরই মধ্যে ১৬ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ১০০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার কৃত্রিম রক্ত প্রবেশ করিয়েছেন তাঁরা। এই পরীক্ষা সফল হলে ২০৩০ সালের মধ্যে কৃত্রিম রক্ত সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে।
এ বিষয়ে নারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরোমি সাকাই জানান, কৃত্রিম রক্তকণিকার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। লোহিত রক্তকণিকার কোনো নিরাপদ বিকল্প নেই বলে কৃত্রিম রক্তকণিকা প্রয়োজন।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম রক ত ব যবহ র রক ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।