ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি শেষে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে। বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, রায়েরবাগসহ আশপাশের এলাকায় মানুষের চাপ বাড়তে দেখা গেছে। প্রতিটি বাস যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে।

এবার ঈদের পরে টানা ছুটির কারণে ঈদের দিন এবং পরবর্তী কয়েকদিন রাজধানীমুখী যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল। তবে বুধবার (১১ জুন) থেকে সেই চাপ বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের মতে, বৃহস্পতি (১২ জুন), শুক্র (১৩ জুন) এবং শনিবার (১৪ জুন) ঢাকায় ফেরার চাপ সবচেয়ে বেশি থাকবে। আগামী রবিবার (১৫ জুন) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও কলকারখানা খুলে যাবে।

আরো পড়ুন:

ঈদুল আজহায় দেশে ৯১ লাখ পশু কোরবানি

ঈদের ছুটি‌ কাটিয়ে স্বস্তিতে ফিরছে মানুষ

যাত্রাবাড়ী  মোড়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাসগুলো যাত্রীতে ঠাসা। রাজধানীতে ফেরা ‘ইমাদ ‘উত্তরা এক্সপ্রেস’, ‘তিতাস পরিবহন’ প্রভৃতি বাস থেকে যাত্রীরা নামছেন।

বাস থেকে নামার পর নির্বিঘ্নে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যেতে পারছে বেশিরভাগ যাত্রী। ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত যানবাহন, ভাড়াচালিত মোটরসাইকেল বাসস্টেশনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন,  ঢাকায় তাদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

নরসিংদী  থেকে রাজধানীতে ফিরেছেন জামিলা খাতুন ও তার ছোট ভাই। গুলিস্তানে কথা হলে তিনি বলেন, “আমরা বাসাবো যাব। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগে যেখানে ২০০-২৫০ টাকা ভাড়া ছিল, এখন সেখানে ৫০০ টাকা চাইছে। গাড়ির অভাব নেই কিন্তু চালকেরা সুযোগ নিচ্ছে।’’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটের ‘জননী পরিবহনের’ বাসের চালক মফিজুল হক জানান, ঢাকামুখী যাত্রী বাড়ছে। সব সিট পূর্ণ ছিল। রাস্তায় তেমন জ্যাম হয়নি। স্বস্তিতে ফিরতে পেরেছেন।

ফরিদপুর থেকে আসা ‘ইমাদ এক্সপ্রেস’-এর চালক কামরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন যাত্রী কম ছিল। আজ থেকে চাপ বেড়েছে। শুক্রবার, শনিবার যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে। 

গত ৭ জুন সারা দেশে ঈদুল আজহা উৎযাপিত হয়েছে। এবারের ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটি ছিল। ৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এই ছুটি চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত।

ঢাকা/এএএম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়িয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আজও অবস্থান অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইশরাকের অনুসারীরা।

বুধবার (১৮ জুন) সকালে ঢাকাবাসীর ব্যানারে নগরভবনে জড়ো হন তারা। দুপুর ১টার দিকে নগরভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক। এসময় তিনি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং নাগরিক সেবা বিশেষ করে মশক নিধন কার্যক্রম সচল রাখার নির্দেশনা দেন।

ইশরাক বলেন, “আমরা নাগরিকদের ভোগান্তি দূর করতে চাই। এজন্য ধারাবাহিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।”

আরো পড়ুন:

ইয়াসিনকে হত্যা করেছে আ.লীগের দোসররা: বিএনপি

লঞ্চের ডেকে টাকা তুলছিলেন বিএনপির কর্মী, যাত্রীদের পিটুনি

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ২০২০ সালের সেই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে তাকে মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

তবে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইনি জটিলতার কথা বলে এখনো তার শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করেনি। এই পরিস্থিতিতে, গত ১৫ মে থেকে ইশরাকের অনুসারীরা নগরভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন, যা এখনো চলছে।

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে বাধা থাকায় একটি পক্ষ ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট সম্প্রতি ওই রিট আবেদন খারিজ করে দেন। এরপরও মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিক শপথের উদ্যোগ নেয়নি।

ইশরাকের অনুসারীদের দাবি, হাইকোর্টের রায়ের পর আর কোনো আইনি বাধা নেই। তারা অবিলম্বে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ