একটি অপ্রত্যাশিত রঙ বদলের ম্যাচ। রিভার প্লেটের ঘরের মাঠে যখন আর্জেন্টিনার ভাগ্য ক্রমেই পিছলে যাচ্ছিল, তখন দৃশ্যপট বদলে দেন থিয়াগো আলমাদা। তার অনবদ্য গোলেই রক্ষা পায় স্কালোনির দল। কলম্বিয়ার সঙ্গে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ সমতায়।

বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে হওয়া এই লড়াই শুরুতেই রোমাঞ্চ ছড়ায়। চতুর্থ মিনিটেই লিওনেল মেসির পায়ের জাদুতে প্রথমবার কাঁপে কলম্বিয়ার রক্ষণভাগ। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। এরপর হুয়ান লুকুমি, দিয়াস, মাচাদো; একের পর এক আক্রমণ যেন বারুদে আগুন লাগানোর মতোই ম্যাচকে উষ্ণ করে তোলে।

কলম্বিয়া প্রথমে স্কোরবোর্ডে নাম লেখায়। মাঝমাঠে বল পেয়ে রকেট গতিতে ডানায় ভেসে ওঠেন লুইস দিয়াস। আর্জেন্টিনার তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তার নেওয়া নিখুঁত শটে হতবাক মার্তিনেজ, এগিয়ে যায় কলম্বিয়া।

আরো পড়ুন:

প্রাণান্তকর চেষ্টার পরও হারলো বাংলাদেশ

মেসির ছায়ায় নয়, এখন আর্জেন্টিনার ফুটবল দল পুরোপুরি স্বনির্ভর

তবে আর্জেন্টিনাও থেমে থাকেনি। একাধিকবার জোরালো আক্রমণে শত্রুশিবিরে হানা দেয় তারা। প্রথমার্ধেই আলভারেস ও গনসালেস বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও ফলাফল পাল্টাতে পারেননি। যোগ করা সময়ে মেসির ফ্রি-কিকে গোলের সম্ভাবনা জাগলেও তা রূপ নেয় হতাশায়।

দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও দুর্ভাগ্য ঘিরে ধরে আর্জেন্টিনাকে। ৭১ মিনিটে একটি বিতর্কিত ফাউলের ঘটনায় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এনজো ফার্নান্দেজ। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, ১০ জনের দল নিয়ে সমতা ফেরানো কঠিন চ্যালেঞ্জ।

কিন্তু ফুটবল এমনই এক খেলা, যেখানে মুহূর্ত বদলাতে পারে পুরো চিত্র। ৮০ মিনিটে আর্জেন্টিনার আক্রমণে বাম দিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন তরুণ থিয়াগো আলমাদা। রক্ষণচেরা ড্রিবল শেষে নেয়া তার নিখুঁত শট কলম্বিয়ার জাল কাঁপায়। মুহূর্তেই উত্তাল হয়ে ওঠে গ্যালারি।

শেষদিকে রিওসের হেড পোস্টের ওপর দিয়ে গেলে জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে যায় কলম্বিয়ার। বাকি সময়ে দু’দলই আক্রমণ চালালেও আর গোলের দেখা মেলেনি।

এই ড্রয়ের ফলে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট দাঁড়ালো ৩৫, শীর্ষস্থান ধরে রাখল তারা। আর কলম্বিয়া ২২ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে ছয় নম্বরে।

ঢাকা/আমিনুল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন র কলম ব য় র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ